Thursday, April 2, 2020

শিলচর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকার সম্পাদক অতীন দাশের প্রতি খোলা চিঠি ।

মাননীয় অতীন বাবু আপনি কিন্তু আপনার কলমকে ইদানিং গঠনমুলক কাজে ব্যবহার করছেন না।আপনার কলম থেকে প্রতিনিয়ত যে লেখা বেরোচ্ছে সেটা কিন্তু একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তুলে তাদের প্রতি বিষোদগার করে।সবিনয়ে জানিয়ে রাখি আপনি যে কাগজে লেখেন সেই কাগজে আমার মত এক অর্বাচীনের হাতে খড়ি।আর আপনার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।কিন্তু ইদানিং আপনার লেখা থেকে যা নির্যাস পাই সেটা কেবল বিদ্বেষমুলক।একটা কাজ করুন যাদেরকে খুশি করতে এত তীক্ষন একটা কলমকে শেষ বয়সে অপব্যবহার করছেন তাতে ব্যথিত হই।আমার নিজের সমাজের অনেক গোড়ামিতে আমি সমর্থন করিনা।তাই বলে সব কিছু ভুল সেটা নয় কিন্তু।আপনার লেখার স্বাধীনতা আছে।কিন্তু মনে রাখবেন কারো ধর্মীয় আবেগে আঘাত দিয়ে লেখা ভারতীয় দন্ডবিধির ধারা মত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।কেউ কথা বলে না বা আইনের আশ্রয় নেয় না বলে সবাইকে বোকা না ভাবাই ভাল।প্লিজ মাথা থেকে পেশে চিন্তা সরিয়ে দিন।সবার জন্য চিন্তা করুন। আপনাকে স্যার বলে সম্বোধন করি সেই ছোটবেলা থেকে।কিন্তু আপনার লেখার জন্য আপনাকে যখন লোকে গালি দেয় কিছুটা খারাপ লাগে।তার পর ভাবি মানুষটার অন্তরে অনেক দুখ।কারন তিনি ছিন্ন মুল ছিলেন।তাই হয়ত একটা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জেড়ে শেষ বয়সে একটু আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন।কারন বয়স হলে ব্রেইনের ফাংশন কমে যায়। কিন্তু অতিতের তিক্ততা মনে নতুন করে বেদনা বিদুর হয়ে উঠে।খেই হারিয়ে ফেলে সব কিছু।এলোমেলো হয়ে যায় ভাবনা।প্রতিশোধস্পৃয়া জেগে উঠে।কিন্তু আপনি যদি ছিন্নমুল হওয়ার দুখ বুকে নিয়ে আজ জীবনের পড়ন্ত বেলায়  নিজের মনে একটা সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃনা প্রসূত এসব বিদ্বেষ মুলক কলম চর্চা করেন তাহলে আমাদের হাসি পায়। কেননা আপনি যার কাছে আশ্রয় পেয়েছিলেন বলে শুনেছি তিনি ত নাকি সেই সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন।মনে কিছু নেবেন না ভাবছেন ছোট মুখে বড় কথা।কিন্তু কখনো ছেলেও বাবাকে জ্ঞান দেয় এটা অপ্রিয় সত্য। প্লিজ লিখুন,  আপনার লেখা পড়তে চাই।কিন্তু আবেগে আঘাত দেবেন না।

তুতিউর রহমান পাটিকরের ফেসবুক দেওয়াল থেকে সংগৃহীত ।

No comments:

Post a Comment