ইংরেজীতে একটা কথা আছে "Every cloud has a silver lining" এটা করোনার ক্ষেত্রেও খুব সত্যি।
ফেসবুকে আর হোয়াটসআপে লোকে রাস্তায় হরিণ বা নীলগাই চড়ে বেড়াচ্ছে এরকম ছবি দিচ্ছে।
এমন কি প্রাকৃতিক দূষনও কত কমে গেছে।
এবার অন্য দিকটাও ভেবে দেখুন।
হাসপাতালে সব OPD বন্ধ আছে ; তা স্বত্বেও এমারজেন্সিতে কোনও ভীড় নেই।
তা হলে অসুখ বিসুখ এত কমে গেল কি করে?
মানছি রাস্তায় গাড়ি চলছে না বলে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে গেছে।
কিন্তু কোনও হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন হ্যামারেজ বা হাইপার টেনশনের মতো অসুখ দেখা যাচ্ছে না কেন?
কারও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নেই কেন?
দিল্লীর নিগমবোধ ঘাটে প্রতিদিন প্রায় 25-30 শতাংশ কম শবদেহ আসছে।
দিল্লীর কথা না হয় বাদ দিলাম, হরিদ্বারের ঘাটে যেখানে গড়ে 100-80 টা শব আসে, সেখানে এই করোনার আবহে মেরে কেটে মাত্র 20-25 টা শব আসছে।
একইভাবে মণিকর্ণিকা ঘাটেও সেই একই অবস্থা।
ওখানে ডোম রাজ পরিবারও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে, ওরা জানালো প্রতি বছর এই সন্ধি মৌসমের (শীত শেষ করে গ্রীষ্মে যাওয়ার) সময় প্রতি বছর শবদেহের হিড়িক পড়ে যায়।
কিন্তু কেন জানি না এ বছর খুব কম শবদেহ আসছে।
হাসপাতালে যারা আছে তারা আগেই ভর্তি হয়েছে। নতুন করে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না।
এটা সত্যিই খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা যেন সব অসুখ অদৃশ্য হয়ে গেছে।
না কি করোনা ভাইরাস সব অসুখকে মেরে ফেলেছে?
না প্রশ্নটা হলো স্বাস্থ্যব্যবস্থার বানিজ্যকরনের।
যেখানে কোনও অসুখই নেই সেখানেও ডাক্তাররা তাকে অসুস্থ বলে দেন।
কর্পোরেট হাসপাতালের অবস্থা এই সময় আরও খারাপ।
গভীর সংকটে পড়েছে তারা।
মামুলি সর্দিকাশিতেও যারা কয়েক হাজার এমনকি লাখ টাকার বিল বানানো কোনও ব্যাপার ছিলো না।
এখন সেখানে বেশির ভাগ বেড খালি পড়ে আছে।
আমি ডাক্তারদের সেবাকে ছোট করার চেষ্টা করছি না।
কোবিড 19 এ যারা সেবা করছেন তাদের আমি প্রনাম জানাই।
কিন্তু ভয়টা যেন একটু বেশিই দেখানো হয়ে গেছে।
অনেক বড় বড় সমস্যার কারন কিন্তু এই ডাক্তাররাই হয়।
এছাড়া লোকে এখন বাড়ির খাবার খাচ্ছে, হোটেলের খাবার নয়।
সেটার খুব ভালো ফল হচ্ছে।
যদি System নিজের মতো ঠিকঠাক কাজ করে আর লোকে পরিশ্রুত জল ও সুদ্ধ সাদা খাবার খায় তো তাতেই অর্ধেক অসুখ আপনাআপনি সেরে যাবে।
কানাডায় দু এক দশক আগে একটা সমীক্ষা হয়েছিল, ওখানে এক দীর্ঘ দিন ব্যাপী ডাক্তারদের ধর্মঘট চলেছিল।
সমীক্ষায় দেখা গেল ওই সময় মৃত্যুর হার অনেক কম হয়ে গেছিল।
সুস্থ থাকাটা আমাদের জীবনশৈলীর অন্যতম অঙ্গ যেটা কেবল ডাক্তারের উপর নির্ভর করে না।
মহাত্মা গান্ধী 'হিন্দু স্বরাজ' এ লিখেছিলেন, ডাক্তাররা কখনোই চায়না লোকে সুস্থ থাকুক।
যাই হোক, lockdown এর যা সাজা, তা তো অপরিহার্য বটেই, কিন্তু সেটা যে কতটা হুঁশিয়ার করলো এবং মনোরঞ্জক অনুভূতি দিলো সেটা একবার ভাবুন।।!
ঘরে থাকবেন।
ভালো থাকবেন সকলে !!!
No comments:
Post a Comment