Saturday, April 11, 2020

ভারত বিভাজনের সময়ে বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল । যাইহোক তদানীন্তন সময়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও জমিয়ত উলামার নেতাদের নেতৃত্বে ওই এলাকা আবারও ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত হয় । লাফাশাইল এলাকার উত্তর ও কিছু অংশের পশ্চিম সীমানা দিয়ে কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে । আর ওই কুশিয়ারা নদীই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সহিত ভারতের সীমারেখা । প্রাক্ স্বাধীনতার সময়ে লাফাশাইল এলাকার বেশিরভাগ আত্মীয়তা বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ছিল । সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরা কারবার করতে থাকেন । তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষেতকৃষি ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । আর বিকল্প রোজগারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । সেহেতু লাফাশাইল এলাকার আর্থিক ও সামাজিক মান অতি নিম্নমানের ছিল । বৃহত্তর লাফাশাইল করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি বৃহৎ ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম । ইদানীং ওই বৃহত্তর এলাকাকে তিনটি রাজস্ব গ্রামে ভাগ করা হয়েছে যথা- লাফাশাইল ১ম খণ্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড হিসেবে । বর্তমানে ওই তিনটি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি । এলাকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ৭৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী । উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব বেশি হৃদ্যতা রয়েছে, কোনও দিন সম্প্রীতির বন্ধনে চিড় ধরেনি । স্বাধীনতার আগে তিনটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব, ১৬৩ নম্বর লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮১ নম্বর দক্ষিণ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ।পরবর্তীতে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জিন্নাতুন্নেসা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিজ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় । জাগতিক প্রাথমিক শিক্ষার ৫ টি বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হলেও ইসলামিক শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রথমে লক্ষ্মীবাজার আশরাফুল উলুম জালালীয়া মাদ্রাসা ও পরবর্তীতে লাফাশাইল মোহাম্মদীয়া তৈয়ীবিয়া আলিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটিই স্থাপিত হয় । লাফাশাইল এমই স্কুল নামে খ্যাত ভেঞ্চার স্কুলটি আজও সরকারি অবহেলায় ধুঁকছে । সর্বশেষে ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল যেটি লক্ষ্মীবাজার রিলায়েন্স একাডেমী নামে পরিচিত । বৃহত্তর লাফাশাইলের তিনটি গ্রামই শৈক্ষিক, আর্থিক ও সামাজিক তথা উপযুক্ত পানীয়জলের সুবন্দোবস্থ নেই । রাস্তাঘাট মোটামুটি উন্নত হওয়ার পথে , তাও আবার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বদৌলতে । ২০১১ সালের আগমূহুর্তে ওই এলাকায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না । বিশেষ করে প্রথমে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত সড়ক ও পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় । তখন মানুষের রোজগার শূন্যতা দেখা দেয় । এতে কিশোর, যুবক ও প্রৌঢ়রা রোজগারের তাগিদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন । কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নয়ন হয় । একদা লাফাশাইল ৩য় খণ্ড শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে বাকি দুটি গ্রাম থেকে এগিয়ে ছিল , বর্তমানে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে । তার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চোরা কারবার ।আশা করি এসব বন্ধ হলে সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।

ভারত বিভাজনের সময়ে বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল । যাইহোক তদানীন্তন সময়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও জমিয়ত উলামার নেতাদের নেতৃত্বে ওই এলাকা আবারও ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত হয় । লাফাশাইল এলাকার উত্তর ও কিছু অংশের পশ্চিম সীমানা দিয়ে কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে । আর ওই কুশিয়ারা নদীই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সহিত ভারতের সীমারেখা । প্রাক্ স্বাধীনতার সময়ে লাফাশাইল এলাকার বেশিরভাগ আত্মীয়তা বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ছিল । সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরা কারবার করতে থাকেন । তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষেতকৃষি ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । আর বিকল্প রোজগারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । সেহেতু লাফাশাইল এলাকার আর্থিক ও সামাজিক মান অতি  নিম্নমানের ছিল । 
             বৃহত্তর লাফাশাইল করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি বৃহৎ ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম । ইদানীং ওই বৃহত্তর এলাকাকে তিনটি রাজস্ব গ্রামে ভাগ করা হয়েছে যথা- লাফাশাইল ১ম খণ্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড হিসেবে । বর্তমানে ওই তিনটি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি । এলাকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ৭৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী । উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব বেশি হৃদ্যতা রয়েছে, কোনও দিন সম্প্রীতির বন্ধনে চিড় ধরেনি ।
       স্বাধীনতার আগে তিনটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব, ১৬৩ নম্বর লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮১ নম্বর দক্ষিণ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ।পরবর্তীতে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জিন্নাতুন্নেসা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিজ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়  স্থাপিত হয় ।  জাগতিক প্রাথমিক শিক্ষার ৫ টি বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হলেও ইসলামিক শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রথমে লক্ষ্মীবাজার আশরাফুল উলুম জালালীয়া মাদ্রাসা ও পরবর্তীতে লাফাশাইল মোহাম্মদীয়া তৈয়ীবিয়া আলিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটিই স্থাপিত হয় ।  লাফাশাইল এমই স্কুল নামে খ্যাত ভেঞ্চার স্কুলটি আজও সরকারি অবহেলায় ধুঁকছে । সর্বশেষে ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল যেটি লক্ষ্মীবাজার রিলায়েন্স একাডেমী নামে পরিচিত । বৃহত্তর লাফাশাইলের তিনটি গ্রামই শৈক্ষিক, আর্থিক ও সামাজিক তথা উপযুক্ত পানীয়জলের সুবন্দোবস্থ নেই । রাস্তাঘাট মোটামুটি উন্নত হওয়ার পথে , তাও আবার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বদৌলতে । ২০১১ সালের আগমূহুর্তে ওই এলাকায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না । বিশেষ করে প্রথমে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত সড়ক ও পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় । তখন মানুষের রোজগার শূন্যতা দেখা দেয় । এতে কিশোর, যুবক ও প্রৌঢ়রা রোজগারের তাগিদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন । কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নয়ন হয় । 
   একদা লাফাশাইল ৩য় খণ্ড শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে বাকি দুটি গ্রাম থেকে এগিয়ে ছিল , বর্তমানে দিন দিন  পিছিয়ে যাচ্ছে । তার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চোরা কারবার ।আশা করি এসব বন্ধ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।

No comments:

Post a Comment