Thursday, April 16, 2020
নাফিসার প্রার্থনা কি মঞ্জুর হয়ে গেল********************************নাফিসা উমর। কাশ্মিরের এক মেয়ে। যার একটি দোয়া (প্রার্থনা)-র কথা উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক অরবিন্দ মিশ্র। কাশ্মিরে লকডাউন ছিল দীর্ঘ সাতমাস। এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা কথা উঠতে থাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন সাংসদকে এনে কাশ্মীর পরিদর্শন করানো হয়। এর আয়োজন ও ব্যবস্থা করে ভারত সরকার। সেই পরিদর্শকদলের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় দেশের কয়েকজন 'বাছাই করা' সাংবাদিককে, যাতে কাশ্মির নিয়ে রিপোর্টিং করা হলেও তা যেন সরকারের প্রতিকূলে না যায়। সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন ইকোনমিক টাইমসের অরবিন্দ মিশ্র। কয়েকদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওই কাশ্মির ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেটি ভাইরাল হয়। এখানে পেশ করলাম সেই ভাইরাল হওয়া পোস্টটির সম্পাদিত বঙ্গায়ন :শ্রীনগরের এক গলির মুখে একটি বাড়ির জানালায় দেখতে পাই এক পর্দানশীন মেয়েকে। মেয়েটি আওয়াজ দিতে আমি থেমে যাই। আমাকে দেখে বলেন, 'ভাইয়া ! আপনি বিলালের বন্ধু, দিল্লিতে থাকেন, তাই না?'আমি বললাম, হ্যাঁ।তখন মেয়েটি বললেন, 'বিলাল আপনার খুব তারিফ করে। বলে, আপনি খুব বুঝদার মানুষ। মানুষের দুঃখ বোঝেন। আমি নাফিসা উমর। বিলালের ফুফাতো বোন...'সময়ের স্বল্পতা বুঝে মেয়েটি তাড়াহুড়ো করে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তাঁর সেই কথাগুলো শুনে আমি কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি। আর সেই কথাগুলো আজ আপনাদের কাছে বলাটা জরুরি মনে করছি। নাফিসা বলেছিলেন :'যদি কোনো জায়গায় লাগাতার সাত মাস ধরে কারফিউ চলে,বাড়ি থেকে বের হওয়া দূরের কথা, বাইরে উঁকি দেওয়াও কঠিন হয়,এলাকাজুড়ে ৮–৯ লক্ষ সেনা মোতায়েন থাকে,ইন্টারনেট বন্ধ থাকে,মোবাইল বন্ধ থাকে,ল্যান্ডলাইন ফোনও বন্ধ থাকে,বাড়ি বাড়ি থেকে শিশু-যুবক-বৃদ্ধসহ হাজারো বেকসুরদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে,ছোট-বড় সমস্ত নেতাদের জেলবন্দি করা হয়ে থাকে,স্কুল-কলেজ-দপ্তর সব বন্ধ থাকে,তাহলে কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে মানুষ?তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে? অসুস্থদের অবস্থা কী হবে?এসব কথা ভাবার মতো কেউ নেই।যদি এলাকার জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ অবসাদে ভুগতে ভুগতে মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে পড়ে,বাচ্চারা আতঙ্কিত হয়ে থাকে,ভবিষ্যত থাকে অন্ধকারে,নির্যাতন-নিপীড়ন চরমে পৌঁছয়, আলোর কোনো রেখা দেখা না যায়,অবস্থা ভালো করার মতো কেউ যদি না থাকেএবং গোটা দুনিয়া চুপচাপ তামাশা দেখতে থাকে...'নাফিসা এরপর কাঁদতে কাঁদতে বলেন :'আমরা সব সহ্য করছি। যথেষ্ট সহ্য করছি। কিন্তু ওই সময় অন্তর কেঁদে ওঠে, মনটা বড়ো ছটফট করে, যখন শুনতে হয়, ওদিকের কিছু লোক বলে, ''ভালোই হয়েছে, ওদের সঙ্গে এরকমই হওয়া দরকার ছিল''! তবুও আমরা ওদের জন্য, কিংবা অন্য কারোর জন্যেও, কখনো বদদোয়া করিনি, অভিশাপ দিইনি। কারোর খারাপ চাইনি। শুধু একটাই দোয়া/প্রার্থনা করেছি, যাতে সমস্ত মানুষ এবং গোটা দুনিয়া আমাদের অবস্থা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারে।অরবিন্দ ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার প্রার্থনা খুব শীঘ্রই মঞ্জুর হবে।'এবার আমি জানতে চাইলাম, 'আপনি কী প্রার্থনা করেছেন, বোন?'তখন নাফিসা ডুকরে ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে যা বলেছিলেন—আমার কানে অনেক দিন বেজেছে—এখন চোখের সামনে দেখতেও পাচ্ছি—তাঁর ব্যথা অনুভব করার চেষ্টা করবেন, হুবহু তাঁর কথাগুলোই তুলে ধরছি :'ইয়া আল্লাহ ! যাকিছু আমাদের ওপর হচ্ছে তা যেন অন্য কারোর উপর না হয়, শুধু তুমি এমন একটা কিছু করে দাও যাতে গোটা পৃথিবী কিছুদিনের জন্য নিজেদের ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে বাধ্য হয়, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায়। তাহলে হয়তো দুনিয়া এটা অনুভব করতে পারবে যে, আমরা বেঁচে আছি কেমন করে !'আজ আমরা সবাই যে যার ঘরে বন্দি। আমার কানে নাফিসার সেই কথাগুলো যেন বাজছে— 'ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার দোয়া খুব শীঘ্রই কবুল হবে...!' সৌজন্যে- মোহাম্মদ হাদীউজ্জামান সাহেব।
Sunday, April 12, 2020
উত্তর করিমগঞ্জের সমষ্টির অধীনে সুতারকান্দি জারাপাতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারে বন্দি থাকা ভারতীয় ও অসহায় লোকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে গতকাল সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক শ্রীকমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ । সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করেন কাঁটাতারের ভিতর অসহায় মানুষদের এবং তাদের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন ।News Published in Dainik Samayik Prosango on dated 12-04-2020
#বিপদগ্রস্থদের_দান_ও_ছবি_তুলা_প্রসঙ্গ:লকডাউনের ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকা পড়েছেন। কর্মসংস্থানে কেউ কোথাও যেতে পারছেন না। ফলে খাদ্য সংকট ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে।যার জন্য বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও, সংগঠন অথবা ব্যক্তিগতভাবে তাদের যথাসাধ্য বিপদগ্রস্থদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।যা প্রশংসাযোগ্য। ইদানিং কিছু ত্রাণ বন্টন ও ছবি তোলা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক দেখা গেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে দান সদকা গোপনে বা প্রকাশ্যে করার বিধান আছে। কিন্তু গোপনে দান সদকা করা উত্তম। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (দঃ) বলেছেন উত্তম সদকা হল ডান হাত দিয়ে দান করলে বাম হাত যাতে টের না পায় (অর্থাৎ অত্যন্ত গোপনীয়)। পক্ষান্তরে প্রকাশ্যে দান-সদকার কথা পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ২৭১ নং আয়াতে উল্লেখ আছে। তবে প্রকাশ্যে সদকার ক্ষেত্রে নিয়ত পরিশুদ্ধ হতে হবে(অর্থাৎ নিজেকে দাতা হিসাবে জাহির না করা)। প্রকাশ্যে দান করার (ছবিসহ) উদ্দেশ্যে যদি অন্যদেরকে উৎসাহিত করা হয় তবে ইহা ইসলামের সম্পূর্ণ বৈধ।কেননা অন্যান্য ধনীরা উৎসাহিত হয়ে দান করলে আখেরে বিপদগ্রস্তদের সাহায্য হবে। তাই, আসুন সবাই মিলে বিপদগ্রস্তদের যতটুকু সম্ভব সাহায্য করি। যারা দিচ্ছেন তাদের আরও উৎসাহিত করি।আর হ্যাঁ, ছবি দেওয়ার সময় যাতে ওদের মুখমন্ডল প্রকাশ্যে না আনি (মুখে কোন ষ্টিকার বসিয়ে দিলে হবে) । কারণ ওদের ও আত্মসম্মান আছে। জেনে রাখবেন, #ওরা_ভিখারী_নয়, #ওরা_অভাবী।ধন্যবাদ।।
#মুফতি_মিজানুর_রহমান_সাঈদ_এর #জরুরী_আহ্বানসম্প্রতি ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বের বিজ্ঞ বিজ্ঞ মুফতিয়ানে কেরামের একটা যুগান্তকারী ফতোয়াকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা সমালোচনা চলছে।করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মসজিদসমূহে 'লকডাউন' বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায় যে সকল পুরুষ মসজিদে এসে জুমা আদায় করতে ভীষণভাবে অপারগ হয়ে পরেছেন, তারা নিজেদের বাসা-বাড়ীতে জুমা আদায় করবেন নাকি যোহর ? শাইখুল ইসলাম আল্লামা মুফতি তাকী উসমানিসহ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কিছু মুফতিয়ানে কেরামের ফতোয়া হচ্ছে, মুসলিমপ্রধান দেশসমূহে জুমা আদায় না করে যোহর আদায় করা। কাফের প্রধান দেশে জুমা আদায় করতে চাইলে আদায় করা। বাংলাদেশের মুফতিদের মধ্যে আল্লামা মুফতি আব্দুল মালেক হা., মুফতি দেলাওয়ার হুসাইন হা. অন্যতম। এবং আমি অধমও তাঁদের দেয়া ফতোয়ার সাথে একাত্বতা পোষণ করেছি। এ সম্পর্কে আমার বক্তব্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ ।অপরদিকে বাংলাদেশের আরো কিছু বিজ্ঞ মুফতিদের ফতোয়া হচ্ছে, বাসা-বাড়ীতে কিছু শর্তের আলোকে যোহর নয়, বরং জুমা আদায় করা। এদের মধ্যে, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ফকীহ ও আহলে ইলম আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী হাফি. ও মুফতি মানসুরুল হক হাফি. অন্যতম । তবে আমরা যারা যোহর আদায় করার পক্ষে ফতোয়া দিয়েছি, আমাদের দ্যার্থহীন বক্তব্য হলো, যে কেউ বিজ্ঞ কোন আহলে ইলমের ফতোয়া অনুসরণে জুমা আদায় করলে তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে পুনরায় তাকে যোহর আদায করতে হবে না। যদিও আমাদের নিকট সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ফতোয়া হচ্ছে, যোহর আদায় করা, জুমা নয়। ফতোয়া ভিন্ন হওয়ার কারণ হলো, বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন। নবাগত বিষয়ে আহলে ইলমদের নিজস্ব 'ইজতিহাদ' গবেষণা করার ন্যায্য অধিকার আছে। বিধায়, পরস্পরের মাঝে মতভিন্নতা হওয়াটা স্বাভাবিক। স্বয়ং শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানি দা:বা.ও তাঁর লিখিত ফতোয়ার মধ্যে মতপার্থক্যের বিষয়টি খুব শ্রদ্ধার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছেন।তাই এটাকে কেন্দ্র করে আলোচনা সমালোচনার দ্বার উন্মোচন করা, কোন আহলে ইলম বুযুর্গের মান - মর্যাদা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাঁর শানে অশালীন ভাষা ব্যবহার করা উলামায়ে দেওবন্দের আদর্শ পরিপন্থী । সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, মেহেরবানী করে এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করি। তাহকীক ছাড়া কারো ব্যাপারে অহেতুক গুজব রটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকি।যার কাছে যাকে গ্রহণযোগ্য মনে হয় তাঁকে অনুসরণ করে আমল করি। আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক দান করুন। والله تعالى أعلم بالصواب বিনীত মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। ঢাকা,বাংলাদেশ ১২|০৪|২০২০ইং
📌موت العالِم موت العالَم📌یکے بعد دیگرے اکابر علماء کی رحلتاس دورِ قحط الرجال میں اکابرین امت تیزی کے ساتھ رخصت ہورہے ہیں۔ 1) کل بروز ہفتہ سویرے معروف عالم دین حضرت مولانا حفظ الرحمن صاحب پالنپوری کاکوسیؒ کی وفات ہوئی۔2) بعد مغرب جامعہ اشرف العلوم گنگوہ کے شیخ الحدیث حضرت مولانا وسیم احمد صاحب سنسارپوری کی رحلت ہوئی۔3) ابھی آج بعد فجر شیخ التفسیر جامعہ اشاعت العلوم اکل کوا حضرت مولانا عبد الرحیم فلاحی کا بھی انتقال ھوگیا۔انا للہ وانا الیہ راجعون۔اللہ پاک تمام مرحومین کی بال بال مغفرت فرمائے،جنت الفردوس میں جگہ عطا فرمائے، ملت کو نعم البدل عطا فرمائے، پسماندگان کو صبر جمیل عطا فرمائے. آمین۔۔
#আল্লাহর_রাসূলের_কথা_সত্য_হলোঃ🍯️🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯#সম্মানিত_উপস্থিতিঃ ইসলাম ধর্ম এটা একটা পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা! এই জীবন ব্যবস্থার মধ্যে কেউ নতুন কিছু ঢোকাতে পারবে না এবং কেউ এর থেকে কিছু বার করতে পারবে না!আল্লাহ যা কুরআনে বলে দিয়েছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে! এবং আমাদের শেষ রাসুল শেষ নেতা যা বলে দিয়েছেন তাও কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে!আজ পুরো পৃথিবী ছোট্ট একটি আল্লাহর আযাব করোনাই পুরো পৃথিবী কম্পমান! ফ্রান্স আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড পশ্চিমা দেশগুলো এত উন্নত হওয়া সত্ত্বেও এই সংক্রমণ রোগ কে আটকাতে পারছে না!এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের ফতোয়া দিয়ে চলেছেনঃ আফ্রিকার খৃষ্টান পাদ্রী বলছেন! ডেটল খান এই করোনা থেকে মুক্তি পাবেন! অথচ এই খ্রিস্টান পাদ্রীর কথা শুনে 59 জনের মতো মৃত্যু হয়েছেঃ ভারতের একদল মূর্খ লোকেরা বলছে গোমূত্র পান করুন তাহলেই এই করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে যাবেন! অথচ এই গোমূত্র পান করে অনেকে সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন!এই উন্নত যুগে ও এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য কোনো বিজ্ঞানী এর চিকিৎসা সঠিক বার করতে পারছে না! বিধর্মীদের কাছে আমার প্রশ্নঃ এত উন্নত যুগ হওয়া স্বত্তেও সামান্য ছোট্ট একটা ভাইরাসের কোনো ট্রিটমেন্ট বার করতে পারছে না! তাহলে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে এই ভাইরাসের ঔষুধের কথা কিভাবে জানা গেলোঃহাঁ মানব জাতির আদর্শ! আমাদের শেষ রাসুল বলে গেছেন এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা! আজ তা প্রমাণিত হলো!শুধু কালোজিরা ও মধু খেয়ে করোনা থেকে সুস্থ হলেন নাইজেরিয়ার গভর্নর!নাইজেরিয়ার ওয়ো রাজ্যের গভর্নর সেয়ি মাকিন্দে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন! গত সপ্তাহেই ধরা পড়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত! কিন্তু এখন তিনি করোনা মুক্ত! করোনার হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন! পরে সোমবার তিনি জানিয়েছেন. কী করে করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন!কী ধরনের খাবার তিনি খেয়েছেন! করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি আইসোলেশনে ছিলেন! তিনি জানিয়েছেন! শুধু কালোজিরা আর মধু খেয়েই তিনি করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন? করোনার হাত থেকে বাঁচতে শরীরের ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার কথা বলেন তিনি!#তিনি_বলেনঃ ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার উপাদান আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে! গভর্নর সেয়ি মাকিন্দে বলেন! ওয়ো রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা বোর্ডের নির্বাহী সচিব ডঃ মাইদেন ওলাতুনজি আমার হাতে কালোজিরা তুলে দেন! তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে দেন তিনি! আমি সেটা খেয়েছি! আর এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলোই ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে আর করোনা ভাইরাস নির্মূল করে!তিনি বলেনঃ মাইদেন ওলাতুনজি কালোজিরা আর মধুর মিশ্রণটি সকালে একবার ও সন্ধ্যায় একবার খেতে বলেন! আমি সেই উপদেশ মেনে চলেছি! আমি এখন ঠিক আছি! সুস্থ অনুভব করছি!সূত্র: বিডি প্রতিদিনঃকালোজিরা খাওয়ার ব্যাপারে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন! এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ! আয়েশা রাঃ বলেন! আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু! [সহীহ-বুখারী-৫৬৮৭]#মোট_কথাঃ এই কালো কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত প্রতিটি রোগেরই ঔষধ! অন্য কোনো চিকিৎসা গ্রহণ করতে না পারলেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে চিকিৎসা দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে সব ধরনের রোগের জন্য উপকারী!#অতএব_চলমান_পরিস্থিতিতেঃ কালোজিরা খাওয়ার এ চিকিৎসা আমরা গ্রহণ করতে পারি! কালোজিরা ছাড়াও আরেকটি মহা ঔষধের নাম হলো 🍯 মধু! #যার_কথা_কুরআন_বর্ণিত_হয়েছেঃআল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেনঃ মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের শরাব (মধু) বের হয়! তাতে রয়েছে মানুষের আরোগ্য! [সূরা নাহল-৬৯]#এ_আয়াত_থেকে_প্রমাণিত_হয় যে. মধু পান করা যে কোনো রোগের জন্য উপকারী! এছাড়া গরুর দুধ সেবন করা যায়! হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন!তোমাদের জন্য গরুর দুধ গ্রহণ করা উচিৎ কেননা তা বিভিন্ন গাছ [ঘাস] থেকে তৈরি আর তা সকল রোগের ঔষধ! [মুসতাদরাকে হাকেম-৮২২৪]হাঁ আমরা মুসলিম জাতি আমরা যোদ্ধা নবীর উম্মত! আমরা মূর্খ জাতিদের অন্তর্ভুক্ত নয়! আমরা গরুর দুধ খায় কিন্তু গরুর মুত খাই না!#এ_হাদীস_থেকে_প্রমাণিত_হয় যে. গরুর দুধের মধ্যে রোগ নিরাময়ের গুণ রয়েছে! কিন্তু গরুর মুতের মধ্যে নয়! সুতরাং রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য গরুর দুধ পান করা যেতে পারে! কিন্তু মূর্খদের মত গরুর মুত নয়!
تمام صوبوں کے وزرائے اعلیٰ نے مودی کے ساتھ ویڈیو کانفرنسنگ کے ذریعے میٹنگ میں اس پر اتفاق کیا کہ فی الحال کم از کم 30 اپریل تک لاک ڈاؤن بڑھایا جائے صرف اعلان آنا باقی ہےاللہ پوری انسانیت بالخصوص مسلمانوں کے ساتھ رحم و کرم کا معاملہ فرمائےسب کی جان و مال، ایمان اور عزت و آبرو کی حفاظت فرمائےتمام ضروریات کا غیب سے انتظام فرمائےالَّذِیْ خَلَقَنِیْ فَہُوَ یَہْدِیْنِ ﴿ۙ۷۸﴾وَ الَّذِیْ ہُوَ یُطْعِمُنِیْ وَ یَسْقِیْنِ ﴿ۙ۷۹﴾وَ اِذَا مَرِضْتُ فَہُوَ یَشْفِیْنِ ﴿۪ۙ۸۰﴾
*লকডাউন কে যাহারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় ঘটনা।**মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমির একটি ঘটনা যা বর্তমান সময়ের বাস্তবতা*একবার একলোক তীব্র ঝড়ের সময় একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিলো। অন্য একলোক এসে তাকে বলল, "ঝড়ের সময় সাধারনত গাছের উপরেই বজ্র পড়ে।সুতরাং এখান থেকে সড়ে যাও।"*সে আল্লাহর উপর ভরসা করে দাঁড়িয়ে থাকল।* অতপর আরেকজন এসে তাকে একই উপদেশ দিলেও সে তার অবস্থানে থাকল।অবশেষে তৃতীয় এক আল্লাহর বান্দা এসে যখন তাকে একই উপদেশ দিলো, সে আগের মত উত্তর দিলো যে, *" আল্লাহ ভরসা"**অবশেষে লোকটি বজ্রপাতে মারা যায়।*দূর থেকে এক আল্লাহওয়ালা পুরো ঘটনাটা দেখে বলতে লাগলেন যে, লোকটি আল্লাহর উপর এত ভরসা করল তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাকে রক্ষা করলেন না!*মাওলানা রূমি (রাহঃ) বললেন,* আল্লাহ এই ব্যক্তিকে বাচানোর জন্য ওই তিনজন লোককে পাঠিয়েছিলেন।কিন্ত সে নিজের ধ্বংসের কথা বিশ্বাস করে নি।**মাওলানার এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ,* পাশাপাশি সেই দেশগুলো থেকেও শিক্ষা নেয়া উচিৎ যারা এখনো বলছে, যদি সময়মত লকডাউন করা হত তাহলে হয়ত এত ক্ষয়ক্ষতি হত না। আবার কিছু মানুষ এখনো জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করছেন, আবার কিছু মানুষ মসজিদে আসতে এখন তাদের ভয় করছে না,, কিন্তু তাহারা অবস্থার প্রতিকূলে চলছে,, নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনার মত কিছু করছেন,,, সাবধান হয়ে যান।। *ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন প্রতিবেশীকে সুস্থ রাখুন নিজের প্রতি খেয়াল রাখুন*( Copy post)
Saturday, April 11, 2020
ভারত বিভাজনের সময়ে বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল । যাইহোক তদানীন্তন সময়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও জমিয়ত উলামার নেতাদের নেতৃত্বে ওই এলাকা আবারও ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত হয় । লাফাশাইল এলাকার উত্তর ও কিছু অংশের পশ্চিম সীমানা দিয়ে কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে । আর ওই কুশিয়ারা নদীই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সহিত ভারতের সীমারেখা । প্রাক্ স্বাধীনতার সময়ে লাফাশাইল এলাকার বেশিরভাগ আত্মীয়তা বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ছিল । সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরা কারবার করতে থাকেন । তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষেতকৃষি ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । আর বিকল্প রোজগারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । সেহেতু লাফাশাইল এলাকার আর্থিক ও সামাজিক মান অতি নিম্নমানের ছিল । বৃহত্তর লাফাশাইল করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি বৃহৎ ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম । ইদানীং ওই বৃহত্তর এলাকাকে তিনটি রাজস্ব গ্রামে ভাগ করা হয়েছে যথা- লাফাশাইল ১ম খণ্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড হিসেবে । বর্তমানে ওই তিনটি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি । এলাকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ৭৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী । উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব বেশি হৃদ্যতা রয়েছে, কোনও দিন সম্প্রীতির বন্ধনে চিড় ধরেনি । স্বাধীনতার আগে তিনটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব, ১৬৩ নম্বর লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮১ নম্বর দক্ষিণ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ।পরবর্তীতে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জিন্নাতুন্নেসা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিজ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় । জাগতিক প্রাথমিক শিক্ষার ৫ টি বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হলেও ইসলামিক শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রথমে লক্ষ্মীবাজার আশরাফুল উলুম জালালীয়া মাদ্রাসা ও পরবর্তীতে লাফাশাইল মোহাম্মদীয়া তৈয়ীবিয়া আলিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটিই স্থাপিত হয় । লাফাশাইল এমই স্কুল নামে খ্যাত ভেঞ্চার স্কুলটি আজও সরকারি অবহেলায় ধুঁকছে । সর্বশেষে ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল যেটি লক্ষ্মীবাজার রিলায়েন্স একাডেমী নামে পরিচিত । বৃহত্তর লাফাশাইলের তিনটি গ্রামই শৈক্ষিক, আর্থিক ও সামাজিক তথা উপযুক্ত পানীয়জলের সুবন্দোবস্থ নেই । রাস্তাঘাট মোটামুটি উন্নত হওয়ার পথে , তাও আবার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বদৌলতে । ২০১১ সালের আগমূহুর্তে ওই এলাকায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না । বিশেষ করে প্রথমে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত সড়ক ও পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় । তখন মানুষের রোজগার শূন্যতা দেখা দেয় । এতে কিশোর, যুবক ও প্রৌঢ়রা রোজগারের তাগিদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন । কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নয়ন হয় । একদা লাফাশাইল ৩য় খণ্ড শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে বাকি দুটি গ্রাম থেকে এগিয়ে ছিল , বর্তমানে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে । তার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চোরা কারবার ।আশা করি এসব বন্ধ হলে সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।
ভারত বিভাজনের সময়ে বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল । যাইহোক তদানীন্তন সময়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও জমিয়ত উলামার নেতাদের নেতৃত্বে ওই এলাকা আবারও ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত হয় । লাফাশাইল এলাকার উত্তর ও কিছু অংশের পশ্চিম সীমানা দিয়ে কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে । আর ওই কুশিয়ারা নদীই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সহিত ভারতের সীমারেখা । প্রাক্ স্বাধীনতার সময়ে লাফাশাইল এলাকার বেশিরভাগ আত্মীয়তা বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ছিল । সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরা কারবার করতে থাকেন । তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষেতকৃষি ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । আর বিকল্প রোজগারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । সেহেতু লাফাশাইল এলাকার আর্থিক ও সামাজিক মান অতি নিম্নমানের ছিল ।
বৃহত্তর লাফাশাইল করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি বৃহৎ ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম । ইদানীং ওই বৃহত্তর এলাকাকে তিনটি রাজস্ব গ্রামে ভাগ করা হয়েছে যথা- লাফাশাইল ১ম খণ্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড হিসেবে । বর্তমানে ওই তিনটি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি । এলাকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ৭৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী । উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব বেশি হৃদ্যতা রয়েছে, কোনও দিন সম্প্রীতির বন্ধনে চিড় ধরেনি ।
স্বাধীনতার আগে তিনটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব, ১৬৩ নম্বর লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮১ নম্বর দক্ষিণ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ।পরবর্তীতে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জিন্নাতুন্নেসা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিজ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় । জাগতিক প্রাথমিক শিক্ষার ৫ টি বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হলেও ইসলামিক শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রথমে লক্ষ্মীবাজার আশরাফুল উলুম জালালীয়া মাদ্রাসা ও পরবর্তীতে লাফাশাইল মোহাম্মদীয়া তৈয়ীবিয়া আলিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটিই স্থাপিত হয় । লাফাশাইল এমই স্কুল নামে খ্যাত ভেঞ্চার স্কুলটি আজও সরকারি অবহেলায় ধুঁকছে । সর্বশেষে ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল যেটি লক্ষ্মীবাজার রিলায়েন্স একাডেমী নামে পরিচিত । বৃহত্তর লাফাশাইলের তিনটি গ্রামই শৈক্ষিক, আর্থিক ও সামাজিক তথা উপযুক্ত পানীয়জলের সুবন্দোবস্থ নেই । রাস্তাঘাট মোটামুটি উন্নত হওয়ার পথে , তাও আবার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বদৌলতে । ২০১১ সালের আগমূহুর্তে ওই এলাকায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না । বিশেষ করে প্রথমে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত সড়ক ও পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় । তখন মানুষের রোজগার শূন্যতা দেখা দেয় । এতে কিশোর, যুবক ও প্রৌঢ়রা রোজগারের তাগিদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন । কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নয়ন হয় ।
একদা লাফাশাইল ৩য় খণ্ড শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে বাকি দুটি গ্রাম থেকে এগিয়ে ছিল , বর্তমানে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে । তার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চোরা কারবার ।আশা করি এসব বন্ধ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।
Friday, April 10, 2020
#অভিনন্দন_রিজওয়ান_আলম_বড়ভূইয়া।#তাবলীগ_নিয়ে_অপপ্রচারের_ধূম্রজাল_ছিন্ন_করলেন_আপনি।সিংহভাগ মিডিয়া তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জামাত নিয়ে অনেকের মনে উঁকি মারছে নানা প্রশ্ন । তাবলীগের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরতে অনেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমতাবস্থায় অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় তথ্য ও যুক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে মিডিয়ার অপপ্রচারের ধূম্রজাল ছিন্ন করেছেন তরুণ লেখক রিজওয়ান আলম বড়ভূইয়া। দৈনিক গতি পত্রিকায় তিনি নিরপেক্ষভাবে তাবলীগের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে অপপ্রচার কারীদের মুখে চুনকালি লেপে দিয়েছেন। হৃদয় নিংড়ানো উষ্ণ অভিনন্দন রইলো রিজওয়ান ভাইয়ের প্রতি।
জুমা পড়বো না যোহর? দারুল উলূম দেওবন্দের দিকনির্দেশনাভূমিকা: দারুল উলূম দেওবন্দের সম্মানিত মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী (হাফিজাহুল্লাহ) দারুল উলূম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে একটি প্রশ্ন পেশ করেন। দারুল উলূম দেওবন্দের সম্মানিত মুফতিগণ তার সমাধান প্রদান করেন। নিম্নে কেবল সমাধানপত্রের নির্বাচিতাংশের অনুবাদ প্রদান করা হলো। শহর ও শহরতলী এবং বড় গ্রাম (যেখানে জুমার শর্ত পাওয়া যায় এবং জুমা ফরজ হয়) সেখানকার মসজিদগুলোতে যেমনি পূর্ব থেকে জুমার নামায অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে তেমনি বর্তমান অবস্থায়ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সংখ্যক লোকজন মিলে জুমার নামায আদায় করবে, অবশ্যই জামাতে ইমাম ব্যতীত তিনজন পুরুষ মুকতাদি হওয়া জরুরি। যদি কোন শহর বা অঞ্চলের কিছু মসজিদে পূর্ব থেকে জুমার ব্যবস্থা আছে, আর কিছু মসজিদে জুমার ব্যবস্থা নেই, তাহলে বর্তমান সময়ে সেখানেও (প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে পরিস্থিতি পরির্বতন না হওয়া পর্যন্ত) চার-পাঁচ জন মিলে জুমার নামায আদায় করবে। যেন কিছু মানুষ সেখানে জুমা আদায় করার সুযোগ পায়। জ্ঞাতব্য বিষয় হলো, বর্তমান সময়ে মসজিদে চার-পাঁচজনের অধিক মানুষ একত্রিত হতে নিষেধ করা হয়েছে; এটি সরকারী নিয়ম পালনার্থে করা হয়েছে। সুতরাং এমন নিষেধ ‘সর্ব সাধারণের অনুমতি থাকা’ (যা জুমার নামায ছহীহ হওয়ার জন্য শর্ত) এর বিপরীত নয়। কেননা, এখানে মানুষকে জুমা থেকে বিরত রাখা উদ্দেশ্য নয় বরং নিয়ম ভঙ্গ করলে বড় বিপদে পতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এই বাধা-নিষেধ। اما اذا كان لمنع عدو يخشى دخوله وهو في الصلاة فالظاهروجوب الغلق اه. حلبي (حاشية الطحطاوي على الدر، 1: 344)قوله: "لم تنعقد" يحمل على ما إذامنع الناس لاماإذاكان لمنع عدو أولقديم عادة، وقدمر (المصدرالسابق)(আরো দলিল মূল ফতোয়া থেকে দেখে নিন....) পাড়া-মহল্লার যে সকল লোক মসজিদে জুমার নামায আদায় করতে পারবে না, তারা নিজেদের বাড়ির সামনে বৈঠকখানা কিংবা ঘরের বাহিরের বারান্দায় অন্য লোকদের অংশগ্রহণের অনুমতি সাপেক্ষে জুমার নামায আদায় করতে পারবে। (তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বাধা-নিষেধ না থাকতে হবে) অন্যান্য লোকদের অংশগ্রহণের অনুমতির অর্থ আশ-পাশের মানুষদেরকে অবগত করবে যে, এখানে জুমার জন্য কেউ আসতে চাইলে আসতে পারবে। যদি জনস্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ জনের অধিক ব্যক্তির সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়, (যেমন বাংলাদেশে জুমার জন্য ১০ জনের অধিক মানুষ একত্রিত হওয়াকে নিষেধ করা হয়েছে) তাহলে তারাও কয়েকজন মিলে জুমার নামায আদায় করবে। তবে ইমাম ব্যতীত নুন্যতম তিনজন বালেগ পুরুষ মুকতাদি হতে হবে। তাদেরকে নিয়ে ইমাম সাহেব সংক্ষিপ্ত খুতবা ও সংক্ষিপ্ত কেরাতের মাধ্যমে জুমার নামায আদায় করবে। যে সকলস্থানে কয়েকজন মিলেও জুমার নামাযের ব্যবস্থা করা না যায়, সেখানে তারা একাকি যোহরের নামায আদায় করবে। তাতে তাদেরকে অপারগ মনে করা হবে। জুমা ছেড়ে দেয়ার কারণে গুনাহগার হবে না। যে সকল ছোট গ্রামে পূর্ব থেকেই জুমা ফরজ নয়, সেখানে মানুষ একাকি কিংবা কয়েকজন মিলে জামাত সহকারে যোহরের নামায আদায় করবে। দলিল সহ বিস্তারিত ফতোয়ার কপি থেকে পড়ুন…..অনুবাদ ও সম্পাদনা: সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী
Tuesday, April 7, 2020
মানুষ চাইলে কি না করতে পারে ।
১৮৮৫ সাল...প্যারিস। বাড়ির সদর দরজার সামনে খেলা করছিল নয় বছরের ছেলে যোসেফ...যোসেফ মেইস্টার। যোসেফের মা মাদাম মেইস্টার ব্যস্ত ঘরের কাজে। হঠাৎ ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে চমকে উঠলেন তিনি। তাড়াতাড়ি দৌড়ে গেলেন সদর দরজায়...সামনের দৃশ্য দেখে ভয়ে অসাড় হয়ে গেল তাঁর শরীর।
একটা কুকুর...অদ্ভুত তার চোখের চাউনি...মুখ দিয়ে লালা গড়াচ্ছে...চাপা গর্জনের সঙ্গে কুকুরটা সজোরে কামড়ে ধরেছে যোসেফের পা...যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে যোসেফ। সম্বিত ফিরে পেয়ে কুকুরটাকে একটা লাথি মারলেন মাদাম মেইস্টার...কুকুরটা একটু দূরে ছিটকে পড়লো। যোসেফের রক্তমিশ্রিত লালা ঝরছে তার মুখ থেকে। খানিকক্ষণ ক্রূর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে চলে গেল কুকুরটা।
কুকুরটাকে চিনতে পেরেছেন মাদাম মেইস্টার। এটা পাশের পাড়ার সেই পাগলা কুকুরটা...যেটা ইতমধ্যেই দু'জনকে কামড়েছে...দু'জনেই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে...ডাক্তার বলেছেন, জলাতঙ্ক হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা...বাঁচার কোনো আশা নেই! সেই কুকুরটাই কামড়েছে তাঁর একমাত্র ছেলে যোসেফকে!
মাথা খারাপ হয়ে গেল মাদাম মেইস্টারের। ছেলেকে নিয়ে ছুটলেন স্থানীয় ডাক্তারের কাছে...একটাই আর্জি…"ছেলেকে বাঁচিয়ে দিন"। যোসেফের পায়ের ক্ষতর ড্রেসিং করলেন ডাক্তার। বললেন, "এই রোগের কোনো ওষুধ নেই...মৃত্যু আসবে দু' সপ্তাহের বা খুব জোর হলে একমাসের মধ্যে...ভবিতব্যকে মেনে নিন...তা ছাড়া কোনো উপায় নেই"।
কাঁদতে কাঁদতে ডাক্তারের হাতে পায়ে ধরলেন মাদাম মেইস্টার…"কিছু একটা করুন...কিছু একটা করে যোসেফকে বাঁচান"। একটু চিন্তা করলেন ডাক্তারবাবু...বললেন, "এখান থেকে একটু দূরে লুই পাস্তুর নামে কেমিস্ট্রির এক প্রফেসর থাকেন। শুনেছি তিনি জলাতঙ্ক রোগের টীকা আবিষ্কার করবার চেষ্টা করছেন। আপনি তাঁর সঙ্গে কথা বলুন"।
যোসেফকে কোলে নিয়ে ডাক্তারখানা থেকেই লুই পাস্তুরের বাড়ির উদ্দেশ্যে ছুটলেন মাদাম মেইস্টার। দেখা করলেন পাস্তুরের সঙ্গে। বললেন, "আমার একমাত্র ছেলে...যেভাবে হোক বাঁচান"।
মাদাম মেইস্টারকে অনেক বোঝালেন পাস্তুর। বললেন, "একথা সত্যি যে আমি জলাতঙ্কর টীকা আবিষ্কার করবার চেষ্টা করছি এবং আংশিক সাফল্যও পেয়েছি। এই টীকা তৈরী করেছি জলাতঙ্কতে ভুগতে থাকা কুকুরের স্পাইনাল
কর্ডের টিস্যুকে ফর্মালিন দিয়ে আংশিকভাবে অকেজো করে। এই টীকা কুকুরের দেহে প্রয়োগ করে সাফল্য পেয়েছি...এই টীকা কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের শরীরে এর প্রয়োগ এখনও করা হয়ে ওঠেনি...অর্থাৎ 'হিউম্যান ট্রায়াল' এখনও হয়নি। 'হিউম্যান ট্রায়াল' এ সফল হলে তবেই একমাত্র এই টীকা মানুষের শরীরে দেওয়ার উপযুক্ত বলে গণ্য হবে...তার আগে নয়"।
সব শুনে লুই পাস্তুরের সামনে যোসেফকে শুইয়ে দিলেন মাদাম মেইস্টার। বললেন, "ওর উপরেই 'হিউম্যান ট্রায়াল' করুন। ওকে পাগলা কুকুরে কামড়েছে...আজ না হোক কাল ও মরবেই...আপনার টীকার দৌলতে যদি বাঁচে!"
পাস্তুর পড়লেন আতান্তরে! একটা ন' বছরের বাচ্ছার উপর হিউম্যান ট্রায়াল! ওইটুকু শরীর কি এই মারাত্মক রোগের টীকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সহ্য করতে পারবে? যদি টীকা'র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যই যোসেফ মারা যায়...নিজের অন্তরাত্মাকে কি জবাব দেবেন তিনি?
পাস্তুর পরামর্শ করলেন নিজের সহকারীদের সঙ্গে, কথা বললেন যোসেফের বাবার সঙ্গে। স্থির হলো...যোসেফের উপরেই প্রথম প্রয়োগ করা হবে পাস্তুরের তৈরী টীকা!
প্রয়োগ করা হল। পাস্তুর এবং তাঁর সহকর্মীদের নেকনজরে রইলো নয় বছরের যোসেফ। একদিন...দুদিন...কেটে গেলো তিরিশটা দিন...যোসেফের শরীরে জলাতঙ্কর কোনো লক্ষণ দেখা গেল না...হিউম্যান ট্রায়াল সাকসেসফুল...আবিষ্কার হল জলাতঙ্কর টীকা!
Person who saves one life saves the entire mankind। লুই পাস্তুরের আবিষ্কৃত ওই টীকা প্রয়োগ করে এর পরের প্রায় একশো বছর ধরে প্রাণ বাঁচানো হয়েছে কোটি কোটি মানুষের। কয়েক বছর আগে অবধি ওই টীকাই ভারত সরকার প্রত্যেক সরকারী হাসপাতালে সাপ্লাই করতো। বিজ্ঞান কখনও থেমে থাকে না। হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল কালচার ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসার পরে পাস্তুরের তৈরী ভ্যাকসিনের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু "ফাদার অফ মাইক্রোবায়োলজি" লুই পাস্তুরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং চিরদিন লেখা থাকবে...পথ প্রথমবার তিনিই দেখিয়েছিলেন।
যে বাড়িতে যোসেফের উপর এই হিউম্যান ট্রায়াল করা হয়েছিল...সেই বাড়ি আজ মহীরুহর আকার ধারণ করেছে...নাম "পাস্তুর ইনস্টিটিউট"...দেশ বিদেশের বিজ্ঞানীরা এই ইনস্টিটিউটে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
কিন্তু সেই ন' বছরের যোসেফ মেইস্টার...তাঁর কি হলো? আপনি শুনলে অবাক হবেন...তিনি বেঁচেছিলেন পঁয়ষট্টি বছর বয়স অবধি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি ফ্রান্সের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পরে লুই পাস্তুর যোসেফকে 'পাস্তুর ইনস্টিটিউট' এর কেয়ারটেকারের পদে বহাল করেন। আমৃত্যু তিনি 'পাস্তুর ইনস্টিটিউট' এর পাহারাদার ছিলেন।
১৯৪০ সাল...দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ফ্রান্স দখল করেছে জার্মানির নাৎসী বাহিনী...প্যারিস শহরে হত্যালীলা চলছে। পাস্তুর ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পালিয়ে গেছেন...নিজের স্ত্রী সন্তানদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দিয়ে পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গেট আগলে বসে আছেন পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ যোসেফ মেইস্টার! তিনি পালিয়ে যাননি...যে ইনস্টিটিউট একদিন তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছিল...নরপিশাচদের হাতে সেই ইনস্টিটিউটকে ছেড়ে যেতে তাঁর মন সায় দেয়নি।
বিশাল নাৎসী বাহিনী যখন পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গেটের সামনে, অশক্ত শরীরে নিজের সার্ভিস রিভলবার তাঁদের দিকে তাক করলেন যোসেফ মেইস্টার…"স্টপ"। নাৎসীরা বৃদ্ধ যোসেফের উপর ফায়ার করলো না...রাইফেলের কুঁদোর ঘায়ে তাঁকে ধরাশায়ী করে বেধড়ক মারধোর করলো। মার খেতে খেতে যোসেফ শুনলেন যে তাঁর স্ত্রী সন্তানেরা নাৎসীদের হাতে ধরা পড়েছেন। ওই অবস্থাতেও তিনি নাৎসীদের অনুরোধ করেছিলেন...লুই পাস্তুরের সমাধিটা যেন নষ্ট না করা হয়…"He saved millions of lives"।
মার খেয়ে মৃতপ্রায় যোসেফ কোনোমতে বাড়ি ফিরলেন। বুঝলেন...তাঁর স্ত্রী সন্তানেরা বন্দী...পাস্তুর ইনস্টিটিউট নাৎসীদের কবলে। নিজের সার্ভিস রিভলবার নিজের কপালে
ঠেকিয়ে ট্রিগার টেনে দিলেন তিনি।
যোসেফের অনুরোধ মেনে নাৎসীরা পাস্তুরের সমাধি নষ্ট করেনি। যোসেফের স্ত্রী সন্তানরাও নাৎসীদের হাত এড়িয়ে শেষ অবধি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আজ সমগ্র পৃথিবী করোনা মহামারীর কবলে। এই ভাইরাসের মারক ক্ষমতা প্রায় ৩%। জলাতঙ্কর জন্য দায়ী রেবিস ভাইরাসের মারক ক্ষমতা কতো জানেন? ১০০%! একবার এই রোগ শিকড় গেড়ে বসলে কেউ বাঁচে না। সেই মৃত্যু বড় যন্ত্রণাদায়ক...বড় ভয়ংকর। লুই পাস্তুর নিজের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন দ্বারা সময়মত 'পোস্ট এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস' এর মাধ্যমে এই ১০০% কে প্রায় ০% এ নামিয়ে এনেছিলেন! সেই পাস্তুর ইনস্টিটিউট আজও আছে। আমি নিশ্চিত...সেখানে দেশ বিদেশের বিজ্ঞানীরা আজ অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন করোনা'র ভ্যাকসিন তৈরী করবার জন্য। আমি নিশ্চিত...আজ না হোক কাল তাঁরা সফল হবেন।
তাই আশা ছাড়বেন না...ভেঙে পড়বেন না। আমরা মানুষ...পৃথিবীর সবচাইতে বুদ্ধিমান জীব...আমরা পারবো না তো আর কে পারবে? সফল আমরা হবই।
স্বার্থ, স্বার্থ! তোমার মানবতা নেই কুসুম!
১৯ মার্চ - ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বপ্রথম পৃথিবীকে জানান যে কোভিড ১৯ এর প্রতিকারের জন্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও এজিথ্রোমাইসিন এর কম্বিনেশন কার্যকরী।
২২মার্চ - আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানি ভারতীয় ঔষধ কোম্পানিগুলিকে বিপুল পরিমাণ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন অর্ডার দিলেন।
২৪ মার্চ - আই সি এম আর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলেন যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন একটি কিমোপ্রোফাইল্যাকটিক (অর্থাৎ কোভিড ১৯ এর প্রোটেকশন) হিসাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ও তাঁদের পরিবারকে দেওয়া যেতে পারে।
২৬ মার্চ - ভারত সরকার এই সহজলভ্য ড্রাগটিকে এইচ ১ তকমা দিলেন। বাজারে যেটুকু হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ছিল সেটি আউট অফ স্টক। অর্থাৎ ওষুধের দোকানে গিয়ে চাইলেই আর এই ওষুধ পাওয়া যাবে না।
৪ এপ্রিল - ভারত সরকার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর রপ্তানি বহির্বিশ্বের কাছে বন্ধ করে দেয়।
৪ এপ্রিল - ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাক্তিগত ভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন পূর্ববর্তী অর্ডারদেওয়া ওষুধের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য।
Reporter - Do you think that THE POLICY OF BANNING THE EXPORT OF DRUGS TO THE WORLD can have a retaliation? And Prime Minister Modi is doing that?
Trump - No, I have previously talked to Prime Minister Modi and requested him to release the ban on Hydroxichloroquine. Our ban has no relation with India's policy.
এপ্রিল ৭ - Donald Trump says, "I spoke to him Sunday morning, called him, and I said, 'We'd appreciate your allowing our supply to come out.' IF HE DOESN'T ALLOW IT TO COME OUT, THAT WOULD BE OKAY, BUT OF COURSE, THERE MAY BE RETALIATION. Why wouldn't there be? I would be surprised if he would, you know, because India does very well with the United States,"
এপ্রিল ৭ - ভারত সরকার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। বিদেশ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেন যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করে ভারত মহামারি আক্রান্ত দেশগুলির পাশে থাকবে।
যা দেখছি তার সবটাই যে ইতিহাস হয়ে থাকছে সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। আমরা পাকিস্তানের নিরিখে নিজেদের ফার্স্ট বয় ভেবে নিয়েছি বহুদিন হল। প্রাইমারি স্কুল পেরিয়ে হাই স্কুলের ক্লাসে এসে দেখলাম পরীক্ষায় পাশ করতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ আসন তো দূর অস্ত। এই মহামারি পেরিয়ে যদি একটি লোকও বেঁচে থাকে তারা মনে রাখবে মানবধর্মের নামে আমরা নিজের দেশের নাগরিককে মহামারির সামনে উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে তার লজ্জাবস্ত্রটুকু কেড়ে নিয়েছিলাম। সভ্যতা ও সংস্কৃতি মনে রাখার লোকের অভাব না পড়ে যায়। মানব ধর্মের বিত্তশালী পূজারীরা, স্কুলের পাঠ্যক্রমে পড়েছিলেন?
"আমি কেটে - ছেঁটে যতদূর সম্ভব খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। বেঁচে থাকতে যতটুকু দরকার খাই এবং দেশের সমস্ত লোক মরে গেলেও যদি সেইটুকু সংগ্রহ করার ক্ষমতা আমার থাকে , কাউকে না দিয়ে নিজেই আমি তা খাবো। নীতিধর্মের দিক থেকে বলছি না, সমাজধর্মের দিক থেকে বিচার করলে দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ।"
পুনশ্চঃ আমেরিকা কিন্তু এই মহামারিতে সমস্ত ধরনের ওষুধ রপ্তানি বন্ধ করেছে এবং ট্রাম্প মহাশয় বেশ ঘাড় ঝাঁকিয়ে স্টক পাইলের কথা বলছেন। আর ভারত ম্যালেরিয়ার উপদ্রবের কারণে বহুদিন ধরেই এই ওষুধ তৈরি করে আসছে। নিজের দেশে শুধু নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ওষুধ অত্যন্ত কম দামে রপ্তানি করছে বিগত বহু দশক ধরে। তাই অমানবিকতার প্রশ্ন না তুললেই হয়।
যারা মিনিটে মিনিটে বিদেশ সফর, আমেরিকার সাথে বিরাট সখ্যতা ও বহি:বিশ্বে ভারতের "ইমেজ" নিয়ে গর্ব করেন তাঁরা নিশ্চই এই সাধারণ জ্ঞানের লেখাটি থেকে পজিটিভ কিছুই পাবেন। বহি:বিশ্ব এই মুহূর্তে ভারতের জনগণের মহান ত্যাগ ও মহান দানের জন্য ভারতের প্রতি এক অনন্য সম্মান প্রদর্শন ও পাকিস্তানের বাপ বাপান্ত করছেন।
দারুল উলুম দেওবন্দে প্রবীণ ছাত্রের মৃত্যু
#দারুল_উলূম_দেওবন্দের_ছাত্রদের_মধ্যে_বয়সে_সবচেয়ে_প্রবীণ_ছাত্র_মুহাম্মাদ_মাজহার_আলী, ঔরাঙ্গবাদ, মহারাষ্ট্র। বয়স ৭৮ বছর। আজ জুমু'আর নামাজের পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। অ্যাম্বুলেন্স-যোগে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর #স্বাভাবিক_মৃত্যু_হয়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
আজ থেকে তিন বছর পূর্বে ৭৫ বছর বয়সে সংসার-পরিবার ছেড়ে ইলমের তীব্র পিপাসা নিয়ে, পরিপূর্ণ আলিমে দ্বীন হওয়ার লক্ষ্যে তিনি এখানে ভর্তি হন। পেশাগত ভাবে তিনি স্কুল-শিক্ষক ছিলেন। আধুনিক শিক্ষার বেশ অনেক ডিগ্রিই তাঁর অর্জনে ছিল। তাঁর মুখেই শোনা, শিক্ষকতার সূত্রে তিনি ইরানেও কিছু সময় কাটিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতাও তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। এই বয়সে উপনীত হয়েও একজন গড়পড়তা ছাত্রের থেকেও তিনি বেশি মেহনত করতেন। মসজিদে কদিমের ৮ নম্বর রুমের সামনে দিয়ে যখনই যেতাম, বেশিরভাগ সময়ই তাঁকে অধ্যয়নরত পেতাম। এই বয়সেও তাঁর ছাত্রসুলভ মেহনত, আচরণ, একাগ্রতা, দায়বদ্ধতা, অধ্যবসায় ইত্যাদি দেখে প্রাচীন যুগের আমৃত্যু ইলম-পিপাসু সাধকদের কথা মনে পড়তে বাধ্য।
তিনি বলতেন, আমি চাই ছাত্রাবস্থাতেই আমার মৃত্যু হোক। অদ্ভুতভাবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর পরিপূর্ণ আলিমে দ্বীন হওয়া ও ছাত্রাবস্থাতেই মৃত্যু হওয়ার দুটি ইচ্ছাকেই একইসাথে পূরণ করেছেন। এ বছর তিনি দাওরা হাদীস (শেষ বর্ষ) -এর ছাত্র ছিলেন। বাৎসরিক পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় তিনি এখনও খাতায় কলমে দারুল উলূম দেওবন্দের ছাত্র। আবার অন্যদিকে কিছুদিন আগেই তাঁর হাদীসের সমস্ত পাঠও সম্পন্ন হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন এবং তাঁর সন্তান সন্ততি ও পরিবার পরিজনকে 'সবরে জামীল' -এর তাউফিক দিন।
☆ সৌদি তুলনা ও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মিডিয়া ☆
_____মুহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিস মাহি
আমাদের দেশের কিছু মানুষ ও কিছু মিডিয়া আছে, যারা নিজেদের সুবিধামতো যখন যার গীত গেয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়, তারই গীত গাওয়া শুরু করে। এবং তাকেই আইডল বানিয়ে, তার সাথে তুলনা করে নিজেরা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে! অথচ আজকে যাকে উপমা বানালো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য, ঠিক তাকেই নিজেদের এজেন্ডা বিরোধী হলে বর্বর, পিছিয়ে পড়া, ও গোঁড়া বলতে ছাড়ে না।
চলমান বিপর্যয়ের সময় একাত্তর টিভি নামক মিডিয়া শুরু থেকেই সোচ্চার ছিল কিভাবে আমাদের মসজিদগুলোতে সম্পূর্ণরূপে নামাজ বন্ধ করে তালা দেয়া যায়। অথচ মসজিদে জামাতের জন্য উপস্থিতি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গণহারে মানুষের ভিড় ও গণজমায়েত চালু ছিল। তারা এসব ব্যাপারে কোনো কার্যকর প্রতিবাদ করেনি। এ প্রসঙ্গে গার্মেন্টস গুলোতে বড় ধরনের শ্রমিকদের উপস্থিতি উল্লেখ্য। এছাড়াও বাস-লঞ্চ রেলস্টেশন গুলোতে মানুষের আবাধে কোন শৃঙ্খলা ছাড়া জমায়েত অব্যাহত ছিল। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল, যখনই সরকার জনগণকে কোন ধরনের সচেতন করা ছাড়াই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করল, পুরো ঢাকা, বাস লঞ্চ রেল ষ্টেশন গুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। একাত্তর টিভিকে সরকারের এই আত্মঘাতী মূলক সিদ্ধান্তের জোরালো কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।
মসজিদে জামাতের ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আলেমগণ শুরু থেকেই তাদের সতর্কতামূলক নির্দেশনা জাতিকে জানিয়ে এসেছেন। এবং তারা সীমিত আকারে জামাত চালু রাখার ব্যাপারে অভিমত দিয়েছেন। ষাট বছরের বেশি ও শিশু মুসল্লিদের মসজিদে উপস্থিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সাধারণ সর্দি কাশি রোগীদেরও মসজিদে উপস্থিত হওয়া থেকে বারণ করেছে ন। আর যদি কেউ করোনা রোগী হয়ে থাকে তার তো মসজিদে আসার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আবেগি মানুষ ও মৌসুমী মুসল্লিগণ আলেমদের কথায় খুব একটা কর্ণপাত করেননি। সেজন্য এখন সরকারি নির্দেশেই পাঁচ দশ জনের জামাত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং এটা সবার জন্য মঙ্গল জনক।
একাত্তর টিভি শুরু থেকেই যতটা না উঠে পড়ে লেগেছিল মসজিদ বন্ধের পেছনে, এর সিকিভাগও অন্যান্য জমায়েত গুলোর ব্যাপারে কথা বলেনি। তারা যেমনটা মসজিদ বন্ধের জন্য সরব ছিল, মন্দির গির্জা গুলোর ব্যাপারে কিংবা ভিন্নধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি তাদের। অথচ ভিন্নধর্মীরা ঠিকই তাদের উপাসনা ইত্যাদি চালিয়ে গিয়েছে। যেগুলোতে ব্যাপক মানুষের জমায়েত ছিল।
এথেকে তাদের ইসলাম বিরোধী ও বিদ্বেষী মনোভাব ভালোভাবে প্রকাশ পায়। এবং এদের একপেশে নীতি সবসময় ইসলাম এবং মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি নীতির বিরুদ্ধে বেশি দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে পশ্চিমাদের অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণই কাজ করে বলে মনে হয়। এ প্রসঙ্গে আমি আরো একটি উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। সেটা হলো করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ কে পুড়িয়ে ফেলার মত ধৃষ্টতামূলক প্রস্তাবও তারা তাদের মিডিয়ায় করেছে। অথচ ঠিক একই অনুষ্ঠানে দেশের একজন প্রখ্যাত ডাক্তার বলেছেন, করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ কে সতর্কতার সাথে দাফন করে ফেললে তিন কি চার ঘন্টা পরে ঐ লাশ থেকে আর ভাইরাস ছড়ানোর কোন আশঙ্কা থাকে না। আর এখনতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এবং বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর থেকেও বলা হয়েছে যে, করোনা রোগীর লাশ দাফনে কোন ধরনের ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি নেই।
যাক যে প্রসঙ্গ নিয়ে লেখাটা শুরু করেছি সে বিষয়ে আসি। একাত্তর টিভি তাদের মসজিদ বন্ধের এজেন্ডার পেছনে সৌদি আরবকে টেনে এনেছে বারবার। কাউকে আইডল বানাতে হলে তার সবকিছুই অনুসরণীয় হওয়া উচিত। এই কোরোনার কথাই ধরি, সৌদি আরব করোনা বিষয়ে শুরু থেকেই সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেছে সর্বক্ষেত্রে।
জনগণকে সচেতন করার জন্য এমন কোন মাধ্যম নেই যা তারা ব্যবহার করেনি। রোজ আট দশবার করে প্রত্যেক নাগরিক ও বিদেশীদের মোবাইলে দিকনির্দেশনা মূলক এসএমএস পাঠানো, বিভিন্ন জায়গায় ফ্রী মাস্ক বিতরণ, স্যানিটাইজার বিতরণ, ব্যাংক অফিস-আদালতে স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখা, নিজেদের লোকরা বাইরের কোন কান্ট্রি থেকে আসার সাথে সাথে ফাইভ স্টার হোটেলে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা সহ অসংখ্য সাধুবাদ জানানোর মতো পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। করণা রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে সৌদি সরকার শতভাগ বদ্ধপরিকর। এবং কি যে সকল বিদেশি সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের চিকিৎসা ও সম্পূর্ণ ফ্রি দেয়ার জন্য বাদশা সালমান আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু করুন। এটা মানবতা এবং মানবিকতার অতি উত্তম একটি উদাহরণ বলতে হবে।
অথচ বাংলাদেশের সরকার যখন তার প্রবাসী নাগরিকরা দেশে আসলো, তাদেরকে অযত্নে-অবহেলায় হজ ক্যাম্পে পাঠিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আহার পানীয় ছাড়া, কোন ধরনের ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতি ছাড়া বন্দী অবস্থার মধ্যে রাখল। প্রবাসী ভাইদের শিশুরাও এই চরম অবহেলা থেকে বাদ যায়নি। এতে করে কিছু ক্ষুব্দ প্রবাসী যখন দেশের সিস্টেমকে দোষারোপ করে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটালো, তখনই একাত্তর টিভির মতো মিডিয়াগুলো এবং সারাদেশের স্বার্থপর মানুষগুলোও এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে এবং ঘৃণা ছড়াতে শুরু করলো। একটুও দ্বিধাবোধ করেনি, সতেরো আঠারো ঘণ্টা জার্নি করে আসা মানুষগুলো এমন অবহেলা পেলে তাদের মানসিক অবস্থাটা কেমন হতে পারে বুঝতেও চেষ্টা করেনি।
বর্তমান বিপর্যয়ে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা আর নাই বা বললাম। সবাই দেখছেন কিভাবে ডাক্তাররা নিজেদের দায়িত্ব কে এড়িয়ে চেম্বার বন্ধ করে সাধারণ রোগীদের পর্যন্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছেন। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের কোন কার্যকর ভূমিকা নজরে পড়ছে না। শুধুমাত্র চিকিৎসায় অবহেলার কারণে বিনা চিকিৎসায় অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে সারাদেশে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাস্তাঘাটে লাশ পড়ে থাকতেও দেখা যাচ্ছে।
কথা হল এই মিডিয়াগুলো যখন মসজিদের ব্যাপারে সৌদি আরবের সাথে তুলনা করছিল, তাদের উচিত ছিল পাশাপাশি সৌদি আরবের এমন কার্যক্রম গুলোকেও সামনে এনে সরকারকে পরামর্শ দেয়া। কিন্তু তারা তা না করে বরং করেছে উল্টোটা। প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছে বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত সৌদি আরব এ পর্যন্ত দুই আড়াই হাজার করোনা রোগী শনাক্ত করতে এক লক্ষেরও অধিক করোনা পরীক্ষা করেছে।
নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তুলনা করা এসব মিডিয়া সৌদি আরবকেও বর্বর পিছিয়ে পড়া বলতে ছাড়ে না। যেমন ধরুন সৌদি আরবে চুরির শাস্তি হাত কেটে দেয়া, হত্যার শাস্তি হত্যার বদলে শিরচ্ছেদ করা। ব্যভিচার, পর্দাহীন নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা, নামাজ ছেড়ে দেয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও রয়েছে সৌদি আরবের কঠোর শাস্তি। কিন্তু এগুলোর ব্যাপারে সৌদি আরব কে তারা কখনো সামনে আনে না। বরং ওই যে বলেছি বর্বর ও পিছিয়ে পড়া বলতেও একটুও পিছপা হয় না। এতেই তাদের আসল রূপ প্রকাশ পায়, মুখোশ উম্মোচন হয়। এবং এটাকেই বলা হয় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিমুখীতা এবং সুবিধাবাদী তুলনা।
০৭.০৪.২০২০
Monday, April 6, 2020
اسراءیل اور چند حقاءق
_دنیا بھر میں یہودیوں کی موجودہ تعداد 14 ملین کے لگ بھگ ہے, جن کی اکثریت اسرائیل میں رہائش پذیر ہے._
اسرائیلی قوانین کے مطابق دنیا کا ہر یہودی اسرائیل کا شہری ہے
اسرائیل میں کسی کو بھی زمین نہیں فروخت کی جاتی بلکہ اسے صرف کرائے پر دی جاتی ہے.
اسرائیل دنیا کا واحد ملک ہے جہاں ہر عورت کے لئے فوجی خدمات ضروری ہیں.6
دنیا بھر میں آبادی کے تناسب سے سب سے زیادہ بیچیلرز اسرائیل میں ہیں, ہمارے یہاں ڈگری کا مقصد, کام نہ کرنے کی تنخواہ اور کام کرنے کی رشوت لینا ہے, اسرائیل میں جب تک نوکری نہیں ملتی جب تک سٹوڈنٹ اپنا کوئی بزنس یا اپنا کوئی آئیڈیا سیل کر کے 10000 ڈالر پرافٹ نہیں کما لیتا.
اسرائیل میں فی کس کے اعتبار سے سب سے زیادہ کتابیں چھپتی ہیں.
اسرائیل میں جب کوئی عورت حمل سے ہوتی ہے تو میاں بیوی گھر سے ٹی وی, موبائل گیمز دور کر دیتے ہیں, اور رات دن میتھ کے سوالات بول کر حل کرتے ہیں. زیادہ سے زیادہ شطرنج کھیلتے ہیں تاکہ بچے میں شاطرانہ چالیں چلنے کی صلاحیت پیدا ہو, اس طرح بچوں کی نشو و نما ہوتی ہے, اس گھر میں شور شرابہ تو دور کی بات سگریٹ تک کی اجازت نہیں ہوتی, ڈرائی فروٹس اور جوس کا استعمال زیادہ کیا جاتا ہے بچے کی پیدائش کے بعد اسے تیر اندازی سیکھائی جاتی ہے, جس کے سیکھنے کا حکم ہمیں ہے.
دنیا کی ہر بڑی کمپنی کا ریسرچ سینٹر اسرائیل میں ہے, آنے والے زمانہ میں سب سے بڑی جنگ انٹرنیٹ کے ذریعے لڑی جائے گی, صرف ایک کلک کے ذریعے انٹرنیٹ, سیٹلائٹ سسٹم اور لوکیشن سب بند کر دی جائیں گی,
اسرائیل میں 13 سال کے بچے کو ہیکنگ سکھائی جاتی ہے اور وہ اس کے تجربات کرتے رہتے ہیں,
اسرائیل ان ممالک کی لسٹ میں شامل ہے جہاں میٹھے پانی کی سب سے زیادہ کمی ہے, لیکن آج دنیا میں سب سے زیادہ سمندری پانی کو صاف کرنے والا پلانٹ اسرائیل میں ہی ہے,
اسرائیل دنیا بھر میں سب سے زیادہ بجلی نظام شمسی سے حاصل کرنے والا ملک ہے.
☆ ইসলামের আলোকে সচেতনতা ☆
কথায় বলে "সাবধানের মার নেই" সাবধান মানেই সচেতনতা। প্রতিটি মু'মীনকে তাঁর ঈমান, আমল,ও পার্থিব বিষয়ে সাবধান তথা সচেতন হয়ে চলতে হয়।। সর্বকালের,সর্ব যুগের জন্য সুন্দর জীবন বিধান ইসলাম মানুষকে তাঁর প্রতিটি বিষয় হাতে কলমে শিখিয়েছে। বাদ যায়নি সচেতনতার বিষয়টিও।
দ্বীনী ও পরকালীন বিষয়ে তো বটেই, নিরেট পার্থিব বিষয়েও ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় এই সচেতনতার। সচেতনতার শিক্ষা পাওয়া যায় এমন কয়েকটি দৃষ্টান্ত অধম এখানে উল্লেখ করছি:
প্রিয় নবীজী *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* এর দীর্ঘদিনের খাদেম হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাযি:) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* কে জিজ্ঞেস করল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কীভাবে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করব? আমার উটনীটি ছেড়ে দিয়ে, না বেঁধে রেখে?’ রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বললেন, প্রথমে তোমার উটনীটি বাঁধ, এরপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল কর। *[জামে তিরমিযী, হাদীস ২৫১৭]*
আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা একজন মুমিনের ঈমানের অপরিহার্য অংশ। তাই বলে স্বেচ্ছায় ‘আল্লাহ্ ভরসা’ বলে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়া তো আর ইসলামের শিক্ষা হতে পারে না।আমাদের স্থির বিশ্বাস, আল্লাহর হুকুমেই আগুন পোড়ায়, আগুনের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই।তবে সঙ্গে এও বিশ্বাস করতে হবে যে,আল্লাহ্ তা'আলাই আগুনকে পোড়ানোর শক্তি দিয়েছেন। সেই শক্তি দিয়েই আগুন পুড়িয়ে ছাই করে দেয় সবকিছু। এটি আগুনের শক্তি নয়, আল্লাহর দেয়া শক্তি। মহান আল্লাহ তা'আলা কখনো সেই শক্তি হরণ করে কুদরতের কারিশমা দেখান। মানুষ অবাক হয়ে দেখে―নমরুদের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েও ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ৪০ দিন ছিলেন নিরাপদে।
তবে এটা তাঁর সাধারণ ধারা নয়। স্বাভাবিকতা এটিই―আল্লাহ্ তা'আলা আগুনকে পোড়ানোর ক্ষমতা দিয়েছেন আর আগুন সেই ক্ষমতাবলে পোড়ায়। উপরোক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন, উটনী ছেড়ে দিলে তা চলে যাবে, কোথাও হারিয়ে যাবে, তখন তুমি অর্থহীন পেরেশানিতে আক্রান্ত হবে―এটাই স্বাভাবিক। তাই উটনীটি ছেড়ে না দিয়ে বেঁধে রাখ, এরপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল কর এভাবে―একমাত্র আল্লাহই পারেন উটনীটি রক্ষা করতে। বাঁধার পরও তো উটনীটি আক্রান্ত হতে পারে কোনো বিপদে। তাই তোমার সাধ্যের সচেতনতাটুকু অবলম্বনের পর তুমি আল্লাহর ওপর ভরসা কর, যেন তিনি তোমার সাধ্যের বাইরের অনাকাঙ্খিত বিষয়াদি থেকে তোমাকে ও তাকে নিরাপদ রাখেন।
এবার আসছি বর্তমান বিশ্বে ছড়িয়ে পরা "করোনা ভাইরাস"প্রসঙ্গে--
ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু রোগ আছে। এক রোগীর ছোঁয়ায় আরেকজনের দেহে সংক্রমিত হয় এ রোগ। কিন্তু এ ধারণা যেন মূল বিষয়টি ভুলিয়ে না দেয়;(আল্লাই করনে ওয়ালা সত্বা) তাই রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বললেন, ছোঁয়াচে কোনো রোগ নেই। তখন এক গ্রাম্য সাহাবী দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তো দেখি, একটা পাঁচড়াযুক্ত উট যখন কোনো পালে থাকে, তখন পুরো উটের পালকেই পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়? রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বললেন, এই হলো ভাগ্য, বলো দেখি, প্রথমটির পাঁচড়া হলো কীভাবে? *[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৮৬]*
রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বুঝিয়েছেন, প্রথম উটটিকে যিনি পাঁচড়ায় আক্রান্ত করেছেন, তিনিই অন্যগুলোকেও এ রোগ দিয়েছেন। যে কোনো প্রকার রোগই হোক, তা কেবল আল্লাহর হুকুমেই কাউকে আক্রান্ত করতে পারে কিন্তু এখানেও একই কথা, আল্লাহ তাআলাই কিছু কিছু রোগকে সংক্রামক করে দিয়েছেন। আল্লাহ্ প্রদত্ত এই সংক্রমণ শক্তির কারণেই এক রোগী থেকে আরেক রোগীতে তা সংক্রমিত হয়। আরেকটি হাদীসে এই বাস্তবতাটিকেই তিনি স্পষ্ট করেছেন এভাবে―কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি সিংহ থেকে দূরে থাক। *[সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৭০৭]*
প্রথমোক্ত হাদীসটি যেমন আমাদের ঈমানী ভিত মজবুত করে, দ্বিতীয় হাদীসটি আমাদেরকে সচেতনতার শিক্ষা দেয় এবং ঈমান-আকীদা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বা অলীক সন্দেহে আক্রান্ত করতে পারে এমন ক্ষেত্র থেকেও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা শেখায়।
তাই আসুন, বর্তমান পরিস্তিতিতে আমাদের সাধ্য মত সচেতনতা অবলম্বন করি।
আল্লাহ্ তা'আলা সকলকে তাওফীক দান করুন।আমীন..!
#Lockdown_যদিও_আমাদের_জন্য_কষ্টকর_কিন্তু_তার_ফল_আমাদের_জন্য_অত্যন্ত_ভালো ।
ইংরেজীতে একটা কথা আছে "Every cloud has a silver lining" এটা করোনার ক্ষেত্রেও খুব সত্যি।
ফেসবুকে আর হোয়াটসআপে লোকে রাস্তায় হরিণ বা নীলগাই চড়ে বেড়াচ্ছে এরকম ছবি দিচ্ছে।
এমন কি প্রাকৃতিক দূষনও কত কমে গেছে।
এবার অন্য দিকটাও ভেবে দেখুন।
হাসপাতালে সব OPD বন্ধ আছে ; তা স্বত্বেও এমারজেন্সিতে কোনও ভীড় নেই।
তা হলে অসুখ বিসুখ এত কমে গেল কি করে?
মানছি রাস্তায় গাড়ি চলছে না বলে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে গেছে।
কিন্তু কোনও হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন হ্যামারেজ বা হাইপার টেনশনের মতো অসুখ দেখা যাচ্ছে না কেন?
কারও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নেই কেন?
দিল্লীর নিগমবোধ ঘাটে প্রতিদিন প্রায় 25-30 শতাংশ কম শবদেহ আসছে।
দিল্লীর কথা না হয় বাদ দিলাম, হরিদ্বারের ঘাটে যেখানে গড়ে 100-80 টা শব আসে, সেখানে এই করোনার আবহে মেরে কেটে মাত্র 20-25 টা শব আসছে।
একইভাবে মণিকর্ণিকা ঘাটেও সেই একই অবস্থা।
ওখানে ডোম রাজ পরিবারও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে, ওরা জানালো প্রতি বছর এই সন্ধি মৌসমের (শীত শেষ করে গ্রীষ্মে যাওয়ার) সময় প্রতি বছর শবদেহের হিড়িক পড়ে যায়।
কিন্তু কেন জানি না এ বছর খুব কম শবদেহ আসছে।
হাসপাতালে যারা আছে তারা আগেই ভর্তি হয়েছে। নতুন করে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না।
এটা সত্যিই খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা যেন সব অসুখ অদৃশ্য হয়ে গেছে।
না কি করোনা ভাইরাস সব অসুখকে মেরে ফেলেছে?
না প্রশ্নটা হলো স্বাস্থ্যব্যবস্থার বানিজ্যকরনের।
যেখানে কোনও অসুখই নেই সেখানেও ডাক্তাররা তাকে অসুস্থ বলে দেন।
কর্পোরেট হাসপাতালের অবস্থা এই সময় আরও খারাপ।
গভীর সংকটে পড়েছে তারা।
মামুলি সর্দিকাশিতেও যারা কয়েক হাজার এমনকি লাখ টাকার বিল বানানো কোনও ব্যাপার ছিলো না।
এখন সেখানে বেশির ভাগ বেড খালি পড়ে আছে।
আমি ডাক্তারদের সেবাকে ছোট করার চেষ্টা করছি না।
কোবিড 19 এ যারা সেবা করছেন তাদের আমি প্রনাম জানাই।
কিন্তু ভয়টা যেন একটু বেশিই দেখানো হয়ে গেছে।
অনেক বড় বড় সমস্যার কারন কিন্তু এই ডাক্তাররাই হয়।
এছাড়া লোকে এখন বাড়ির খাবার খাচ্ছে, হোটেলের খাবার নয়।
সেটার খুব ভালো ফল হচ্ছে।
যদি System নিজের মতো ঠিকঠাক কাজ করে আর লোকে পরিশ্রুত জল ও সুদ্ধ সাদা খাবার খায় তো তাতেই অর্ধেক অসুখ আপনাআপনি সেরে যাবে।
কানাডায় দু এক দশক আগে একটা সমীক্ষা হয়েছিল, ওখানে এক দীর্ঘ দিন ব্যাপী ডাক্তারদের ধর্মঘট চলেছিল।
সমীক্ষায় দেখা গেল ওই সময় মৃত্যুর হার অনেক কম হয়ে গেছিল।
সুস্থ থাকাটা আমাদের জীবনশৈলীর অন্যতম অঙ্গ যেটা কেবল ডাক্তারের উপর নির্ভর করে না।
মহাত্মা গান্ধী 'হিন্দু স্বরাজ' এ লিখেছিলেন, ডাক্তাররা কখনোই চায়না লোকে সুস্থ থাকুক।
যাই হোক, lockdown এর যা সাজা, তা তো অপরিহার্য বটেই, কিন্তু সেটা যে কতটা হুঁশিয়ার করলো এবং মনোরঞ্জক অনুভূতি দিলো সেটা একবার ভাবুন।।!
ঘরে থাকবেন।
ভালো থাকবেন সকলে !!!
یہ جنگ ہار گءے تو ہماری آنے والی نسلیں گونگی بہری اور غلام ہونگی
*یہ جنگ ہار گئے تو ہماری آنے والی نسلیں گونگی بہری اور غلام ہوں گی*
اس وقت دنیا کا ایک بڑا حصّہ کورونا سے جنگ جیتنے کی تیاری میں ہے۔ ہندوستان واحد ملک ہے جو کورونا بھول کر مسلمانوں کے خلاف اب آخری جنگ کی تیاری میں ہے . ممکن ہے ، لاک ڈاؤن کے درمیان ہی یہ فیصلہ لیا جائے کہ اب مسلمانوں کو اس سر زمین پر برداشت کرنا مشکل ہے . کوئی اشارہ ہو جائے، اور تبلیغی جماعت کے خلاف کھڑے لوگ سیدھے مسلمانوں پر منصوبہ بند طریقے سے حملہ کرنا شروع کر دیں، فیس بک ، ٹویٹر سے لے کر سوشل ویب سائٹس تک مسلمانوں کے خلاف اور اسلام کے مخالف تمام مورچے کھول دئے گئے ہیں. کیا ہم یہ پوچھنے کی طاقت رکھتے ہیں کہ اس ملک میں کتنے مندر ہیں ، کتنے دھام ، کتنے آشرم ؟ اور چاروں دھام سے آشرم تک کیا ہر جگہ سناٹا ہے ؟ ویرانی ہے ؟ کہ تمہاری تمام زہر افشانی کا سبب تبلیغی جماعت اور مسلمان بن گئے ہیں ؟ آہستہ آہستہ فاشسٹ تنظیمیں ان لوگوں کا ساتھ بھی حاصل کر رہی ہیں جو کبھی مسلمانوں کی حمایت کیا کرتے تھے .
اب کتنے لوگ حمایت کرنے والے ہیں ؟ کیا ایک فی صد کی حمایت بھی مسلمانوں کو حاصل ہے ؟ مسلمان ؛ اب اس نام سے نام نہاد سیکولر پارٹیاں بھی خوف کھانے لگی ہیں . کیا کانگریس ، کیجریوال ، اکھلیش ، تیجسوی یادو ، ممتا بنرجی اور مغربی بنگال کے لال سلام والے اس حقیقت سے واقف نہیں تھے کہ اچانک لاک ڈائون کے بعد تبلیغی جماعت سے وابستہ افراد کہاں جاتے ؟ اب یہ معصوم چہرے دنگائی ہیں ، قاتل ہیں ، فرقہ پرست ہیں ، ہندوستان سے لے کر باہر کے ممالک تک وائرس پھیلانے والے مجرم ہیں . اور اس وقت صورت حال یہ ہے کہ ہندوستان کی بڑی اکثریت ان سے نفرت کے لئے مجبور کر دی گئی ہے . یہ نفرت صرف تبلیغیوں کے لئے نہیں ہے . ہندوستان کے 25 کروڑ سے زاید مسلمانوں کے لئے بھی ہے . اور یہ سوال تو ہے کہ ہم کہاں جاہیں گے ؟ کیا کریں گے ؟ ہمارے پاس نہ میڈیا نہ چینل نہ کوئی سیاسی پارٹی ، نہ ہی سیکولرزم کا ڈھینڈھورا پیٹنے والی اور مسلمانوں کا سیاسی استعمال کرنے والی پارٹیاں . ہم کہہ سکتے ہیں ، اس وقت مسلمان لاچار ہیں ، بے بس ہیں ، تیسرے درجے کے شہری ہیں اور تماش بین ہیں . مگر تماش بین بن کر مسلمان کب تک رہینگے؟
وقت بدل گیا . 2002 میں میڈیا گجرات حکومت کے خلاف تھی . ٢٠١٤ تک یہ بات میڈیا کی سمجھ میں بھی آ چکی تھی کہ مودی آئیں گے .ہندوستان بدلے گا اور انہیں بھی بدلنا ہوگا . مودی بھی سمجھ رہے تھے کہ پہلے تخت پر بیٹھنا ہوگا پھر میڈیا کو ہاتھ میں لینا ہوگا . تخت کیسے حاصل ہو ، یہ حساب صاف تھا . پچیس کروڑ مسلمانوں کو الگ کرو اور سو کروڑ کا ووٹ حاصل کرو . مودی نے ٹوپی نہیں پہنی . یہ علامت کام کر گئی . ہندو راشٹر کی تعمیر کے لئے مودی کا سکّہ چل گیا . پانچ برسوں میں گجرات جیسا تجربہ آسان نہیں تھا . اسکے لئے سیاست کی دوسری اننگ کی ضرورت تھی . دوسری اننگ کی شروعات ہوتے ہی گجرات ماڈل پوری طرح سامنے آ گیا . میڈیا کو خرید لیا گیا . زہر کی کھیتی ہونے لگی . ہندوستان سلگنے لگا . فسادات بڑھنے لگے . جمہوریت اور آئین کو خطرہ پیدا ہونے لگا .پھر سیاہ قانون آیا تو لوگوں کی آنکھیں کھلیں . نوجوان سڑکوں پر آ گئے . جے این یو ، جامعہ اور شاہین باغ کی تحریک نے مودی کو ہلا دیا . حکومت نے پولیس کو لگایا . فائرنگ کرائی مگر اس کے باوجود تحریک میں شامل افراد تشدد سے دور رہے . اس وقت اپنی تقریر میں مودی نے صاف طور پر اشارہ کیا کہ اگر انکا تجربہ ناکام رہا تو ہندو راشٹر نہیں بنے گا . شاہین باغ پریوگ کامیاب رہا تو پرانا ہندوستان واپس آ جائے . کورونا نے حکومت کو تبلیغی جماعت کا تحفہ دیا اور حکومت ہارتے ہارتے فتح کے قریب پہنچ گئی .
رحمتوں اور برکتوں والے خدا ، یہ زمین تنگ کی جا رہی ہے .
*یہ غازی یہ تیرے پر اسرار بندے ، جنہیں تو نے بخشا تھا زیب خدائی ،* آج لہولہان ہو رہے ہیں . ذلیل کیے جا رہے ہیں .
کیا وہ دن دور ہے جب ہم زندگی سے کاٹ دئے جاییں گے . روزگار سے ہوٹل ، پرائیویٹ سیکٹر ہر جگہ ہمارے لئے دروازے بند ہوں گے .چھ برسوں میں ہونے والے کچھ اور حادثوں پر نظر ڈالیں . پیزا ڈیلیور کرنے والے لڑکے نے مسلمان گھر میں ڈلیوری دینے سے منع کیا . ایک کیب والے نے مسلمان پسنجر راستے میں اتار دیا کہ وہ مسلمان سواری نہیں لے گا . ایک ڈاکٹر نے مسلمان مریض کو دیکھنے سے انکار کر دیا ..غور کیجئے اگر اکثریتی فرقہ تجارت میں بھی تفریق کرنے لگے اور ایسے اعلانات لگاتار سوشل ویب سائٹ پر آ رہے ہیں کہ مسلمانوں سے فاصلہ رکھا جائے ، تو آنے والے دنوں میں صورت حال کیا ہوگی . اگر مسلم بچوں کے ساتھ اسکول اور کالج میں بھی یہی طریقہ رائج ہو تو آپ کیا کریں گے ؟ شہریت ترمیمی قانون کی آنچ مسلمانوں کے روزگار پر بھی آئے گی اور ملازمت پر بھی . پرائیوٹ سیکٹر میں اس کی شروعات ہو چکی ہے . اگر بینک دیوالیہ ہو جاتے ہیں ، اور جیسا پہلے بھی کہا جا چکا کہ اس صورت میں بینکوں کو کلائنٹ کا پیسہ استعمال کرنے کی چھوٹ ہوگی . اگر ایسا ہوتا ہے تو سب سے زیادہ شکار مسلمان ہونگے . جب آپ دوسرے درجے کے شہری ہو جاتے ہیں ، تو آپ کے ساتھ کوئی بھی سلوک کیا جا سکتا ہے . ایک بات اور ، جس کا خدشہ ہے . حکومت ان معاملات میں بے شرم اور بے حس ہونا چاہتی ہے . جب مخالفت کی آواز کمزور ہو جائے گی تو یہ بے حسی مسلمانوں کے خلاف اور کیا قانون لائے گی یا استحصال کے لئے کون سا پیمانہ اپنائے گی ، یہ ابھی تو نہیں کہا جا سکتا لیکن یہ تمام راستے مسلمانوں کی قبر سے ہو کر جاتے ہیں.
*ہمارے پاس کیا ہے ؟ کچھ نہیں . جو اخبارات ہیں وہ زیادہ تر کارپوریٹ سیکٹر کا حصّہ ہیں . جو پرائیویٹ اخبارات ہیں ، وہ کسی طرح شایع ہو رہے ہیں . آزادی کے بعد ہم نے سوچا ہی نہیں کہ ہمارے پاس اپنا بھی چینل ہو . ہمارے پاس معیاری اخبارات ہوں . جو خبریں پوشیدہ رکھی جاتی ہیں ، ہم انہیں دکھا سکیں .* میں نے دس برس صرف اس امید میں گزارے کہ ہمارے پاس اپنا چینل ہو . کیا حیدراباد ، بنگلور ، عظیم پریم جی ، جیسے لوگ اور نواب ، رئیس ، دولتمند ہمارے پاس نہیں ہیں ؟ میں نے پروجیکٹ رپورٹ تیار کی . ہزاروں افراد سے ملا مگر ناکام رہا . میرے پاس الکٹرانک میڈیا کا پینتیس برسوں کا تجربہ ہے . پھر مجھے خیال آیا کہ منصف اور سیاست والوں کا بھی اپنا چینل ہے لیکن کون دیکھتا ہے ؟ کتنے لوگوں تک رسایی ہوتی ہے . *ہم ابھی بھی بے خبر ہیں کہ ہمارے ساتھ آئندہ دنوں میں کیا کچھ ہو سکتا ہے اور اس کے لئے ہمارے پاس بہترین میڈیا کا ہونا ضروری ہے . حکومت بہت خاموشی سے کورونا کے بہانے تھالی بجائیے ، اندھیرے میں دیے جلائیے جیسے پروگراموں کے تحت اپنے ریتی رواج ہم پر تھوپنے کی کوشش کر رہی ہے . کیا ہم اپنی شکست تسلیم کر لیں ؟*
ہم اس مقام پر ہیں جہاں تاریکی کے سوا کچھ بھی نہیں . حالات اس حد تک بد تر ہو سکتے ہیں کہ ہماری آنے والی نسلیں گونگی ، بہری اور غلام پیدا ہونگیں . ایک راستہ ممبئی اردو سے بھی ہو کر جاتا ہے . یہ ایک سنجیدہ ، معیاری اور ایسا اخبار ہے جسے آرام سے انگریزی اخباروں کے ساتھ رکھا جا سکتا ہے . پھر یہ اخبار اسی نام سے 15 یا ریاستوں سے کیوں نہ شروع ہو . پہلا راستہ دلی سے ہو کر گزرتا ہے . صرف تین یا چار صفحے دلی میں تیار ہوں . باقی ممبئی سے لئے جاییں .پھر اسکی اشاعت لکھنؤ ، پٹنہ ، حیدرآباد اور کولکاتہ سے ہو . اور یہ بات ذہن میں رکھی جائے کہ آگے یہ سفر نیوز چینل تک پہنچے . اور اسی برس پہنچے . گروپ ایڈیٹر کی ذمہ داری جناب شکل رشید کے ہی زمہ ہو . یہ بھی غور کیا جائے کہ دلی اور دوسری ریاستوں سے نکالنے میں جو سرمایہ خرچ ہو اس کے لئے قوم کے بڑے لوگوں سے بات کی جائے . ہدف سمجھایا جائے . مجھے الکٹرانک میڈیا کا 35 برسوں کا تجربہ ہے . یہ کام بڑے پیمانے پر ہو سکتا ہے . صرف کوشش کرنے کی دیر ہے .ممکن ہے اس کوشش کے بعد کچھ اور اچھے اخبارات یا اچھے چینل بھی سامنے آ جائیں .
سوال یہی ہے کہ ہم کیسے جنگ کریں .ہمارے پاس ہتھیار نہیں .میڈیا سے بڑا ہتھیار دوسرا نہیں . عظیم پریم جی جب پچاس ہزار کروڑ کورونا کے لئے نکال سکتے ہیں تو کیا الامین یا شاہین ، یا اردو کے بڑے ادارے ، تنظیمیں ، مسلم انڈسٹریلسٹ ساتھ نہیں دیں گے ؟ اس کے لئے ہمارے پاس اغراض و مقاصد کے ساتھ پروجیکٹ رپورٹ کی بھی ضرورت پڑے گی . اب ہمیں مضبوط ہونے کی ضرورت ہے . جو دو چار اردو چینل ہمارے سامنے ہیں ، انہیں کوئی نہیں دیکھتا . اسکی وجہ زبان بھی ہے . اسکی وجہ اچھے اسکرپٹ اور پریزنٹیشن کی کمی ہے . اس لئے عمدہ میری اخبارات کے ساتھ ہمیں میڈیا چینلس کی طرف بھی قدم بڑھانا ہوگا . میں ہر قدم ساتھ چلنے کو تیار ہوں .
*ہم بیحد برے موسموں کا شکار ہیں . اور ہمیں اس صورت حال میں مضبوط میڈیا کی ضرورت ہے . اگر ہم کرنا چاہیں تو یہ کوئی مشکل کام نہیں .*
#শবে_বরাত : #পালনীয়_ও_বর্জনীয়_আমলসমুহ ।
‘শবে বরাত’ শব্দটি ফারসি। ‘শব’ অর্থ রজনী, রাত। ‘বরাত’ অর্থ ভাগ্য, সৌভাগ্য। বাংলায় এর অর্থ হল, ‘সৌভাগ্যের রজনী।’ আর ‘বরাত’ শব্দটি যদি আরবী-‘বারাআত’ এর বিকৃতরূপ হয়ে থাকে তাহলে অর্থ হবে, মুক্তির রজনী। শবে বরাত শব্দটি কুরআন হাদীস কোথাও পাওয়া যায় না, যাবেও না। কুরআন-হাদীসের কোথাও শবে বরাত শব্দটি না থাকায় এর কোন প্রমাণ নেই- এমন মনে করাটাও ঠিক না। কারণ এটি ফারসি শব্দ। তাই কুরআন-হাদীসে না থাকাটাই স্বাভাবিক। যেমন- নামাজ ও রোজা। শব্দ দু’টি কুরআন-হাদীসের কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না। তাই বলে কি নামাজ রোজার কোন প্রমাণ নেই? নামাজ ও রোজা শব্দ দু’টিও ফারসি। আমরা উপমহাদেশের লোকেরা ‘সালাত’ কে নামাজ ও ‘সউম’ কে রোজা বলি। সালাত আদায় ও সউম পালনের আদেশ যেহেতু কুরআন-হাদীসে আছে, তাই শব্দ পরিবর্তনের কারণে নামাজ ও রোজাকে ভিত্তিহীন বলা যাবে না।
অনুরূপ শবে বরাত শব্দটি কুরআন হাদীসে না থাকলেও শবে বরাত বলতে আমরা যে দিনটিকে বুঝি তার কথা হাদীসে এসেছে। শবে বরাত হল আরবী শা’বান মাসের ১৫তম রজনী (অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাত)। হাদীসে একে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান’ (অর্ধ-শা’বানের রাত অর্থাৎ ১৫ শা’বান) বলা হয়েছে। সুতরাং শবে বরাত শব্দ হাদীসে নাই এ দাবী তুলে এর ফজিলতকে একেবারে ভিত্তিহীন বলে দেয়া কখনই কাম্য নয়।
*📚শবে বরাত‘ সৌভাগ্য বা মুক্তির রাত:⬇⬇*
হাদীসে শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে যে ঘোষণা এসেছে তার প্রতি লক্ষ্য করলেই বুঝা যায়, এ রাত বাস্তবেই সকল মুমিনের জন্য সৌভাগ্যের রাত। গোনাহ থেকে মুক্তিলাভের রাত। হাদীসে এসেছে-
*عن معاذ بن جبل، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن*
অর্থাৎ, হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাযি)* থেকে বর্ণিত, নবী কারীম *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বলেন, “আল্লাহ্ তা'আলা অর্ধ-শাবানের রাতে (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন। তখন মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।” *[সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং: ৫৬৬৫]*
এ হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে, এ রাতে আল্লাহ্ সুবাহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ থেকে সৃষ্টির প্রতি রহমত ও মাগফিরাতের দ্বার ব্যপকভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তার অফুরন্ত রহমতের বারিধারা বিশেষ শ্রেণীর কিছু লোক ছাড়া সকলের উপরেই বর্ষিত হয়। তাই তার রহমত ও মাগফিরাত প্রত্যাশি সকল ব্যক্তির জন্যই উচিত হল এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগীতে কাটিয়ে সৌভাগ্যবানদের কাতারে নিজেকে শামিল করা। অবহেলা করে কিংবা গোনাহে লিপ্ত হয়ে এ রাতের মহত্ত্ব থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা কোনভাবেই কাম্য নয়।
এ হাদীস ছাড়াও অন্যান্য হাদীসে অর্ধ শা’বানের রাতে আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে ব্যাপক মাগফিরাতের ঘোষণা এসেছে। তাই এ রাত শবে বরাত তথা সৌভাগ্য বা মুক্তির রাত নামে প্রশিদ্ধি লাভ করেছে।
*📚শবে বরাতে করণীয় আমল:⬇*
আমরা পূর্বের আলোচনার মাধ্যমে এ কথা বুঝতে পেরেছি, রহমত ও মাগফিরাত প্রত্যাশি সকল মুমিনের জন্য এ রাত ইবাদত-বন্দেগীতে কাটিয়ে দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে তো সবচায়ে উত্তম হল এমন আমল করা, যা রাসূল *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* কিংবা সাহাবাগণ করেছেন। এমন কোন আমলের কথা জানা গেলে তা করাই সবচেয়ে ভাল হবে। তাই এ রাতে আমলযোগ্য একটি নির্ভরযোগ্য হাদীস পাঠকের সামনে তুলে ধরছি।
হযরত আলা ইবনুল হারিস রহ. থেকে বর্ণিত, হযরত আয়েশা (রাযি:) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হল তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা অথবা বলেছেন, ও হুমাইরা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)* তখন ইরশাদ করলেন, ‘এটা হল অর্ধ শাবানের রাত (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ্ তা'আলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষপোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।‘ *[শুআবুল ঈমান, বাইহাকী: ৩/৩৮২-৩৬৮]*
এ হাদীস থেকে বুঝা যায় এ রাতে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া। যাতে দীর্ঘ সেজদা করা হবে। পারলে দীর্ঘ ক্বেরার পড়বে। আমাদের দেশে কিছু ‘নামাজ শিক্ষা’ বই-এ নির্দিষ্ট কিছু নিয়মে নামাজ পড়ার কথা লেখা আছে। প্রথম রাকাতে অমুক সূরা এতবার, দ্বিতীয় রাকাতে এতবার ইত্যাদি। এ সকল নির্দিষ্ট নিয়মের কথা কোন হাদীসে পাওয়া যায় না। এগুলো মানুষের মনগড়া পদ্ধতি। আমরা স্বাভাবিকভাবে যেভাবে নফল নামায পড়ি, সেভাবেই দু’রাকাত করে যে কোন সূরা দিয়ে যত রাকাত সম্ভব নফল পড়ব। আর কারো কাজা নামায থাকলে তাও আদায় করে নিতে পারেন। মাঝে মাঝে ক্লান্তি দূর করার জন্য তাসবিহ পড়া যেতে পারে। এছাড়াও করণীয় হল, কুরআন কারীম তেলওয়াত, দরূদ শরীফ, ইস্তেগফার ও দুআ ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে রাত অতিবাহিত করা। তবে একথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, এমন যেন না হয়, সারা রাতের দীর্ঘ ইবাদতের ক্লান্তিতে আমার ফজরের নামায জামাআতের সাথে পড়া সম্ভব হল না! তাই সারা রাত না পারলে নিজের সাধ্যানুযায়ী যতক্ষণ পারা যায় ইবাদত করতে হবে।
*📚পরদিন রোজা রাখা:⬇⬇*
শা’বানের ১৫ তারিখে রোজা রাখার ব্যপারে হাদীসে এসেছে, হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রাযি:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বলেছেন, পনের শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোযা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ্ তা'আলা প্রথম আসমানে আসেন এবং বলেন, কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন রিযিকপ্রার্থী? আমি তাকে রিযিক দেব। এভাবে সুব্হে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ্ তা'আলা মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের ডাকতে থাকেন। *[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৩৮৪]*
এ হাদীস থেকে শা’বানের ১৫ তারিখ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে কাটানো এবং পরদিন রোজার আমলের কথা জানা যায়। তাই অনেকেই এ দিনে রোজা রাখা মুস্তাহাব বলেছেন। শা’বান মাসে এমনিতেই রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বেশী বেশী রোজা রাখতেন। ১ম শা’বান থেকে ২৭তম শা’বান পর্যন্ত রোযা রাখার যথেষ্ট ফযীলত রয়েছে এছাড়াও শাবানের ১৫ তারিখ আইয়ামে বীজ তথা আরবী মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখের অন্তর্ভুক্ত। আইয়ামে বীজে রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* রোজা রাখতেন তা সহীহ হাদীসের মাধ্যমে স্বীকৃত। তাই মুসলমান ভাই-বোনদের প্রতি আমার আহবান হল, এ সকল হাদীসের বিবেচনায় পুরো শা’বান মাস জুড়েই (২৭ শা’বান পর্যন্ত) বেশী বেশী রোজা রাখা উচিত। তা না পারলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখা। তাও সম্ভব না হলে অন্তত ১৫ তারিখের রোজা রাখা। আশা করি আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের শা’বান মাসের ফজিলত থেকে মাহরূম করবেন না।
*📚শবে বরাতে যেসকল আমল কাম্য নয়:⬇⬇*
ইতিপূর্বে এ রাতে রাসূল *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* এর আমল সম্পৃক্ত একটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে নবীজী একাকী আমল করেছেন। তাই এ থেকে শিক্ষা নিয়ে বলতে হয়, এ রাতে দলবদ্ধভাবে মসজিদে একত্রিত হয়ে নফল ইবাদত না করে বাড়িতে একাকী করাই কাম্য। তা ছাড়া নফল ইবাদত বাড়িতে করাই উত্তম। সবার উপর বাড়িরও একটি হক থাকে। ইবাদতের মধ্যমে নিজ বাড়িকে আবাদ করা চাই। এ রাতে দলে দলে মসজিদে সমাবেত হয়ে ইবাদত করার বিষয়টিকে আমরা জরুরী মনে করি। অথচ এ বিষয় সম্পর্কে হাদীসেও পাওয়া যায় না। তাই আমরা নফল ইবাদতগুলো বাড়িতেই আদায় করব। এটাই সবচেয়ে ভাল।তবে যদি কোন আহ্বান ও ঘোষণা ছাড়া এমনিই কিছু লোক মসজিদে এসে যায়, তাহলে প্রত্যেকে যার যার আমলে মশগুল থাকবে। এমন কোন কাজ করবে না, যাতে অন্যের আমলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
কোন কোন জায়গায় এ রেওয়াজ আছে যে, এ রাতে মাগরিব বা ইশার পর থেকেই বাহিরের মাইক চালু করে ওয়াজ-নসীহত শুরু করা হয়। আবার কোথাও ওয়াজের পর মিলাদ-মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়। সেখানে এমনভাবে মাইক চালানো হয়, যার দ্বারা মসজিদ বা মাহফিলের বাহিরের মানুষদের বাধ্য হয়ে ওয়াজ শুনতে হয়। এ ধরণের কাজ করা ঠিক না। কেননা শবে বরাতের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আলোচনা আগেই করে নেয়া যায়। অন্যথায় ইবাদতে আগ্রহী মানুষের পক্ষে ঘরে বসে একাগ্রতার সাথে ইবাদত করাও সম্ভব হয় না এবং মসজিদেও কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদত মন দিয়ে করা যায় না। তাই আমাদেও সকলের জন্য উচিৎ হল, এ রাতে যারা নিরবে বসে আমল করতে চায় তাদের জন্য সুযোগ করে দেয়া।
*📚যেসকল কাজ বর্জনীয়⬇⬇*
মসজিদ ও মহল্লায় আলোকসজ্জা করা, আতশবাজি ফুটানো, শেরনি হালুয়া রুটি বানানো, সারারাত গল্প-গুজব, ঘুরা-ঘুরি ও হৈ-হুলোড় করে কাটিয়ে দেয়া। এ কাজগুলি সবই অপচয় ও বদ-রুসমের অন্তরভুক্ত। এতে না দুনিয়াবি ফায়দা আছে, না পারকালিন ফায়দা। এ রাতে রহমত ও মাগফিরাত প্রত্যাশি কোন মুনিনের জন্যই উচিত নয় ইবাদতে অবহেলা করে কাটিয়ে দেয়া। বদ-রুসম ও রেওয়াজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে হতভাগ্যদের কাতারে নিজেকে শামিল করা।
এছাড়াও এরাতে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে কবরস্থানে জমায়েত হবার যে রেওয়াজের প্রচলন আছে, তা শরিয়ত সম্মত না। এমনিতে নারীদের জন্য তো এর অনুমতি নেই। তাছাড়া পুরুষের জন্যও তো এমতাবস্থায় জিয়ারতের উদ্দেশ্যে জমায়েত হওয়া উচিত না। কেননা মুস্তাহাব পালন করতে গিয়ে কোন গোনাহে জড়িয়ে যাবার আশংকা থাকলে তা ছেড়ে দেয়াই উচিত। তাই এধরণের কাজ থেকে আমরা সবাই বিরত থাকব।
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে সহিহ কথা গুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন এবং সকলকে মনগড়া রসম পালন করা থেকে হেফাজত করুন। আমীন..!
Sunday, April 5, 2020
বর্তমান লকডাউনের সময়ে উলামায়ে কেরাম ও সরকারের নির্দেশনা মেনে চলুন । ঘরে থাকুন-নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন ও অন্যকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন ।
*উলামায়ে কেরাম এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকুন*
ইসলাম আমাদের যে কোনো পরিস্থিতির শান্ত ও সঠিক মূল্যায়নে উৎসাহিত করে। পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন করণীয় সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বশর্ত। বর্তমানে যে বৈশ্বিক মহামারির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নিঃসন্দেহে তা ভয়াবহ। এ অবস্থায় কোনোরূপ ভাবাবেগের অনুগামী না হয়ে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের ও সরকারের দেওয়া শরয়ী নির্দেশনার উপর আমল করা অতি প্রয়োজন।
মুসলিম মাত্রেরই দৃঢ় বিশ্বাস, আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য যা লিখে রেখেছেন তা-ই ঘটবে। এর বাইরে কিছুই ঘটবে না। এই বিশ্বাস আমাদের ঈমানের অংশ। ইসলাম আমাদের এই ঈমানী শিক্ষা দান করেছে। একই সাথে যথাসাধ্য সতর্কতা অবলম্বন ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও প্রদান করেছে।
এই বিশ্বাস ও কর্ম-পন্থার সমষ্টিই হচ্ছে ইসলামের শিক্ষা। সাহাবা তাবেয়ীন ও সালাফে সালেহীনের নীতি ও কর্মপন্থাও তাই। বিশ্বাস ও কর্মের এই সমন্বিত আদর্শ অনুসরণ করাই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। নিঃসন্দেহে এটি তাকওয়া। তাকওয়ার মূল কথাই হচ্ছে আল্লাহর ভয় এবং যে অবস্থায় শরীয়তের যে নির্দেশনা তার অনুসরণ। শরীয়তে সাধারণ অবস্থায় যেমন সাধারণ বিধান রয়েছে তেমনি বিশেষ অবস্থায় আছে বিশেষ বিধানও। এটি শরীয়তের সৌন্দর্য ও অনন্য বৈশিষ্ট্য।
শরীয়তের বিধান ও নির্দেশনার ভেতরে থেকে বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা ও যথাসময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা কিছুতেই তাকওয়া ও তাকদীরে-বিশ্বাসের পরিপন্থী নয়। মনে রাখতে হবে, তাকওয়া অর্থ বেপরোয়া হওয়া নয়, তাকওয়া অর্থ শরীয়তের নির্দেশনা পালনে সক্ষম হওয়া। আর এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও হক্কানী উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্তই অনুসরণীয়।
দ্বীনদারী রক্ষা যেমন শরয়ী বিধি-বিধানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তেমনি দ্বীনদারীর সাথে জান-মালের সুরক্ষাও শরীয়তের বিধি-বিধানের অন্যতম লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। এ সম্পর্কেও আমাদের ফকীহগণ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং বিভিন্ন ফিকহী নীতি প্রণয়ন করেছেন। বিশদ আলোচনায় না গিয়ে এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে শুধু একটি ঘটনা আলোচনা করছি।
খুলীফায়ে রাশেদ হযরত ওমর ফারূক রা.-এর ঘটনাটি অনেকেরই জানা আছে। সংক্ষেপে তা এই যে, সাহাবায়ে কেরামের এক জামাতসহ তিনি যখন শামের নিকটে পৌঁছে সংবাদ পেলেন যে, ওখানে মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে তখন মুহাজির, আনসার ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামের সাথে করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ করেন। পরামর্শে আক্রান্ত অঞ্চলে প্রবেশ করা ও না-করা দুই রকমের মতই এল। রেওয়ায়েতে আছে যে, ওমর রা. প্রথমে মুহাজির সাহাবায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করেছিলেন। তাদের পক্ষ হতে দুই রকম মত আসে। এরপর আনসার সাহাবীগণের সাথে পরামর্শ করেন। তাদের পক্ষ হতেও দুই রকম মত আসে। এরপর অন্যান্য বিচক্ষণ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করেন। তারা একমত হয়ে আক্রান্ত অঞ্চলে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ওমর রা. ঘোষণা করেন যে, তিনি মদীনায় ফিরে যাচ্ছেন।
এ সময় বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রা. এর সাথে তাঁর যে কথোপকথন হয়েছিল তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হযরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ তাঁকে বললেন
أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللَّهِ؟
আল্লাহর তাকদীর থেকে পলায়ন করে মদীনায় ফিরে যাচ্ছেন?
হযরত ওমর রা. বললেন,
لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ؟ نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لَكَ إِبِلٌ هَبَطَتْ وَادِيًا لَهُ عُدْوَتَانِ، إِحْدَاهُمَا خصبَةٌ، وَالأُخْرَى جَدْبَةٌ، أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتَ الخَصْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ، وَإِنْ رَعَيْتَ الجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ؟
হে আবু উবাইদা! কথাটি যদি আপনি ছাড়া অন্য কেউ বলত! জ্বী, আমরা আল্লাহর তাকদীর থেকে আল্লাহর তাকদীরের দিকেই পলায়ন করছি। দেখুন, আপনার উটের পাল যখন কোনো চারণ ভূমিতে নামে, এর এক পার্শ্বে যদি তৃণলতাপূর্ণ সজীব ভূমি থাকে, অন্য পার্শ্বে থাকে বিরাণ ভূমি, তখন আপনি সজীব ভূমিতে সেগুলোকে চরানোর ব্যবস্থা নিলে তা কি আল্লাহর তাকদীরের কারণেই নয়? ……. সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৭২৯
অর্থাৎ যথাসময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত ও যথার্থ ব্যবস্থাগ্রহণে সক্ষম হওয়াও তাকদীরের অন্তর্ভুক্ত। নিঃসন্দেহে তাকদীরে যা আছে তাই ঘটবে, কিন্তু মানুষের জানা নেই কী তার তাকদীরে আছে। তাকদীরে ভালো থাকলে ভালোর উপযোগী সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণই তার জন্যে সহজ হবে।
অতএব যথাসময়ে সঠিক করণীয় সম্পর্কে সচেতন হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম হওয়াও একটি লক্ষণ যে, সম্ভবত তার পক্ষে আল্লাহর ফয়সালা ভালো।
বান্দার কর্তব্য, বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা এবং জান-মাল, ইজ্জত-আবরু ইত্যাদি রক্ষার ক্ষেত্রেও শরীয়ত-প্রদত্ত প্রশস্ততা গ্রহণে সচেষ্ট হওয়া। এটিও আল্লাহর পক্ষ হতে কল্যাণ-প্রার্থনার ও কল্যাণের প্রতি মুখোপেক্ষিতা প্রকাশের অন্যতম উপায়। তবে হাঁ, নীতিটি বলতে বা শুনতে যত সহজ বাস্তব ক্ষেত্রে এর সঠিক প্রয়োগ তত সহজ নয়। এর জন্যে বিজ্ঞ ও মুত্তাকী আলিমের দিক-নির্দেশনা অতি প্রয়োজন।
*উপরোক্ত নীতির আলোকে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে পারি। আমরা ইতিমধ্যে দেখছি যে,*
এক. করোনা ভাইরাসটি গোটা পৃথিবীতে ভয়াবহ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও বিশ্বজুড়ে অচিন্তনীয়ভাবে বেড়ে চলেছে। ভারতেও আক্রান্তের হার বাড়ছে ( আল্লাহ তাআলা হেফাযত করুন।)
দুই. বিষয়টির প্রকৃতি ও ভয়াবহতাও ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছে। বিষয়টি বোঝার দুটি উপায় রয়েছে,
ক. সাধারণ বিচার-বুদ্ধি এবং খ. বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত।
সাধারণ বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ একটু চিন্তা করলেই বিষয়টির ভয়াবহতা বুঝতে পারবেন। পৃথিবীর দেশে দেশে একের পর এক লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। কয়েকটি উন্নত রাষ্ট্রেও প্রথম দিকে এই ভাইরাস স্বল্পমাত্রায় ও মন্থরগতিতে ছড়ালেও একটা পর্যায়ে এসে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কিছুটা ‘নিয়ন্ত্রণে’ এসেছে কোথাও এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
সৌদি আরবে পূর্ণ লক ডাউন সত্তে¡ও আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশে এখনও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বাড়ছে। (আল্লাহ হেফাযত করুন।)
খ. উপরোক্ত বিষয়গুলোর পাশাপাশি ধর্মপ্রাণ চিকিৎসক, অণুজীব বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও ভাইরাসটির ধরন ও বিস্তারের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের সম্মিলিত বক্তব্য ও মতামতকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীয়তে প্রত্যেক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্যায়ণের নীতি ও নির্দেশনা আছে।
তিন. সব ধরনের জমায়েত থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি জুমা-জামাতের প্রসঙ্গটিও আলোচনায় এসেছে।
জুমা-জামাতের দুটো দিক রয়েছে। এক. সাধারণভাবে মসজিদে জুমা-জামাত কায়েম থাকা। দুই. ব্যক্তিগতভাবে জুমা-জামাতে শামিল হওয়া।
মসজিদ, মসজিদের আযান, জামাত, জুমা এগুলো যেহেতু ইসলামের শি‘আর ও নিদর্শন তাই ন্যূনতম পর্যায়ে হলেও যথাসাধ্য তা কায়েম রাখার চেষ্টা করা কাম্য।
আর প্রত্যেক ব্যক্তির জুমা-জামাতে শামিল হওয়ার প্রসঙ্গে সাধারণ অবস্থায় ওজরহীন সাবালক পুরুষের জন্য মসজিদের জামাতে শামিল হওয়া বিশেষভাবে কাম্য হলেও বিশেষ অবস্থা ও পরিস্থিতিতে এর ব্যতিক্রমও হতে পারে।
চার. বর্তমান পরিস্তিতিতে জুমা-জামাত বিষয়ে মুসল্লীদের করণীয় সম্পর্কে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও এসে গেছে।
*নির্দেশনা কি কি অন্য আর্টিকেলে বর্ণনা করা হয়েছে সেটা আর বর্ণনা করার প্রয়োজন বোধ মনে করছেন।*
মনে রাখতে হবে যে, বিশেষ অবস্থা ও পরিস্থিতিতে বিশেষ বিধান অনুসারে আমল করা এবং শরীয়তের ছাড় ও প্রশস্ততা গ্রহণ করাও তাকওয়া। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর আনুগত্যের প্রেরণা নিয়ে এর অনুসরণ আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের এবং তাঁর রহমত লাভের উপায়।
একইসাথে আরো যে বিষয়গুলো লক্ষণীয় তা হচ্ছে :
এক. সব রকমের গুনাহ ও পাপাচার বর্জন করে একান্তভাবে আল্লাহ-অভিমুখী হোন। তাওবা-ইস্তিগফার, দুআ-কান্নাকাটি, বেশি বেশি দরূদ পাঠ, কুরআন তিলাওয়াত, বিশেষত বালা মুসিবত থেকে মুক্ত থাকার আমলগুলোতে নিজেও মশগুল থাকুন, ঘরের স্ত্রী-পুত্র-পরিজনকেও মশগুল রাখুন। একই সাথে উলামায়ে কেরাম এবং চিকিৎসক ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দেওয়া সতর্কতামূলক নির্দেশনা-বিধিগুলোও মেনে চলুন।
দুই. ঘরে অবস্থানের সময়টুকুতে পরস্পরিক সুসম্পর্ক, সৎ ব্যবহার ও উত্তম আখলাকের চর্চা করুন। তবে সময় কাটানোর জন্য কোনো কোনো মহলের পক্ষ হতে প্রস্তাবিত ও সরবরাহকৃত বিভিন্ন মুভি ইত্যাদিতে লিপ্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকুন।
স্ব স্ব পরিসরে প্রত্যেকে অন্যের সাথে কোমল ও দয়ার আচরণ করুন। দরিদ্র অভাবীদের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসুন। হাদীস শরীফে আছে, তোমরা যমীনওয়ালাদের উপর রহম করো, তাহলে আসমানওয়ালা তোমাদের উপর রহম করবেন।
তিন. সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোতে সাধারণত যা হয়ে থাকে পরস্পর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, কটাক্ষ ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন। কারো মনে কষ্ট দেয়ার মতো কথা ও কাজ, বিশেষত মুত্তাকী উলামায়ে কেরাম এবং বৃদ্ধ-বয়স্ক ইবাদতপ্রাণ ব্যক্তিদের সম্পর্কে কট‚ মন্তব্যের ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করুন। মনে রাখতে হবে যে, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন আল্লাহর রহমত। ব্যবস্থা যা কিছুই আমরা গ্রহণ করি, আমাদের রক্ষা করবেন একমাত্র আল্লাহ। যারা আক্রান্ত হয়েছেন আল্লাহর হুকুমেই আক্রান্ত হয়েছেন, যারা রক্ষা পাবেন আল্লাহর হুকুমেই রক্ষা পাবেন।
তাই আল্লাহ তাআলা নারাজ হন এমন সব কথা, কাজ ও আচরণ থেকে অবশ্যই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।
চার. প্রত্যেক মুমিন একে অপরের জন্য দুআ করুন। এক মুমিনের অনুপস্থিতিতে অন্য মুমিনের দুআ বিশেষভাবে কবুল হয়ে থাকে। আর এক মুসলিম যখন অন্য মুসলিমের জন্য কল্যাণের দুআ করেন তখন ফেরেশতাগণ তার জন্য অনুরূপ কল্যাণ প্রার্থনা করেন।
পাঁচ. শবে বরাতে অর্থাৎ ১৪ শা‘বান (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে নফল ইবাদতের জন্য মসজিদে জমায়েত হওয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজ নিজ ঘরে আমল করুন। বেশি বেশি দোআ ইস্তিগফারে মশগুল থাকুন এবং মুক্তির এ রজনীকে পাপ-মুক্তির, রোগ-মুক্তির ও বালা-মুসিবত থেকে মুক্তির সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাযত করুন এবং তাঁর রহমতের নিরাপদ বেষ্টনীর মধ্যে রাখুন। আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
#নভেল #করোনা
আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে
গজব এলো ভাই,
এমন বিপদ আর দেখিনি
আঁতকে উঠি তাই।
পাপকে মোরা পাপ ভাবিনি
ছিলনা অনুশোচনা,
তাই মনে হয় মোদের তরে
নভেল করোনার সূচনা।
সব বিপদেই মোদের আছে
আল্লাহ নামের আশ্রয়স্থল,
ক্ষমা চাও সবে জায়নামাজে
ফেলতে হবে চোখের জল।
কুরআন, রোজা, নামাজ হবে
এই বিপদের মহৌষধ,
সামাজিক দুরত্ব মেনে চলুন
রইলো আমার অনুরোধ।
ডাক্তারদের জীবন এখন
সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে,
তারাই কিন্তু Real Hero
এমন বিপদ রুখিতে।
দেশটা এখন Lock down
থাকতে হবে বাড়িতে,
কিন্তু সবাই ছুটছে গ্রামে
জায়গা যে নাই গাড়িতে।
ছুটি দিল থাকতে বাসায়
আমরা কি আর ওসব মানি,
সবার মাঝেই ঈদের আমেজ
মনের ভিতর ফুরফুরানি।
একটু ভাবুন ভাই বোনেরা
যাচ্ছেন কাছে প্রিয়জনের,
আপনি যেন না হন কারন
তাদের কারো মরণের।
আবেগ নয় বিবেক দিয়েই
গড়তে হবে প্রতিরোধ,
স্বাস্থ্য বিধি মানতেই হবে
করতে করোনার গতিরোধ।
এই বিপদে আমরা এখন
সবচেয়ে বড় মজুতদার,
করোনা নয় ক্ষুধায় মরবো
কে নেবে সেই লাশের ভার।
বিভেদ ভুলে এক হতেই হবে
আম জনতা আর সরকার,
এই অবস্থায় আজ সকলের
মানুষ হওয়াই বড় দরকার।
☆এবারের শবে বরাতে তাওহীদী জনতার কাছে বিশেষ দোয়ার আবেদন ☆
আস্ সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু আমার প্রিয় সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন আগামী 9 এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার লাইলাতুল বরাত,,( অর্থাৎ শবে বরাত) যাকে ভাগ্য রজনী ও বরকতময় রাত বলা হয়, ওই রাত্রে ও দিনে এবাদত করিলে বহুৎ সওয়াব অর্জন করার সুযোগ পাওয়া যায়।হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এই তারিখে তোমারা দিনে রোজা রাখ এবং রাত্রে এবাদত করো: এই রাত্রে এবাদত করিলে হাজার রাত্রের এবাদত করার সওয়াব লাভ হয়! ইত্যাদি ,ইত্যাদি। অনেক ফজিলত আছে! কিন্তু মূল কথা হলো এইসব আমল শুধুমাত্র ইনফের আদি (অর্থাৎ নিজে নিজে একা একা ঘরে বসে) এইসব আমল করা হাদিসে পাক দ্বারা প্রমাণিত হয়! তাই বর্তমান এই মহামারীর অবস্থা সামনে রেখে এবং প্রশাসনের আদেশ অনুযায়ী মসজিদে ভিড় না করে নিজ নিজ ঘরে বসে, নামাজ, নাফিল সালাত, তিলাওয়াতে কুরআন, দুরুদে পাক, তাসবীহ তাহলীল , আল্লাহ পাকের জিকির, নিজ নিজ ঘরে বসে আদায় করুন। এবং বিশেষ করে চোখের অশ্রু জারি করিয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করুন, যেন এই মহামারী থেকে মানবজাতিকে ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে এই করোণা নামক মহামারী থেকে হেফাজত দান করুন। এবং আমি মুহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিসের জন্য বিশেষ করে দোয়া করবেন, আমিও দোয়া করব ইনশাআল্লাহ।
یہ لوگ نہ اسلام کےمخلص ہیں نہ سیکولرازم سے واقف
*یہ لوگ نہ اسلام کے مخلص ہیں نہ سیکولرزم سے واقف*
ہم وزیر اعظم کے بیان سے زیادہ ان لوگوں کے بیان اور موقف و مضمون کی نندا کرتے ہیں جو بڑی خوبصورتی اور کمال چالاکی سے اسے قبول کرنے کے داعی ہیں ۔مودی جی اپنے مشن پر ہیں ان سے کیا شکوہ مگر ہمارے اپنے جو ان کے مشن کی خاطر شرک کے چور دروازے سے گھسنے پر راضی ہوں بلکہ اسکی وکالت کریں وہ سخت قابل مواخذہ ہیں۔ ایسے لوگ صحیح معنی میں نہ اسلام کے مخلص ہیں نہ سیکولرزم سے واقف بلکہ وہ صرف اپنے مخلص ہیں، موقع پرستی ان کی تحریروں کا خاصہ ہے، ہم اس ملک میں رہتے ہیں اپنے تشخص کے ساتھ اور آخری سانس تک انشاءاللہ اپنے تشخص کے ساتھ رہیں گے، جام توحید پیتے ہیں اگر چہ پلانے میں ہم نے کوتاہی کی مگر اسکا یہ مطلب نہیں کہ ہم خود بھی اس جام حیات سے محروم ہوجائیں، ہم صاف کہتے ہیں کہ سیکولرزم کے نام پر ہم جیتے جی نہ متحدہ کلچر قبول کر سکتے ہیں نہ متحدہ تہذیب چہ جائیکہ ہم وہ رسوم اپنائیں جن پر شرک کا شائبہ بھی گزرے، اکثریت کی ناراضگی کا خوف دکھا کر متحدہ کلچر بلکہ ہندو مت کی ایک عبادت میں شرکت کی دعوت سے کیا وہ خوش ہو جائیں گے ؟ جی نہیں! وہ تو گھر واپسی چاہتے ہیں، اس سے کم پر راضی نہیں، یہود ہوں کہ مشرکین وہ تب ہی خوش ہو سکتے ہیں جب آپ ان کی ملت میں گم ہو جائیں ، نادان انھیں خوش کرنے کی سوچ رہے ہیں اور ڈر رہے ہیں کہ وہ شامل نہ ہوئے تو الگ تھلگ پڑ جائیں گے ، *ارے یہ لوگ CAA کے ذریعہ آپ کو پہلے ہی الگ کر چکے ، کیا یاد نہیں کہ مہینہ بھر قبل اپ اسی کے لیے لڑ رہے تھے، اور یوں بھی آپ کو اللہ نے ملت حنیفی کی الگ تھلگ شناخت عطا کی ہے ، توحید خالص ہی آپ کے لیے وجہ امتیاز ہے ، آپ کو تعلیم جو دی گئی ہے وہ بہت صاف اور واضح ہے انى وجهت وجهى للذى فطر السماوات والارض حنيفا وما انا من المشركين اور آپ ڈر کی بات کر رہے ہیں جبکہ مطالبہ ایمان سے پہلے کفر اور کفر کی علبردار طاقتوں کے انکار کا ہے و من يكفر بالطاغوت و يؤمن بالله.*
ہم یہاں کسی طرح کے شخصی موقف اور سیاسی پینترے بازی سے گریز کرتے ہوئے محض اصولی گفتگو کر رہے ہیں، حالانکہ ان حقائق کا پردہ فاش کرنا بھی ضروری ہے تاکہ بھولے عوام متنبہ ہو سکیں۔
سیکولرزم کا اہم اصول یہ ہیکہ ہر شخص اپنی پسند کے نظریہ کا انتخاب کر سکتا ہے اور اس پر عمل کر سکتا ہے، جب کسی نظریہ کو تھوپا جانے لگے تو وہ استبداد کہلاتا ہے ، یہ بھی استبدادی نظام کی طرف لے جانے اور سب کو ایک رنگ میں رنگ ڈالنے کی ایک پر فریب کوشش ہے، اس لیے ہم کسی ایسی "روشنی" کے قائل نہیں جو اندھیروں میں جلے اور تاریکی پھیلائے ، کیونکہ ہم وہ روشنی رکھتے ہیں جو تاریکیوں کا سینہ چاک کرتی ہے ، دل و دماغ منور کرتی اور شرک کی گھنگھور گھٹاؤں میں جگمگاتی ہے ، ہم اکثریت کے ساتھ حسن سلوک اور رواداری کے قائل ہیں مگر ان هذا صراطى مستقيما پر ہمارا اعتماد ہے ، *جب بھی لات و ہبل کی جے پکاری جائے تو ہم ایک ہوں یا ایک ہزار ہمارا نعرہ مستانہ اللہ اکبر ہی رہا ہے ، ہمارے سامنے اسوہ ابراہیمی بھی ہے اسوہ نبوی بھی ہے صحابہ کی روشن تاریخ اور مومنانہ مواقف بھی ہیں ،مکہ مکرمہ میں مشرکین کی ظالمانہ تاریخ اور مومنین کی مومنانہ استقامت بھی ہے ، اندازہ یہ ہوا کہ ایسے لوگ ظاہر پرست ہیں ، مظاہر کے لیے لڑتے ہیں، جیتے ہیں اور جھکتے ہیں، انھیں مسجد کے ڈھانچہ سے تو غرض ہے مگر مسجد میں بار بار یاد کرائے جانے والے توحید خالص کی صحیح فہم بھی نہیں، قران کریم کی روح سے شناسائی تو دور ان پر قران کا وہ مضمون بھی کھلا نہیں جسے قرآن نے سب سے زیادہ تکرار و طاقت اور اسلوب بدل بدل کر بیان کیا ہے، یہی وہ رویہ ہے جس نے رفتہ رفتہ مسلمانوں کی اکثریت سے توحید خالص کا تصور ہی مٹا ڈالا اور وہ ہر اس نظام پر خدا کو راضی سمجھنے لگے جس نظام میں زندگی بسر کرتے ہیں.*
قران نے جہاں استحکام کی بشارت دی ہے وہاں لا يشركون بى شيئا کی شرط لگائی ہے ، پہلے ہی ہم اس شرط کو پورا کیا کرتے بلکہ اکثریت اسے پورا کرنے کے خیال سے بھی عاری ہے اور اب اس طرح کی لچک دار دعوت خدا معلوم کیا حال کرے گی۔
اس لیے ہماری درخواست ہے کہ موقع پرستی کے نتیجہ میں لکھے گئے مضامین پر کوئی توجہ نہ دی جائے۔
وزیر اعظم کے ایسے اعلانات جو "اثمهما اكبر من نفعهما " کے قبیل سے ہوں ان سے گریز کیا جائے۔
آپ اپنی نارمل زندگی یوں گزاریں جیسے کچھ ہوا ہی نہیں، اور نہ کچھ نیا ہونے والا ہے، بڑے بڑے طوفان چراغ توحید کی لو کم نہ کر سکے تو ۹ منٹ کی کیا حیثیت، یہ بھی گزر جائیں گے۔ اپ اللہ کا شکر ادا کیجئے کہ اس نے ہم سب کو مسلمان بنایا ہے ، ان ۹ منٹ میں خاص طور پر اپنے گھر کے کسی گوشہ میں سر سجدہ میں رکھ دیجئے اور نم آنکھوں کے ساتھ اعتراف کیجئے کہ یا اللہ اپ کا صد ہزار شکر ہے کہ ہمیں آپ نے توحید کی روشنی عطا کی ، یااللہ اب ان دیا جلا کر شکتی کا مظاہرہ کرنے والوں کو اپنی شکتی سے واقف کرا دے اور ان کے دلوں کو اپنے نور سے منور فرما دے ۔ وفقنا الله و إياكم لما يحب ويرضى
Saturday, April 4, 2020
দেখুন আমাদেরকে বোকা বানানো হচ্ছে না তো ?
একটা কাহিনি শোনাচ্ছি।
5th April 1980 রাত নয়টায়, জনতা দলের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বতন ভারতীয় জনসংঘের কয়েক জন নেতৃত্ব যথা, অটল বিহারি বাজপেয়ী, ভৈরব সিং সেখাওয়াত, লাল কৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশী প্রমুখ সিন্ধান্ত নিলেন যে নতুন রাজনৈতিক দল গড়বেন....
পরের দিন মানে 6th এপ্রিল সরকারিভাবে আত্মপ্রকাশ করলো ভারতীয় জনতা পার্টি...
মানে এবার বুঝলেন? পাঁচ এপ্রিল রাত নয়টায় প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালাতে বলার আসল উদেশ্য বোঝা গেলো !!!!!?? কেন 4th এপ্রিল বা 3rd এপ্রিল হলো না !!!
40তম বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে মোমবাতি জ্বালাও মিত্রও....। কেননা দেশজুড়ে ধুমধাম করে বিজেপি দপ্তরে এটা পালন করা হবে। আর অজান্তেই আমজনতা সামিল হবেন এই কাজে।
ঘৃণ্য রাজনীতি বলা যাবেনা কিন্তু ভেবে বলুন এই সংকটে এরা কী করে এটা করছে। একবার ভেবে দেখুন ।
The following lessons we learn from CoronaVirus.
The lessons we get from Coronavirus.
(1)No Priest,Poojari, Imam Sahab, astrologer can save patients.
(2)India needs more doctors and nurses than the religious leaders.
(3)India needs more hospitals, schools, colleges, universities than Masjid or Mandir
(4) To live peacefully, we have to work together irrespective of religion.
(5)To make our economy more stronger, instead of Chinese products,we should buy our own products.
(6) Hunger has no religion.
(7)I respect every religion, but humanity is the best religion.
(8) Utilisation of time in a proper way as we are feeling bored for lockdown.
(9) The people of only one religion can't save our country, rather, together we can save our nation.
Note: It's my personal opinion. If there is any mistake, please correct me.
● পরোপকারেই আত্মতৃপ্তি ●
কাউকে কিছু দানকারী ও পরোপকারী ব্যক্তি আসলে নিজেরই উপকার করে। নিজের মাঝে ও নিজের আচরণের পরিবর্তন দেখে শান্তি লাভ করে। আর অন্যের মুখের হাসি দেখে সে অনুভব করে আত্মতৃপ্তি ।
ধরুন! আপনি নিজেই সংকটাপন্ন। দুঃখে জর্জরিত। তবে করুণা করুন অন্যের প্রতি। এতে আপনি নিজেই প্রথমে সান্তনা লাভ করবেন। আপনিও ভাবিকে দান করুন। মজলুম কে রক্ষা করুন। সাহায্য করুন দুঃখি অসহায়দের। শুশ্রূষা করুন রোগীদের। তবেই দেখবেন সুখ সর্বদিক থেকে আপনাকেই ঘিরে রেখেছে। দান প্রসাধনীর মত। এটা ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবহারকারী সকলকে উপকৃত করে। অধিকন্তু কেউ অন্যকে দান করে মানসিক প্রশান্তি লাভ করলে সে সত্যিই মহান।তাই আপনি বিষণ্ণতায় ভুগলে একটি নিঃস্বার্থ দান ই হতে পারে আপনার সকল বিষন্নতা নিরসনের জন্য মহৌষুধের চেয়েও বেশি কার্যকরী।
এভাবে আপনি অন্যের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রসন্ন হাসি দিলেন। এটাও আপনার দান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কাউকে নগণ্য ভেবে কোনরূপ দান বন্ধ করে দিও না। তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও বন্ধ করো না। কেননা তোমার আমলনামায় এটাও নেকীর পাল্লায় ভারী হতে পারে।
পক্ষান্তরে অন্যের সাথে সাক্ষাতে আপনি ভ্রুকুচকালেন। এর দ্বারা আপনি একপ্রকার সততার বীজ ই বপন করলেন। এটা মাতৃত্ববোধ এর জন্য চরম ক্ষতিকর।একমাত্র আল্লাহই জানেন এ ক্ষতির পরিধি কোথায় গিয়ে ঠেকে।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন এক বেশ্যা একবার একটি কুকুরকে মাত্র এক অঞ্জলি পানি পান করালো। আল্লাহ তাআলা পুরস্কার হিসেবে দান করলেন এক সুবিশাল জান্নাত। যার প্রশস্ততা সমগ্র আকাশ ও ভূমন্ডলের সমান। আর তিনি বড় দাতা, ক্ষমাশীল ও ধনী। সমস্ত প্রসংশা একমাত্র তার।
হে দুর্দশার ভয়ে ভিতরা! অন্যের উপকার করার বয় থমাল সন্ত্রস্ত ও বিষন্ন হও। বাস্তবতা এটাই। কাজেই অন্যকে দান, আতিথেয়তা, সহমর্মিতা ও সমর্থন করো। এতেই পাবে তোমাদের কাঙ্খিত সকল মুখ।
الذي يؤتي ماله يتزكى وما لاحد عنده من نعمه تجزى الا ابتغاء وجه ربه الاعلى ولسوف يرضى.
উচ্চারণ
আল্লাজি ইউতী মানা হু ইয়া তাজাক্কা ওয়ালিয়াহা দ্বীন ঈনদাহু মিন নিয়মা তীন তুয্যা ইল্লা ইবতিগায়া ওয়াজহি রাব্বি আল আলা ওয়ালা সাওফা ইয়ার জা
অর্থ
যে পরিশুদ্ধ হওয়ার জন্য নিজের সম্পদ দান করে এবং কারো কাছে প্রতিদানের আশা করেনা। দান করে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই। সে অচিরেই পরিতৃপ্ত হবে।
কাল্পনিক নয় বাস্তব ঘটনা ।
একদিন আসিমগঞ্জের এক লেপের দোকানে আগুন লেগেছিল।৩ কি মি দুর পাথারকান্দি থেকে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি আসতে সময় লাগল এক ঘন্টা।থানার বাবু জিজ্ঞাসা করলেন আগুনটা কিভাবে লেগেছে।এক বিজালা মাস্টার সাহেব বললেন দোকানদার কিছু টাকা তুলার ভিতরে রেখে দিয়েছিল।তুলা গরম আর টাকাও গরম।দুইটা মিলিয়া আগুন ধরেছে।
বাবু বললেন এটা ইয়ার্কি করার সময় নাকি?
মাস্টার সাহেব বললেন এটা আগুন লাগার কারণ তদন্ত করার সময় না আগুন নিবানোর সময়?
এটা কোন গল্প নয় একটা সত্য ঘটনা ।
বরাক উপত্যকার তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের প্রতি খোলা চিঠি ।
#বরাকের_বুদ্ধিজীবী,,,,,,,
#দয়া_করে_একটু_পড়ে_দেখবেন........
আমরা এত শিক্ষিত নই। তারপরও একটা কথা অত্যন্ত ভালো করে জানি এবং মানি, যে কোন ব্যক্তি প্রত্যেক বিষয়ে পারদর্শী বা বিশেষজ্ঞ হতে পারেন না। বিষয় বেদে বিশেষজ্ঞ থাকেন। তাই তো মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ইচ্ছামতে আলাদা আলাদা রাস্তা বেছে নিতে হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা স্বরূপ দেখলেও বুঝা যায় মধ্য ইংরেজি থেকে প্রায়ই আরাম্ভ হয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ বা পাঠদান। বিশেষ করে উচ্চতর মাধ্যমিক থেকে শুরু করে কলেজ, ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা নিজ নিজ বিষয়ে পাঠদান করেন। একেবারে খুবই কম তার ব্যতিক্রম হয়। তার কারণ হলো, একজন ব্যক্তি প্রত্যেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন না।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাদের বরাক উপত্যকায় বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম বা কোন কোন সময় বরাকের দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ব্যক্তিদের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়। ওরা কোন বিষয় এড়িয়ে যান না। ওরা রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি, শিক্ষানীতি, রাষ্ট্রনীতি সহ প্রত্যেক বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়।
এখন কথা হল, উচ্চতর মাধ্যমিক শেষ করার পর কলেজ লেভেল থেকে প্রত্যেক বিষয় আলাদাভাবে বেছে নিয়ে নিজকে প্রতিষ্ঠা করতে হয় কেন? কারণ ইতিহাস নিয়ে পড়া ছাত্র রাজনীতি বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ হয় না।
#আমরা_জানি,,,,,,,,
* ইতিহাসবিদ হতে হলে ইতিহাস নিয়ে পড়তে হয়।
* অর্থনীতিবিদ হতে হলে অর্থনীতি নিয়ে পড়তে হয়।
* সমাজনীতির বিশেষজ্ঞ হতে হলে সসিয়লজি নিয়ে পড়তে হয়।
* রাজনীতিক বিশেষজ্ঞ হতে হলে রাজনীতি বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে হয়।
* বিশিষ্ট সাহিত্যক বা বিশেষজ্ঞ হতে হলে সাহিত্য নিয়ে পড়তে হয়।
* শিক্ষানীতির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হলে বি,এড বা এম,এড করতে হয়।
* আইনি বিশেষজ্ঞ বা আইনজীবী হতে হলে আইন নিয়ে পড়তে হয়।
তাহলে কিভাবে ধর্মনীতি না পড়ে, আমরা ধর্মনীতির উপরে কথা বলতে পারি? এবং নিজেকে প্রত্যেক বিষয়ে পারদর্শী দেখাই তা কিভাবে? চাই যে কোন ধর্ম হোক না কেন। ধর্মের বিষয়ে জানা আর বিশেষজ্ঞ হয়ে গড়ে উঠার মধ্যে বহু পার্থক্য আছে। অন্যান্য বিষয়ে যেমন ধর্মের বিষয়েও তাই। আমরা অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞেদের সন্ধান করি। কিন্তু ধর্মের বিষয় সামনে এলে নিজেও কথা বলতে দ্বিধাবোধ করিনা।
আপনি নিজে পড়ে প্রায়ই বিষয়ে শিক্ষা, জ্ঞান নিতে পারেন বা জানতে পারেন। কিন্তু ঐ বিষয়ে খুবই জ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞ হতে পারবেন না। এটাই সমস্ত পৃথিবীর জাগতিক দিক। এটা কেবল ভারতে নয়। সমস্ত পৃথিবী এই নীতিতে চলছে। বিষয় বেদে বিশেষজ্ঞরা আলাদা আলাদা থাকেন।
আল্ হামদু লিল্লাহ, পবিত্র আল-ক্বোরআনে বর্ণিত বিভিন্ন দোয়া সমুহ ।
#আলহামদুলিল্লাহ_পবিত্র_আল_কুরআনের_সমস্ত_দোয়াগুলি_লিপিবদ্ধ_করা_হলো,
এই দোয়াগুলি নিজে মুখস্ত করুন।অপর ভাইকে পড়ার ও মুখস্ত করার সুযোগ করে দিন।
✅ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
✅ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅ رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
✅ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
✅ رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
✅ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
✅ رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
✅ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
✅ قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
✅ رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
✅ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ
✅ رَبِّ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ
✅ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
✅ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
✅ رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
✅ قَالَ رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا
✅ قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي, وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي, وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي, يَفْقَهُوا قَوْلِي، رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
✅ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
✅ رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
✅ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
✅ رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلًا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ
✅ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ
✅ رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
✅ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
✅ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
✅ رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ.
✅ رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
✅ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
✅ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي، رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ
✅ رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
✅ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
✅ رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
✅ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي ۖ إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
✅ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ
✅ رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ، رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
✅ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
✅ رَبِّ ابْنِ لِي عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ... وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
✅ رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا، إِنَّكَ إِنْ تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا
✅ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا
✅ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
✅ اللَّهُمَّ رَبَّنَا... ارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
✅ رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
✅ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
✅ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅ رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
✅ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
✅ رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
✅ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
✅ رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
✅ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
✅ قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
✅ رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
✅ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
✅ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ
✅ رَبِّ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ
✅ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
✅ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
✅ رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
✅ قَالَ رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا
✅ قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي, وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي, وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي, يَفْقَهُوا قَوْلِي، رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
✅ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
✅ رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
✅ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
✅ رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلًا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ
✅ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ
✅ رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
✅ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
✅ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
✅ رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ.
✅ رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
✅ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
✅ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي، رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ
✅ رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
✅ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
✅ رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
✅ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي ۖ إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
✅ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ
✅ رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ، رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
✅ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
✅ رَبِّ ابْنِ لِي عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ... وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
✅ رَبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا، إِنَّكَ إِنْ تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا
✅ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا
✅ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
✅ اللَّهُمَّ رَبَّنَا... ارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
✅ رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
Friday, April 3, 2020
#রাজনৈতিক ও #ধর্মীয় পরিচয় ভুলে #করোনাভাইরাস #মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে #সরকার ও #জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে #একযোগে #লড়াই করা উচিত ।
শুরুতে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একদিকে যেমন ত্রাস সৃষ্টি করেছিল আবার অন্যদিকে সকল ভারতবাসীকে ভারতীয় মানব সন্তান পরিচয়ে পরিচিত করেছিল। প্রশ্ন ছিল না কে হিন্দু,কে মুসলিম,কে বৌদ্ধ,কে খ্রিস্টান।একের আক্রান্তে অন্য জন ব্যথিত, আতঙ্কিত । এক হিন্দু ভাইয়ের আক্রান্তে যেন মুসলিম ভাই আক্রান্ত হয়েছেন।ঠিক এভাবে এক মুসলিম ভাইএর আক্রান্তে যেন হিন্দু ভাই আক্রান্ত হয়েছেন । আতঙ্কের মাঝেও করোনা মনে হয়েছিল এক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এসেছে ।ভারতবাসী ভুলে গিয়ে ছিল ধর্মীয় ব্যবধান। ঘ্রৃণ্য রাজনীতির ফলে যে ধর্মে ধর্মে যে প্রাচীর গড়ে উঠেছিল তার সমাপ্তি ঘটিয়ে একাকার করে ফেলেছিল । কবি নজরুলের হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোন জন-- এ ছবি প্রতিভাত হয়েছিল । এতে পূলকিত হয়েছিল মন যেন কবিগুরুর স্বপ্নের ভারততীর্থে বিবিধের মাঝে মিলনের মাধ্যমে এক দেহে লীন হয়ে বিচরণ করছি
কিন্তু কদিন যেতে না যেতে স্বপ্নের ভারততীর্থ চূরমার হয়ে গেলো। সম্প্রীতির সুশীতল হাওয়া সহ্য করতে পারৃলো না চাটুকার গদি মিডিয়া ।কায়েমী স্বার্থবাদী গদি মিডিয়া তার ঘ্রৃণ্য সাম্প্রদায়িক খেলা শুরু করে দিল।তার মজ্জাগত হিন্দু মুসলিম বিভাজনের কার্যসূচি দিয়ে সম্প্রীতির পরিবেশ কে মারাত্মক ভাবে বিষিয়ে তুলল।তারা করোনাতে তাবলিগের গন্ধ আবিস্কার করল।এতে তাদের অন্ধ ভক্তরা খোরাক পেয়ে গেল ও তাদের আখের গোছানোর জন্য বিষাক্ত ছোবল মারতে লাগলো।তারা সোস্যাল মিডিয়ায় একতরফাভাবে যা খুশি পোষ্ট করে অপপ্রচার চালিয়ে সেই ঘ্রৃণ্য সাম্প্রদায়িক ও হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে খান খান করার অপচেষ্টায় দিন রাত লিপ্ত থাকল। মনে হলো করোনা দিয়ে লঙ্কা জয় করে নেবে।এতে দেশের সুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জন সাধারণ মারাত্মক ভাবে আহত হতে হলো।
আসলে করোনা চীন থেকে উৎপত্তি হয়ে বিভিন্ন দেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছে মরকজ কাণ্ডের অনেক আগেই ।অনেক সংক্রমিত হয়েছিলেন ও অনেক লোক ও মারা গেলেন ।তখন তো করোনার সাথে কোন দলের বা সংগঠনের সংস্লিস্টতার পরিচয় ছিল না ।যারা মারা গেলেন বা সংক্রমিত হলেন তাদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলো না। কিন্তু মরকজে কিছু আক্রান্তের ঘটনায় হটাৎ করে করোনার সঙ্গে তাবলিগের সংস্লিস্টতার বিষয় কেন আসে ?আবার কেউ কেউ করোনা জেহাদের ভুত দেখলেন!করোনা কী ধর্ম,দল,সংগঠন দেখে ?। হতে পারে তবলিগের কিছু মানুষের সংক্রমন হয়েছে। এর আগে তো কত মানুষের সংক্রমন হয়েছে এবং সংক্রমিত ব্যক্তিও কোনো অনুষ্ঠানে অংশ গ্ৰহণ করতে দেখা গিয়েছে যা সকলেরই জানা রয়েছে।আরো কত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বা পাবলিক পরিসরে হাজার হাজার লোক সরকারী নির্দেশ অমান্য করে জমায়েত হয়েছেন । আমরা এও দেখেছি কত ধর্মীয় গুরুর করোনা নিয়ে আজগুবি পরামর্শ ও কর্মকান্ড ।এ কথা সত্য মরকজেও কয়েকশত লোক আটকা পড়েছিল ।তবে শুধু তাবলিগ তাবলিগ বলে হৈচৈ এর পেছনে কী উদ্দেশ্য ?
নিজাম উদ্দিন এর স্ংক্রমণ এর জন্য কোনো এক পক্ষকে দায়ী করা মোটেই ঠিক নয়।কেউ কি ইচ্ছাকৃত ভাবে করোনার শিকার হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হতে চায়?এর জন্য সংস্লিস্ট সকল পক্ষের দায়িত্বহীনতা পরিলক্ষিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে ।এক শ্রেণী চায় করোনা নিয়ে ঘ্রৃণ্য আমরা ও তোমরার রাজনীতি ।সুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক কখনও এ নোংরা রাজনীতি চায় না ।
আসল কথা হলো এ মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার ও জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক যোগে লড়াই করতে হবে । রাজনৈতিক,ধর্মীয় পরিচয় ভুলে ও দোষারোপ ছেড়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও দায়িত্বশিলতা ও সরকারী নির্দেশকে যথাযত পালনের মধ্য দিয়ে এ চরম সংকট থেকে পরিত্রাণ সম্ভবপর হবে ।
এখনো জাতি ধর্ম নির্বিশেষে অনেকে স্বাস্থ্যবিভাগ বা সরকারী নির্দেশ অবজ্ঞা করে চলেছেন । বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও জমায়েত হচ্ছেন ।এর জন্য সচেতন নাগরিকরা এগিয়ে এসে আম জনতাকে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে,নইলে সবাই ধ্বংসের শিকার হব।
বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ায় বরাক উপত্যকা এখনও শত যোজন পিছিয়ে । নতুবা •••••••••••••••••••••••
বরাকে কোন লাইভ টক শো এর ব্যবস্থা নেই। অন্যতায় এই সেই পত্রিকায় আবাল মার্কা বুদ্ধি ঝেড়ে যারা বৌদ্ধিক সমাজের ত্রাতা হন, তাদেরকে আমি সামনা সামনি বাস্তব ও যৌক্তিক আলোচনায় লেজেগোবরে করে দিতে পারতাম। এসব কোন অহংকার নয় বরং প্রতিটি ইস্যুর সার্বিক জ্ঞান অর্জনের প্রচেষ্টার এক সৎ সাহস মাত্র।
শিলচরের বিশিষ্ট আইনজীবী ইমাদ উদ্দিন বুলবুল সংবাদ মাধ্যমে তবলীগ জামাত সম্পর্কে যে বিবৃতি, তা ইসলাম সম্পর্কে তার অজ্ঞতার পরিচায়ক ।
মিডিয়া যখন তালগোল পাকাচ্ছে। ঠিক এই সময় #ইমাদ_উদ্দিন_বুলবুল সাহেব তাবলিগ জমাতকে একহাত নিলেন। সে যাইহোক। তার লেখাটা পড়েছি। এক জায়গায় তিনি উল্লেখ করেন- "জানুয়ারি থেকেই আমরা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার শুনছিলাম যে, করোনা ভাইরাসে চীনের মুসলমানরা আক্রান্ত হন নি"। কী আশ্চর্য অভিব্যক্তি! আজকাল সামাজিক মাধ্যমে আবাল-ছাবালরাও তো অনেক কিছুই বলে দেয়। তাই তো এই মাধ্যমের সব কথায় বিজ্ঞজনের খোরাক হয় না। আমার মতে, সামাজিক মাধ্যমে যিনি অযোগ্যদের পরিচয় করতে ব্যর্থ, যোগ্যতার মাপকাঠিতে তিনি নিজেই দুর্বল।
সুতরাং "মুসলমারা আক্রান্ত হন নি" কথাটি কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রচার করছেন কি না তা যাচাই করা বুলবুল সাহেবের উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি একটি আজগুবি কথা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে একটি সম্প্রদায়কে শুধু অপমানিত করেন নি, বরং একটি ঘৃণ্য চক্রান্তে ঘৃতাহুতি দিলেন। উল্লেখ্য, #করোনা_ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের সতর্কতামূলক উপায় অবলম্বনের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামারা মুসলিম সম্প্রদায়কে বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা কোরান ও সুন্নার আলোকে মানব জীবনের সুরক্ষার বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে প্রচার করছেন। এই মারণ ব্যাধির আক্রমণ থেকে নিজেকে তথা সমাজকে বাঁচানোর জন্য তাঁরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ তথা সরকারের নির্দেশাবলী মেনে চলার জন্য আহ্বান করছেন। এমনকী মসজিদে না গিয়ে ঘরেই নামাজ আদায় করার জন্য তাঁরা মুসলিম সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন । দায়িত্বশীল এসব উলামাদের বক্তব্য বুলবুল সাহেবের সামাজিক মাধ্যমে কি পৌঁছে না? বিজ্ঞজনের প্রচারিত বার্তাসমূহ এড়িয়ে কিছু মুর্খদের বক্তব্য লুফে নেওয়া জ্ঞানী ব্যক্তির কাজ নয়।
Subscribe to:
Comments (Atom)