Wednesday, November 25, 2020

২১ বছরেই তিন বিয়ে, এবার চতুর্থ বিয়ে করাচ্ছেন তার পূর্বতন তিন স্ত্রী!



নাম তার আদনান,জন্ম পাকিস্তান। পাকিস্তানের ২২ বছর বয়সী আদনান। এই নিয়ে চতুর্থবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তিনি। তাতে অবশ্য সম্মতি আছে তার আগের তিন বৌয়ের।
এই তিন বৌ মিলে এখন স্বামীর চতুর্থ বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছেন।

আদনান থাকেন শিয়ালকোট অঞ্চলে। আদনানের যখন মাত্র ১৬ বছর বয়স, তখন তার প্রথম বিবাহ সম্পন্ন হয়। প্রথম বিয়ের সময় আদনান একজন ছাত্র ছিলেন, পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন। বছর চারেকের মাথায় অর্থাৎ যখন তার ২০ বছর বয়স, তখন দ্বিতীয় আর গত বছর তৃতীয়বার বিয়ে (২১ বছরে) করেন তিনি।

এবার আরও একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন শিয়ালকোটের আদনান।
মজার বিষয় হলো, এ ক্ষেত্রে পাত্রীর নাম হতে হবে এস বা শ দিয়ে।
তার অন্যতম কারণ, আদনানের বাকি তিন স্ত্রীয়ের নামও এই অক্ষর দিয়েই শুরু।
তাদের নাম যথাক্রমে শুম্বল, শুবানা, শাহিদা।

প্রথম স্ত্রী শুম্বল ও আদনানের তিন সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী শুবানার সঙ্গে রয়েছে আরও দুই সন্তান। যাদের মধ্যে একটিকে দত্তক নিয়েছেন তৃতীয় স্ত্রী শাহিদা।

আরও একটি তথ্য জেনে অবাক হতে হয়। একই ছাদের নিচে তিনজন নারী বাস করেন, যারা পরস্পরের সতীন।

কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও ঝামেলা বা ঝগড়া হয় না। শুধু তাই নয়, আদনান যে চতুর্থ বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তার জন্য যোগ্য পাত্রী খুঁজছেন তার তিন স্ত্রী। তিন বউ, পাঁচ সন্তানের এই বিশাল সংসারের খরচ কীভাবে চালান আদনান?

আয়ের উৎস সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু না বললেও আদনান জানিয়েছেন, প্রথম বিয়ের পর থেকেই ধনসম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছে তার।

#সূত্র: গাল্ফ টুডে থেকে

Tuesday, November 24, 2020

যুব নদওয়ার স্মৃতিপটে আমার ছবি

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে নদওয়ার শোক



বদরপুর ২৩ নভেম্বর ::  আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা  প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ শ্রীযুক্ত তরুণ গগৈ মহাশয় এর মৃত্যুতে উত্তর-পূর্ব ভারত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত্ তামীর গভীর শোক ব্যক্ত করেছে । তাঁর মৃত্যুতে দেশ তথা রাজ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ।  তিনি ছিলেন একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ, তাই আজ গোটা দেশ তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত । এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত্ তামীরের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মাওলানা আতাউর রহমান মাঝারভূইয়া, প্রশাসনিক সম্পাদক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী সহ এক প্রতিনিধি দল শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গুয়াহাটীতে ছুটে গেছেন। সদা হাস্যমুখী এই মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের আমীরে শরীয়ত মাওলানা ইউসুফ আলী সাহেব, নায়েবে আমীর শরীয়ত মাওলানা বদরুল হক এমনি, কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড০ ফজলুর রহমান লস্কর ও মাওলানা উসামা মবরুর চৌধুরী প্রমুখ।
    

Thursday, November 12, 2020

শিক্ষকের মর্যাদা বড় না বাবার মর্যাদা বড়?

استاد کا رتبہ بڑا ہے یا والد کا؟
مفتی تقی عثمانی صاحب 

ایک مرتبہ شیخ عبدالاحد ازہری جو مصر کے بہت اچھے فقیہ ہیں، میرے مہمان ہوئے. آپ نے حاضرین کے سامنے بہت ہی عمدہ انداز میں تلاوت کی۔ پھر گفتگو کا دور شروع ہوا۔ بات نکلی۔ کہ قرآن نازل ہوا عرب میں پڑھا گیا مصر میں اور سمجھا گیا ہند میں۔ اس پر انہوں نے اپنا ایک واقعہ بیان کیا کہ.. 

 ایک مرتبہ میں مسجد نبوی میں حاضر تھا۔ کچھ محبت رکھنے والے علماء نے مجھے مسند پر بٹھا دیا۔ اور کہا ہمیں کچھ نصیحت کریں۔ بعد نصیحت کے سوال جواب کا دور شروع ہوا۔ کسی نے پوچھا استاذ کا رتبہ بڑا یا والدین کا؟؟ 
میں نے کہا کہ بعض حضرات نے لکھا ہے کہ استاذ کا درجہ بڑا ہوتا ہے۔ کیوں کہ والدین بچے کو نیچے(دنيا میں) لانے کو محنت کرتے ہیں اور استاذ بچے کو نیچے( دنیا) سے اوپر لے جانے کے لئے محنت کرتا ہے۔۔۔۔۔۔اس جواب پر ایک ادھیڑ عمر کے آدمی نے کہا کہ مجھے آپ کا جواب سمجھ میں نہیں آیا۔ میں نے کہا آپ کچھ سمجھا دیں۔ اس نے کہا۔ کہ صحابہ کے دور سے یہ ترتیب چلی آ رہی ہے۔(غالباً حضرت معاذ اور جناب نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم کی ایک گفتگو کی طرف اشارہ فرمایا) کہ پہلے کتاب اللہ پھر سنت رسول اللہ، پھر عمل صحابہ پھر اخیر میں قیاس ہے۔اور آپ نے پہلے ہی قیاس کو اٹھایا۔
حالانکہ والدین کا رتبہ منصوص علیہ ہے۔ اور آپ نے جو دلیل پیش کی وہ قیاس ہے۔ جب نص کسی چیز کی فضیلت میں وارد ہو جائے وہ   ہر حال میں افضل ہی رہتی ہے۔تاآنکہ کوئی دوسری نص اس کے خلاف وارد ہو جائے ۔

میں نے اپنا سر پکڑ لیا۔۔۔۔ کہ واقعی اتنی زبردست چوک مجھ سے کیسے ہوگئی جب کہ  اصول میں یہ بات ہے کہ کسی چیز کی فضیلت ،یا کسی چیز کے ثواب و عقاب کو ثابت کرنے کے لئے نص قطعی الثبوت چاہیے ۔ یا ایسا مضبوط باسند المتصل قول نبی چاہیے جو اس فضیلت یا ثواب و عقاب کے معاملہ میں صریح ہو، 
میں نے کہا واقعی میں غلطی پر تھا۔ کچھ اور فرمائیں۔ کہا  کہ ایک باندی تھی۔ ابو لہب کی آزاد کردہ جن کا نام تھا "ثویبہ" جنہوں نے چند روز آپ علیہ السلام کو اپنا دودھ پلایا تھا۔ ایک مرتبہ تشریف لائیں۔ تو آپ نے اپنی دستار مبارک ان کے راستہ میں بچھا دی۔ یہ درجہ دیا اس ذات کو جس نے چند روز دودھ پلایا۔ تو جنم دینے والی کا کیا حق ہوگا؟ اور دوسری طرف حضرت جبرئیل جو من وجہٍ آپ کے استاذ تھے۔ ان کی آمد پر اس قسم کی تکریم ثابت نہیں۔

میں نے کہا آپ کے جواب سے اطمینان ہوا۔ کلام الہی اور عمل نبی کے بعد کسی چیز کی ضرورت نہیں۔ پھر وہ اٹھ کر چل دیئے ۔ میں نے کہا شاید کوئی فقیہ ہیں۔  اہلِ مجلس نے کہا کہ یہ ہندوستان کے ادارہ دارالعلوم دیوبند کے استاذ حدیث مفتی سعید احمد پالنپوری ہیں۔ ( رحمہ اللہ رحمۃ واسعۃ )

کہاں سے لائیں تیرا انداز افہام و فراست 
(عفان مرادابادی )

Wednesday, November 4, 2020

২৮টি কাজের শিলান্যাস করলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

এক সাথে ২৮ টি কাজের উদ্বোধন হচ্ছে উত্তর করিমগঞ্জে। কাজ করতে মানসিকতা লাগে। বিরোধী দলের বিধায়ক শব্দটি কোনোমতেই আটকাতে পারেনি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে।বিধায়ক হ‌ওয়ার আগে থেকেই যে আসাম টাইপের ঘর দেখে আসছি,আজ বিধায়ক হ‌ওয়ার নয় বছর পর‌ও সেই টিনের চালের আসাম টাইপের ঘরেই বসবাস করছেন তিনি। শহর, কিংবা শহরতলিতে বা গুয়াহাটিতে দালান, হোটেল কোনো কিছুই করেননি।যা কিছু পান, বেশিরভাগই মানুষের সাহায্যে বিলিয়ে দেন। ভাগ্যবান উত্তর করিমগঞ্জর মানুষ,। আসুন আগামী দিনে এরকম কম লোভী প্রার্থীকে জয়ী করার চেষ্টা করি। একটি সুষ্ঠু সমাজ গঠনে এগিয়ে আসি।

লাফাশাইলের দশনলি মক্তবের নির্মাণ কাজে বাধা, বিধায়ক কমলাক্ষের হস্তক্ষেপে সমাধা।

উত্তর করিমগঞ্জ বিধানসভা সমষ্টির অন্তর্গত লাফাশাইল গ্রামের ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব তথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে বাধা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নাকি আন্তর্জাতিক সীমান্ত সড়কের অধীনস্থ জায়গায় নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেছে। তাই সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফের তরফে বাধা আরোপ করা হয়। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে উত্তর করিমগঞ্জের মাননীয় বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মহাশয়। বিধায়কের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধা হয়। এবং কাজও যথারীতি আরম্ভ হয়। এতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও গোটা এলাকাবাসী বিধায়কের এহেন কর্মে সন্তোষ ব্যক্ত করেন।

Monday, October 26, 2020

#No_Divide_Voting_in_favour_of_secular_party.

BJP has plans to declare India a Hindu Country. To Pass this Bill they need 2/3rd or 67 percent Majority  in Loksabha n Rajyasabha and same Bill has to be Passed in atleast 15 state Assemblies. Now NDA needs 35 more MPs in Loksabha and 80 more MPs in Rajyasabha to get 2/3rd Majority. If Muslims continue to sell their Vote or Divide the Votes or not Voting at all will Make India to be declared as Hindu Country and Muslims will loose the Right to Vote like in China, France, Burma etc. Only way to Stop this is by Making BJP loose by Voting to the other strongest Candidate from any other Party. But all Muslims of Each Jamaat should Unite n Decide whom to Vote to defeat BJP. Those who are selling Your Votes, You are Actually selling Deen, Azaan, Masjids n Madarsas. Same about Dividing the Votes. So coming Elections are not just Elections, it's a Matter of Existence of Muslims and other Minorities and our Freedom to Practice the Religion. Pass this message to all Muslims and other Minorities. If we fail to defeat BJP, We have to be  Ready to live like Slaves, like in China and other Countries. Every Muslim, be awake, Think and Study about this act Wisely and Pray to Allah. May Allah give us Ability to Understand and Unite. 

Aameen. 

Please forward this so that it reaches every muslim in India and for God's sake explain this to your family members and friends....

Regards..... 

Nisar Ahmad (IPS  Retd)
 copied 

Friday, October 23, 2020

নবী সা. এর প্রতি ফ্রান্সের অবমাননা মূলক আচরণের প্রতিবাদে কুয়েতের কিছু শপিংমল তাদের তাক থেকে ফরাসি পণ্য সরিয়ে ফেলছে#নবীর ভালবাসা জিন্দাবাদ!আল্লাহ তোমাদের কবুল করুক!

সবার উপরে শিক্ষকের মর্যাদা

সালটা ১৯৯৪।ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি মাননীয় শঙ্কর দয়াল শর্মা তাঁর বিদেশ যাত্রায় চলেছেন ওমানে।সেইদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যখন ওমানে অবতরণ করল তখন তিনটে অত্যন্ত চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিল।আজ সেকথাই আপনাদের বলব।

১)ওমানের রাজা কখনোই কোনো গন্যমান্য ব্যক্তিকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে যেতেন না।কখনোই না।কিন্তু সেদিন সবাইকে চমকে দিয়ে ওমানের রাজা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে  বিমানবন্দরে এলেন।

২)যখন বিমান রানওয়ে স্পর্শ করল তখন রাষ্ট্রপতি সিঁড়ি দিয়ে অবতরন করলেন না,বরং ওমানের রাজা নিজেই সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলেন বিমানের মধ্যে। তিনি নিজে রাষ্ট্রপতিকে সিট থেকে গ্রহন করবেন বলে।

৩)প্লেন থেকে নামার পর শ্রী শর্মা দেখলেন অদূরেই দাঁড়িয়ে আছে একটি সুসজ্জিত গাড়ি।শঙ্কর দয়াল শর্মা এগিয়ে গেলেন গাড়ির দিকে।আর তখনই ওমানের রাজা  চালককে ইশারা করলেন অন্য গাড়িতে গিয়ে বসার জন্য,কারন তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যাবেন তাঁর বাসভবনে। 

এইসব দেখার পর কৌতুহলী, বিস্মিত সাংবাদিকরা রাজাকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি একই সঙ্গে এতগুলো প্রোটোকল কেন ভাঙলেন? রাজা মৃদু হেসে জবাব দিলেন, আমি আজ ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যাইনি,আমি ভারতবর্ষে পড়াশোনা করেছি,বহু কিছু শিখেছি ওই দেশের কাছে।যখন আমি পুনেতে পড়াশোনা করতাম তখন শ্রী শর্মা আমার প্রফেসর ছিলেন,শুধুমাত্র এই কারনেই আমি ওনাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলাম।

এটাই শিক্ষক হবার সবথেকে বড়ো শক্তি বলে মনে করি।শিক্ষক হওয়া এই জন্যেই গর্বের, প্রাপ্তির। একজন শিক্ষকের স্থান রাষ্ট্রপতিরও উর্ধে..........
সুত্র - -  আলোর দিশারী
#সোহিনী নন্দীর টাইমলাইন হতে সংগৃহীত

Wednesday, October 21, 2020

লাফাশাইল জলীলিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে।

যদি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ সমষ্টিতে মুসলিম প্রার্থী দেওয়া হয় তাহলে এককথা। নতুবা ঘা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক কূটচাল মাত্র।

শোক সংবাদ


ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহর জেলা নদওয়ার অন্তর্গত ইরানী আঞ্চলিকের কাজীয়ে শরীয়ত মাওলানা আব্দুল বাছিত সাহেব আজ ২১ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজি ০৩ রবিউল আউয়াল বুধবার সকালে শিলচরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। *ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন*। স্ত্রী, দুই ছেলে, চার মেয়ে ও আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধ রেখে মহান আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন। দওরায়ে হাদিসে পড়ার সময় থেকে দেখে আসছি আমার এই সহপাঠী অত্যন্ত নম্র ও বিনয়ী স্বভাবের অধিকারী ছিলেন। ত্রিপুরা রাজ্য এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত্ তামীরের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব  ইসমাইল আলী সাহেবের ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল বাছিত অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এমারত ও নদওয়ার কর্ম করে গেছেন। নেদায়ে দ্বীন পত্রিকায় তাঁর অনেক লেখনী প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রূহের মাগফিরাত ও মর্যাদা বৃদ্ধি কামনা করে পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন উত্তর পূর্ব ভারতের আমীরে শরীয়ত হজরত মাওলানা ইউছুফ আলী সাহেব, নাইবে আমীরে শরীয়ত হজরত মাওলানা বদরুল হক এমনী সাহেব, এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত্ তামীরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান মাঝারভূইয়া সাহেব, এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদওয়াতুত্ তামীরের কেন্দ্রীয় সম্পাদক যথাক্রমে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাহেব, মাওলানা ফজলুর রহমান লস্কর সাহেব, মাওলানা উসামা মবরুর চৌধুরী সাহেব প্রমুখ।আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করেন, আমীন। 

 

Sunday, October 18, 2020

মুসলিম সমাজের বিবাহে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার

মুসলিম সমাজে বিবাহ উপলক্ষে প্রচলিত কিছু কুপ্রথা:-

কারো গায়ে লাগলে লাগতে পারে, তবে আমাকে বলতেই হবে। আর আপনি মুসলিম হলে আপনাকে মানতেই হবে। 👏

#গায়ে_হলুদ

আমাদের সমাজে এমন ও নামধারী ইমানদার ব্যক্তি রয়েছেন যাদের নামের আগে হাজ্বী সাব, মুরব্বী সাব , মাতব্বর সাব ইত্যাদি লাগানো থাকে। মসজিদের প্রথম কাতারে দাঁড়ায় এরা, উচ্চস্বরে মাতব্বরি করে অথচ নীজের মেয়ের কিংবা ছেলের বিবাহ উপলক্ষে সম্পূর্ণ অনৈসলামিক কুপ্রথা চালাতে এরা মোটেও দ্বিধাবোধ করে না। গায়ে হলুদ নামক অনুষ্ঠানটি মুসলিম বিবাহ উপলক্ষে সম্পূর্ণ অবৈধ হারাম নাযাইঝ। অথচ অনেক মুসলিম এটাকে খুশীর মধ্য দিয়ে বর-কনেকে হলুদ জামা-কাপড় পরিয়ে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান অনাড়ম্বর ভাবে উদযাপন করে যা শরীয়ত সম্মত ভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ। তাদের কাছে কোন যুক্তি নাই তবুও বাধা দিতে দেখিনা। আবার পাক্কা ইমানদার হিসাবে নিজেকে দাবি করতে এরা পিছপা হয় না। 
বিয়ে-শাদীতে গায়ে হলুদের নিয়ম বর্তমান সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ আকার ধারণ করেছে। আমি নিজে দেখেছি আমাদেরই বরাক উপত্যকায় এই প্রথা মুসলিম সমাজে এখনো প্রচলিত রয়েছে। গায়ে হলুদকে কেন্দ্র করে অনেক আয়োজন, অনুষ্ঠান, গান বাজনা ও বেপর্দা মেলামেশা আমাদের মুসলিম সমাজে এখনো হয়। অথচ ইসলামী শরীয়তে গায়ে হলুদের কোন নিয়ম নেই। আপনি প্রভাবশালী, আপনি গ্রামের মুড়ল/মুরব্বী , আপনি এমলএ মন্ত্রী তাই আপনার ছেলে-মেয়ের বিয়েতে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করতে হবে তাই? বেটা এখানে আপনার মাতব্বরি দেখানোর সুযোগ নাই । মুসলিম দাবি করলে শরীয়ত পরিপূর্ণ মানতে হবে আপনাকে। কোথায় পেয়েছেন এসব ভন্ডামি শরীয়তের কোথায় পেয়েছেন গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান বৈধ? দেখাতে পারবেন ? তাহলে কেন করছেন অন্যকে বাঁধা ও দিচ্ছেন না এবং নিজেও করছেন!!

#মোহরানা_আদায়

বর্তমান নতুন ট্রেন্ড চালু হয়েছে ধনীর ছেলে মোহরানা না দিয়ে টাকার দাম্ভিকতায় উপহার সামগ্রী মোহরানা থেকেও বেশী দেয়। অথচ মোহরানা আদায় করা বিবাহের অন্যতম একটি শর্ত । তা পূরন না করে লক্ষ টাকার সামগ্রী উপহার দিচ্ছে। নিজের দাম্ভিকতা-আতম্ভরিতা ত্যাগ করুন শরীয়তকে প্রাধান্য দিন বরকত আসবে। যা করার তা করুন তারপর মন চাইলে নিজের বাসস্থান উঠিয়ে নিয়ে উপহার হিসেবে দিয়ে দিন কোন অসুবিধা নাই। তবে প্রাপ্যটা আদায় করতে হবে আপনাকে।

#নির্দিষ্ট_দিন_তারিখ_দেখে_বিয়ে_করাঃ-

শরীয়তে এধরনের কোন বাঁধা বিপত্তি নাই যে, বিবাহের ক্ষেত্রে চন্দ্র মাসের অমুক তারিখ, তমুক তারিখ হতে হবে। অনেকে আবার শনিবার, মঙ্গলবারে বিবাহের তারিখ ধার্য করতে বাঁধার সৃষ্টি করেন । শনিবার নাকি শনির দশা, মঙ্গলবার নাকি মঙ্গলের দশা নায়ুঝুবিল্লাহ। এরকম কোন নিয়মাবলী শরীয়তে নাই । সম্পূর্ণ বানাওয়াট কুপ্রথা এগুলা। 

#কদমবুসি_করাঃ-

বর ও কনের মুরব্বিদের কদমবুসি করা একটি মারাত্মক কু-প্রথা। বিয়ে কেন যেকোনো সময় পায়ে হাত দিয়ে সালাম করা যাবেনা । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবা (রাঃ) আনহুম আজমায়ীন থেকে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বেশী সম্মান দেখাতে গিয়ে শরীয়তের গন্ডি থেকে বেরিয়ে যাওয়া কোথায় পেয়েছেন মশাই? 

এভাবে বর্তমান সময়ে বিয়ে শাদীতে বহু অনিয়ম চালু রয়েছে। বিধর্মীদের নিয়ম কানুন মুসলিম সমাজের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধে ঢুকে পড়েছে। বিবাহটা যে একটা ধর্মীয় কাজ সেটা আর কেউ মোটেও খেয়াল করছে না। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন আমীন।

ক্রমশঃ

Monday, August 17, 2020

*বর্তমান* *মুসলিমদের* *অধঃপতনের*মূল*কারণ*🥏🥏🥏🥏🥏🥏জাষ্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী দাঃ বাঃ★★★★★★”★★★★


  উম্মতে মুসলিমা কুরআনুল কারীমকে পিছে ঠেলে দিয়েছে। কুরআনুল কারীম ছেড়ে দিয়েছে। কুরআন কারীম তার ছেড়ে দিয়েছে মানে- (ক) তার তিলাওয়াত ছেড়ে দিয়েছে- যেভাবে তিলাওয়াত করা উচিত ছিল। (খ) এর অর্থ বোঝার চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছে এবং (গ) এতে যেই তালীম ও শিক্ষা রয়েছে তার উপর আমল করা ছেড়ে দিয়েছে। কুরআন ছেড়ে দেওয়ার মাঝে এই তিন অর্থ নিহিত রয়েছে।

কুরআনে কারীমের তিলাওয়াত একটি স্বতন্ত্র আমল
কুরআনুল কারীমের হুকূক আদায়ের সর্বপ্রথম সিঁড়ি হচ্ছে কুরআনে কারীমের তিলাওয়াত। অর্থাৎ মুসলমান এর তিলাওয়াত করবে। যদিও কুরআনুল কারীম অবতরণের মূল উদ্দেশ্য হল- কুরআনুল কারীমের মাঝে যে তালীমাত রয়েছে সেগুলো আমলে নিয়ে আসা। কিন্তু এর প্রথম ধাপ হচ্ছে তিলাওয়াত। তিলাওয়াতে কুরআন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এমন মহান এক নুসখা যে, কুরআনে কারীমের শুধু তিলাওয়াতটিই একটি স্বতন্ত্র ইবাদত এবং বড় সৌভাগ্যের বিষয়। হাদীসে বলা হয়েছে- কুরআন কারীম তিলাওয়াত করলে প্রতিটি অক্ষরে দশ দশ করে নেকী পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ব্যাখ্যা করে বলেন, আমি একথা বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি স্বতন্ত্র হরফ এবং লাম একটি স্বতন্ত্র হরফ এবং মীম একটি স্বতন্ত্র হরফ- তো শুধু আলিফ-লাম-মীম তিলাওয়াত করার মাধ্যমে ত্রিশ নেকী অর্জিত হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এমন নুসখায়ে শেফা- যা মূলত হেদায়েতের নুসখা- দান করেছেন, যার কোনো তুলনা হয় না। ডাক্তারের নুসখা তো এমন হয় যে, ডাক্তার বলে দেন- এটা হল তোমার ব্যবস্থাপত্র। এ অনুযায়ী তুমি ওষুধ সংগ্রহ করে ব্যবহার করবে। কিন্তু এখন যদি তুমি সেই প্রেসক্রিপশন সারা দিন পড়তে থাক, তাহলে এতে কোনো ফায়দা নেই। তোমার রোগ এতটুকুও ভালো হবে না। কিন্তু এই নুসখায়ে শেফা এতটাই মুফীদ ও উপকারী যে, এর উপর আমল করা এবং এর অর্থ-মর্ম অনুধাবন করা যদিও একেকটি স্বতন্ত্র আমল এবং বড় বড় আমল। তবে এগুলোর সাথে সাথে শুধু এর তিলাওয়াতটাই একটি স্বতন্ত্র আমল।

এজন্য মুসলিম সমাজের একটা ঐতিহ্য এও ছিল যে, দৈনিক কিছু না কিছু তিলাওয়াত করা ব্যতীত পুরোটা দিন কাটিয়ে দিবে- এমন মুসলমান পাওয়া যেত না। সাধারণত ফজরের পর মুসলিম ঘরগুলো থেকে তিলাওয়াতের ধ্বনি ভেসে আসত। মুসলিম সমাজের এটা একটা বড় ইমতিয়ায ও বৈশিষ্ট্য ছিল। মুসলিম বসতিতে গেলে মানুষ বুঝে ফেলত যে, এটা মুসলিম জনপদ এবং এখানকার ঘরগুলো তিলাওয়াতে কুরআনে মুখরিত হয়ে আছে।

তো হযরত রাহ. বলেন- মুসলমান এই আমল ছেড়ে দিয়েছে।  দৈনিক কিছু হলেও তিলাওয়াত করার যে রুটিন মুসলিম জীবনে ছিল, অনেকেই বরং বলা যায় অধিকাংশ মুসলিমই তা ছেড়ে দিয়েছে।

তিলাওয়াত ছেড়ে দেওয়ার একটা বড় কারণ এও যে, অনেক মুসলমান তিলাওয়াতটাই শিখেনি। বড় বড় পদ ও পদবীর অধিকারী হয়ে গেছে। বড় লিডার বনে গেছে। আমীর হয়ে গেছে। সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তি হয়ে গেছে। এতকিছু হয়ে গেছে, কিন্তু মুসলমান কুরআন শরীফ স্বাভাবিকভাবে পড়তে শেখেনি। তাহলে তিলাওয়াত করবে কীভাবে?! বহুত আফসোসের কথা!!

একটি ভুল ধারণা
সমাজে একটি মারাত্মক ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়- ভাই, কুরআন তো এজন্য এসেছে যে, তুমি এটা বুঝবে এবং এর উপর আমল করবে। শুধু তিলাওয়াতে কী ফায়দা? এটা মস্ত বড় ভুল ধারণা।

আমি তো মাত্রই রাসুলুল্লাহ সা. এর হাদীস শোনালাম- কুরআন তিলাওয়াত করলে প্রতিটি হরফে দশটি করে নেকী হাসিল হয়। আর যে ব্যক্তি তিলাওয়াতই জানে না, তিলাওয়াত করার অভ্যাসই যার নেই, সে এর উপর কী আমল করবে! কুরআনের কাছে আসার প্রথম ধাপই তো হল তিলাওয়াতে কুরআন।

তো হযরত শাইখুল হিন্দ রাহ. -আল্লাহ তাআলা তাঁর মরতবা বুলন্দ করুন- বলেছেন, এই কুরআনকে ছেড়ে দেওয়া- অর্থাৎ ক. তিলাওয়াত ছেড়ে দেওয়া, খ. এর অর্থ ও মর্ম অনুধাবন করা ছেড়ে দেওয়া এবং গ. এর শিক্ষা অনুসারে আমল ছেড়ে দেওয়া- এগুলো মুসলমানদের অধঃপতনের একটা মৌলিক কারণ।

হযরত বলেন- এজন্য আমি আমার বাকি জীবন এই কুরআনের খেদমতেই ব্যয় করব, ইনশাআল্লাহ। অর্থাৎ কুরআনে কারীমের তালীম আম ও ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর করব। এ কল্পে হযরত পুরো হিন্দুস্তান জুড়ে মক্তব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অনেক মক্তব প্রতিষ্ঠাও করেন, যাতে সবাই দ্বীন শিখতে পারে ✍🏽

Thursday, August 13, 2020

১৫ ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস



ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় পনেরোই আগস্ট তারিখে। ১৯৪৭ সালে এই তারিখেই ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। দিনটি ভারতে একটি জাতীয় ছুটির দিন। সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। দেশের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় দিল্লির লালকেল্লায়। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নেতা ও শহিদদেরও শ্রদ্ধা জানান।

পটভূমি

১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ব্রিটেনের রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রিটেনের পক্ষে অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক কোনও রকম সাহায্য লাভ অসম্ভব হয়ে পড়ে। ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারে সেই পরিস্থিতিতে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে। তাঁরা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে দেয় যে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ভারতের শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদানীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়; পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ হয় ছিন্নমূল। তাঁরা দলে দলে র‌্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিজেদের পছন্দমতো দেশে আশ্রয় নেন। বেশির ভাগ মানুষই চোখের জলে নিজেদের দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। পঞ্জাবে শিখ অঞ্চলগুলি দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়। দাঙ্গা হয় বাংলা ও বিহারেও। তবে সেখানে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ২৫০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ লোক সীমান্তের দুই পারের দাঙ্গায় হতাহত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট নতুন পাকিস্তান জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। মধ্যরাতে অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহরু তাঁর বিখ্যাত ‘নিয়তির সঙ্গে অভিসার’ ভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।

উদযাপন

১৫ আগস্ট দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানটি জাতীয় চ্যানেল দূরদর্শনের সাহায্যে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়। রাজ্য রাজধানীগুলিতেও পতাকা উত্তোলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অন্যান্য শহরে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ নিজ নিজ কেন্দ্রে পতাকা উত্তোলন করেন। নানা বেসরকারি সংস্থাও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুল-কলেজেও পতাকা উত্তোলন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই উপলক্ষে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাজপোশাক পরে শোভাযাত্রা করে।

Monday, June 29, 2020

یا رب العالمین ان بزرگوں کی قبرکو جنگ کی باغ بنا دیجیءے

*زمانہ لاک ڈاؤن میں  اس دار فانی کو الوداع کہہ کر امت کو یتیم کر کے اپنی حقیقی مولا کی آغوشِ رحمت میں جا ملنے والے علماء کرام* 
(١)شیخ الحدیث حضرت مولانا مفتی سعید احمد صاحب پالنپوری رحم اللہ
(٢)حضرت مولانا حفظ الرحمان صاحب کاکوسی رحمہ اللہ
(٣)حضرت مولانا وسیم صاحب گنگوہی رحمہ 
(٤)حضرت مولانا عبد الرحیم صاحب فلاحی رحمہ اللہ
(٥)حضرت شیخ سرفراز صفدر رحمہ اللہ                                (٦)حضرت مولانا عرفان صاحب فروزپوری رحمہ اللہ
(٧)حضرت مولانا احمد صاحب پٹنی رحمتہ
(٨) حضرت مولانا یوسف جمیل صاحب  آندھر پردیش رحمہ اللہ
(٩)حضرت مولانا عبد الوحید صاحب گونڑوی رحمہ اللہ
(١٠)مولانا الیاس صاحب مظاہری رحمہ
(١١)حضرت مولانا الحاج صاحب قاسمی رحمہ اللہ
(١٢)حضرت مولانا موسی قاضی صاحب رحمہ اللہ
(١٣)حضرت مولانا ابو الکلام صاحب قاسمی رحمہ اللہ
(١٤)حضرت ڈاکٹر خالد محمود صاحب رحمہ اللہ
(١٥)حضرت مولانا راشد صاحب پالنپوری رحمہ اللہ 
(١٦)حضرت مولانا یوسف صاحب رحمۃ اللّٰہ علیہ بودھانیہ سابق استاذ جامعہ اشرفیہ راندیر
(١٧)شیخ راشد الحقان صاحب رحمۃ اللّٰہ 
(١٨)دارالعلوم مدنیہ بہاول پور کے پہلے فاضل مولانا عبد العزیز رحمہ اللہ
(١٩)شیخ طریقت مولانا عبد الہادی خلیفہ مجاز مولانا عبد الکریم بیر شریف کوئٹہ رحمہ اللہ
(۲۰) مولانا عبد المہیمن قریشی رحمہ اللہ
(٢١)خواجہ محمد اسلام رحمہ اللہ 
(٢٢)معروف خطیب مولانا عبید الرحمن ضیاءرحمہ اللہ
(٢٣)جامعہ حنفیہ جہلم کے قدیم استاذ  حضرت قاری عتیق الرحمن جہلم رحمہ اللہ
(٢٤)تلمیذ بنوری مولانا ہارون عباس رحمہ اللہ جنوبی افریقہ
(٢٥) دارالعلوم کراچی کے قدیم استاذ حکیم عزیز الرحمن رحمہ اللہ 
(٢٦) مفسر قرآن صوفی عبد الحمید سواتی رحمہ اللہ کی اہلیہ محترم
(٢٧) مولانا غلام اللہ خان لاہور کے والد مولانا صبغت اللہ رحمہ اللہ
(٢٨)معروف حنفی محقق مولانا عبد القیوم رحمہ اللہ 
(٢٩)جامعہ بنوریہ ٹاؤن کے قدیم استاذ مولانا قاری نسیم الدین رحمہ اللہ 
(٣٠)حضرت ڈاکٹر عبد المقیم رحمہ اللہ 
(٣١)خلیفہ حضرت حکیم اختر مولانا نعیم اختر
(٣٢)شیخ الحدیث مولانا عبد الرؤوف پنڈی
(٣٣)قاطع رافضیت مجاہد اہل سنت مولانا عبد اللہ قاسمی لاہوری
(٣٤)قائد برطانیہ مرکزی رہنماجمعیۃ علماء برطانیہ حضرت قاری تصور الحق مدنی رحمہ اللہ 
(٣٥)پیر طریقت حضرت خواجہ عزیز احمد بہلوی رحمہ اللہ
(٣٦)جامعہ نظامیہ بہاول پور کے بانیو مہتمم مولانا شمس الدین انصاری رحمہ اللہ 
(٣٧)جامعہ بنوریہ کراچی کے بانی،رئیس وشیخ الحدیث مولانا مفتی محمد نعیم رحمہ اللہ 
(٣٨) مولانا عزیز الرحمن ہزاروی پاکستانی ،اسلامی اسکالر اور جامعہ دارالعلومزکری اسلام آباد کے صدر رحمہ اللہ 
(٣٩)محدث اعظم پاکستان یادگار اسلاف قبلہ پیر سید صادق حسین شاہ رحمہ اللہ
( ۴۰) حضرت مولانا عبدالقادر صاحب امیر تبلیغ جماعت تمل نا ڈو 
( ۴۱)شیخ الحدیث مولانا عبدالقادرصاحب امیر تبلیغ جماعت برما ( میانمار)
(42)حضرت مولانا عبدالشکور صاحب محدث الجامعہ العربیہ الاسلامیہ بدرپور آسام 
(😭کڑے سفر کے تھکے مسافر"  تھکے ہیں ایسا کہ سو گۓ ہیں😭خود اپنی آنکھیں تو بند کر لی" ہر آنکھ لیکن بھیگو گۓ ہیں😭                                       *إِنَ لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ*‎
*عظم الله أجركم و أحسن عزاءكم وغفر لميتكم وأسكنه الفردوس الأعلى من الجنة*
(یہ فہرست اپنے علم کے مطابق تحریر کی کچھ نام چھوٹ گئے ہوں)

Sunday, June 28, 2020

আমি একজন ইমাম


আমি একজন ইমাম
চ্যালেন্জ করছি আজ
দেখাও আমায় আমার মতো
কে করে আর কাজ?

আমার অফিস শুরু হয়
যখন ভোর রাত
রাত্র নয়টায় বন্ধ করলেও
শুনি কটু বাত 

নারী করে এক স্বামীর ঘর
আমার কি  আছে শেষ 
যে না পারে সে-ও এসে
নানা সময় করে আদেশ 

একটি অফিস আছে কি এমন
ঘড়ি দেখে কাজ চলে?
একটি মিনিট এদিক হলেই,
আমায় কটুকথা বলে 

সব অফিসারের শত ভুলেও
নেই যে কারো কোন দৃষ্টি 
আমার একটু ভুল হলেই
ঝরে আল্লাহু আকবার বৃষ্টি 

অফিসারের বেতন কতো?
সেটা না-হয় বাদই দিলাম
পিয়ন যিনি তার বেতনটা
বুঝার জন্য তোলে নিলাম

মাস পার হলে বেতন হাজার
বিশ না হলেও কাছাকাছি 
সে খবর কি রাখে কেহ?
আমরা কিভাবে বেঁচে আছি?

বলবে হয়তো সম্মান বেশি
তাতে কি আর পেট ভরে? 
হাট-বাজারে,ঔষধের দোকানে
আমাদের কি কেউ দয়া করে?

ইংরেজি আর অংক স্যারের
মাইনেটা আসে হলুদ খামে
কুরআন শিক্ষার পঞ্চাশ টাকা
দিতে গেলেই শরীর ঘামে

জন্ম হলে আযানটা দেই
যৌবনে দেই বিয়ে
মরার পরে গোসলটা দেই
সাবান লোবান দিয়ে 

সাদা কাপড়ের কাফনটা দেই
জানাজা দেই মাঠে
কবরেতে সাওয়াবটা দেই
আমরাই কুরআন পাঠে

এমন একজন দেখাও তোমার
সকল কাজে লাগে?
রমজান মাসে নিশি রাতে
তোমার জন্য জাগে? 

এবার বলি আরও একটা
মোদের দুঃখের কথা
কেউ ভাবেনা কেউ দেখেনা
মোদের এ সব ব্যথা

সকল কাজে ছুটি আছে
আমার কাজে নাই
বাড়ি গেলেও নামাজ কি আর
মাফ আছে রে ভাই? 

চাকরিতে যা ছুটিতেও তা
এটার নাম কি ছুটি? 
ভাগ্য দোষে কাতল মাছ আজ
হলাম চুনোপুঁটি 

আল কুরআনের সুরা তওবার
আঠারো নম্বর আয়াত
থাকলে চালু হতাম কি আর
মসজিদ কমিটির বায়াত?

কুরআন ছাড়ায় পোড়াচ্ছে আজ
জ্বালাচ্ছে সবখানে 
পরকালেও জ্বালাবে এ আগুন
তাই চলি সাবধানে।।

Wednesday, June 17, 2020

ভাষা আন্দোলনে মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী (রহঃ) এর অবদান ।



ভাষা আন্দোলন আসাম তথা বরাকের সর্ববৃহৎ গণ আন্দোলন । এই আন্দোলন সর্বাত্মক সার্থক ও সফল আন্দোলন । আন্দোলনকে সফলতার চরম শিখরে পৌঁছাতে যে ক'জন বিপ্লবী নেতা জীবন বাজি রেখে  লড়েছিলেন,তন্মধ্যে অন্যতম মাতৃভাষাব্রতী, সিংহপুরুষ মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তাঁর অবদান কস্মিনকালেও ভুলা সম্ভব নয়।

 ১৯৬০ সালের ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন চলিহা সরকারের মন্ত্রীসভা আসাম সরকারী ভাষাবিল পেশ করেছিল ,যা একমাত্র সংখ্যার  জোরে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৬০ সালে আইন হিসাবে পাশ করে নেয় । এই আইন অসমীয়া ভাষাকে আসামের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে ‌। যেটা আসামের বাঙালীদের ভাবাবেগে চরম আঘাত দেয় । এই আইন‌ প্রতিরোধ করতে প্রতিবাদে বরাক উপত্যকার কংগ্রেস দল একজোট হয়ে উঠে । সঙ্গে অন্যান্য সামাজিক সংগঠনও। কালক্রমে ১৫ জানুয়ারী ১৯৬১ সালে অনুষ্ঠিত জনসম্মেলনের মাধ্যমে "কাছাড় সংগ্রাম পরিষদ '' গঠিত‌ হয় । এই পরিষদের সভাপতি ছিলেন তরুণ এডভোকেট আব্দুর রাহমান চৌধুরী । সংগ্রাম কমিটি বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলে । অপরদিকে সরকারের পরোক্ষ মদতপুষ্ট কতিপয় স্বার্থান্বেষী, মানুষদের আন্দোলন থেকে দূরে ঠেলতে থাকে । চালাতে থাকে বরাকের অলিতে-গলিতে অপপ্রচার । দেখাতে থাকে অহেতুক ভয়ভীতি । গ্রামাঞ্চলের সরলমনা মানুষ এই দুষ্টচক্রের অপপ্রচারে প্রভাবিত হয় এবং অসমীয়া ভাষার পক্ষে সওয়াল করে । আন্দোলন স্তব্ধ হওয়ার উপক্রম ।

 এহেন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন জননেতা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তিনি বরাকের মানুষদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে বরাকের নানা প্রান্তে সভা-সমিতি করেন । তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে দিশেহারা মানুষের ভ্রান্ত ধারণা বিদূরিত হয় । তিনি গণিরগ্রাম জে, আর হাইয়ার সেকেণ্ডারী স্কুলে এক প্রতিবাদী সভায় মাতৃভাষা প্রসঙ্গে বলেন, আমি মাত্র আপনাদের কাছে একটা কথা জানতে চাই "আপনারা কাহারা নিজের মাকে ভুলিতে পারিবেন ? " তখন সকলে এক বাক্যে বলিলেন তা কখনো হতে পারে না । তিনি লোকজনের আওয়াজ শুনে বলিলেন, ''তাহা  হইলে আমি আব্দুল জলীল সরকারের একজন হওয়া সত্বেও বলিতেছি যে আমরা বাংলাবাসী লোক ,আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা ,আমি এক মুহূর্তের জন্য আমার মায়ের মুখ বন্ধ করিতে চাই না।" তখন উপস্থিত সবাই বলে উঠলেন "চাই না, চাই না ''। সেদিন থেকে‌ পশ্চিম কাছাড় অঞ্চলে জোরদমে আন্দোলন শুরু হয় । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় , সভা-সমিতি করতে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হন । আক্রান্ত হন অনেকবার । গাড়িতে ইট পাটকেল বর্ষণ হয় একাধিকবার । প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় । শালচাপড়ার এক সভা থেকে আসার পথে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন  । তারপরও বিচলিত হননি ।এক ইঞ্চিও পিছু হটেননি এ বীর যোদ্ধা । বরং পুরোদমে চালাতে থাকেন সভা-সমিতি, আন্দোলন । 

তাঁরই শক্তিশালী নেতৃত্বে উজ্জীবিত হয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ মে প্রাণ দিতে ও কুন্ঠাবোধ করেননি ১১ জন ভাষা সেনানী। কিন্তু এ বীর শহিদদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর প্রতিক্রিয়া ইতিহাসের পাতায় কালো‌ অক্ষরে লেখার মতো । শোক প্রকাশ তো দূরের কথা উল্টো বলে বসেন , " যারা রেল ষ্টেশনে অগ্নিসংযোগ করায় তাদের পুলিশ গুলি করবে না তো ফুল ছিটাবে কি !" তাঁর এ মন্তব্যে তোলপাড় হয় গোটা উপত্যকা ।  তখন এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী রাজনীতিবিদ,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার অপপ্রচেষ্টা চালায় ‌। মওলানা জলীল সাহেবের তৎপরতায় কিন্তু তা সম্ভবপর হয়নি । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা বরাকের ইতিহাসে জাজ্বল্যমান থাকবে । থাকবে চিরস্মরণীয় ।  তিনি বলেছিলেন , "ভাই সকল,আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে যারা চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের  আন্দোলন, আমাদের এই আন্দোলন অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন । " তিনি উদ্বাত্ত কন্ঠে বলেছিলেন , "ভাষিক সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কোন শক্তির নাই । '' তাঁর অগ্নিগর্ভ ভাষণে বরাক উপত্যকায় সৃষ্টি হয়েছিল এক সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আন্দোলন । তাঁর এ মন্ত্রে দীক্ষিত হন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙালী ।  রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী  কায়দায় Divide & Rule নীতি অনুসরণ করে বরাক উপত্যকার মানুষকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজন করতে । 
   
 আন্দোলনের গতিবিধি অপ্রতিরোধ্য অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী নেহরু তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্ত্রীকে আসামে পাঠান । অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে শাস্ত্রীজি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মত বিনিময়ের উদ্দেশ্যে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে দিল্লির আমন্ত্রণ জানান । প্রতিনিধিদলে ছিলেন আসামের প্রাক্তন মন্ত্রী মরহুম আলতাফ হুসেন মজুমদার‌, মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী ও করিমগঞ্জের রথীন্দ্রনাথ সেন । প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাজির হন । তখন প্রধানমন্ত্রী চটে লাল হয়ে বলেন, আপনারাই বোধহয় কাছাড়ের ১১ জন বাঙালির খুনি ? একথা শোনা মাত্র সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রমী চরিত্র মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তিনি  বলেন," ১১ জন কেন ? আমাদের সংগ্রামের নৈতিকতা বিচার করে আমাদের বাংলা ভাষার অধিকার না দিলে আসামের সমগ্র বাঙালি মানুষ প্রাণ দিতে বিচলিত হব না ।''

 বিরোচিত জবাব শুনে প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। শাস্ত্রীর সাথে আলোচনার পর দশ বছরের জন্য অসমীয়া ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পুলিশের গুলিচালনার তদন্তের জন্য মেহেরাত্রা কমিশন গঠিত হয় । মেহেরাত্রা কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষায় আজও জাতি অপেক্ষমান । 
  
 দশ বছর পূর্তিতে ১৯৭২ সালে সেবা আসামের সমগ্র মাধ্যমিক স্কুলসমূহে অসমীয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ জারি করে। আবার জ্বলে উঠে বরাক । গর্জে উঠেন আন্দোলনকারী । গঠন করেন সংগ্রাম পরিষদ । বরাক উপত্যকার সকল নেতৃবৃন্দ এই আন্দোলনে নেতৃত্বের জন্য মওলানা চৌধুরীকে অনুরোধ করেন । তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে শাসক দলের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন । সংগ্রাম পরিষদের কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক মেহরাব আলি লস্কর এবং সম্পাদক হন তারাপদ ভট্টাচার্য । 

    মওলানা সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পরিচালিত এ আন্দোলনে প্রায় দু-মাস সরকারি কাজকর্ম অচল হয়ে পড়ে । ইতিমধ্যে আসাম বাজেট অধিবেশন আরম্ভ হয় । সংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাক উপত্যকার মন্ত্রী সহ কোন বিধায়ক অধিবেশনে উপস্থিত না হয়ে অধিবেশন বয়কট করার অনুরোধ জানানো হয় । কিন্তু গদির লালসা মওলানা চৌধুরী ও সরবরাহ মন্ত্রী মহীতোষ পুরকায়স্ত ব্যতিত কাউকে আটকাতে পারেনি । এমনকি পুরকায়স্তবাবু মন্ত্রিপদ খুইয়ে বসেন । 


 অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে‌ সি পন্থের আহ্বানে, মওলানা সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সংগ্রামী নেতৃ্বৃন্দ শিলঙে একটি গোল টেবিল বৈঠক করেন । সেই গোল টেবিল বৈঠকেই ঐতিহাসিক ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা "সিংহ -পন্থ -জলীল" চুক্তি নামে পরিচত । মওলানা আব্দুল জলীল আন্দোলন পরিষদের সভাপতি হিসাবে, শরৎচন্দ্র সিংহ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সি পন্থ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন । এছাড়াও আরও দশজন সাংসদ ও বিধায়ক এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন  ।এই চুক্তির শর্তানুসারে মাধ্যমিক অবধি অসমীয়ার সঙ্গে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় । এই চুক্তির সুবাদে আজও বরাক উপত্যকায়‌ ছাত্র-ছাত্রীরা‌‌ মাতৃভাষা বাংলার মাধ্যমে লেখাপড়ার সুযোগ ভোগ করছে ।

  প্রতিবছর ১৯ মে ভাষা শহিদ দিবস হিসাবে পালন করা হয় ।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ,যাঁর নেতৃত্বে এত বড় একটি গণ-আন্দোলন হয়েছিল ,যার ফলস্বরূপ আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ,তাঁর যথোপযুক্ত মূল্যায়ন হয় না সেই শহিদ দিবসে ।

Monday, June 15, 2020

উনিই হচ্ছেন মাওলানা তারিক জামিল



পাকিস্তানের মুলতানের এক বাজারে একটি পতিতালয় ছিল, মাওলানা তারিক জামিল ভাবতে লাগলেন এখানকার মহিলা গুলো তো আমার আপনজন ।

তারা যদি কাল হাশরের ময়দানে আমার নামে আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে নালিশ করে, তখন আমি রাসূল (সাঃ) কে কি জবাব দিবো⁉

বলবে তারিক জামিল সারা দুনিয়ায় তাবলীগ করেছে, কিন্তু আমাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি‼

তারিক জামিল সাহেব মাগরিবের পর তিন সাথী নিয়ে ওইখানে গেলেন, গিয়ে (পর্দার আড়াল থেকে) প্রথম কথা বললেন" হে মেরি বেটি ও বেহেনো, মে আপকো ইজ্জত কা চাদর পেহনানে আয়া ।
অর্থাৎ হে আমার মেয়ে ও বোন, আমি এখানে এসেছি তোমাদের ইজ্জতের চাদর পরাতে ।

তারা তো অবাক, এখানে সবাই আসে আমাদের ইজ্জতের চাদর খুলতে, ইনি কে...⁉ যে আমাদের ইজ্জত দিতে এসেছে‼

তারিক জামিল সাহেব দেড় ঘণ্টা বয়ান করলেন, বয়ানের মধ্যেই তাদের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। বয়ান শেষে তারা এই কাজ ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করলো ।

তারিক জামিল সাহেব নিজেই তাদের কয়েকজনের খাবারের ব্যবস্থা করলেন, কয়েকজনের শাদীর ব্যবস্থা করলেন।

ঘৃণা নয় একমাত্র নবীওয়ালা দরদ দিয়েই উম্মত কে উদ্ধার করতে হয় ।

আল্লাহ সবাইকে কে সঠিক বুঝ দান করুন।   (আমীন)

Tuesday, June 9, 2020

বরাক টাইমস

*বরাক টাইমস* পরিবারের সকল সদস্যদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ।
প্রিয় সদস্যবৃন্দ আমাদের বরাক টাইমস পরিবারের রদবদল হওয়া নতুন নিয়ামাবলী :-
1. News Video editing (বদরুল হক আলিম উদ্দিন ও পিংকি চক্রবর্তী )
2. post design (আবু তৈয়ব ইকরামা, ইকবাল হুসাইন ও মুহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিস )
3. Website Publishing (আবু ছুয়েল ও আবু তৈয়ব ইকরামা)
4. আমাদের সাপ্তাহিক ই ম্যাগাজিন *The Barak Times* publishing (আহমেদ সাদিক চৌধুরী, আবু তৈয়ব ইকরামা, আবু ছুয়েল)
5.  celebrity তথা politicians দের  facebook বা YouTube থেকে video upload (দিলুয়ার হুসেন ও আহমেদ জাকির চৌধুরী) তবে সবাই লিংক খুবই তাড়াতাড়ি আমাদের official Group শেয়ার করতে সাহায্য করবেন তাতে তাদের পাবলিশ করতে সুবিধা হবে। 
6 Documentary about barak Valley... (আবু ছুয়েল, আব্দুস ছালাম  বদরুল হক আলিম উদ্দিন ও রিয়াদ আহমদ)
7. আগামী কাল থেকে আমাদের চেনেল থেকে প্রতিদিন *super10* শুরু করা হবে। (তাই সবাই প্রতিদিন 2 টি করে news দিতেই হবে যদি বিশেষ কারো অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের Official Group এ জানাতেই হবে কারন সবার 2 টি নিউজ দিয়ে super 10 তৈরী করা হবে। অন্যতায় সেই সদস্যকে group থেকে রিমুভ করা হবে।)
8. প্রতি 15 দিন পর পর *বিশেষ সাক্ষাৎকার* অনুষ্ঠান করতে হবে বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট জনের সাথে (এই অনুষ্ঠানের জন্য সকলের মতামত জানাবেন)
9. আমাদের *স্থায়ী অফিস* বা একটি *স্টুডিও* করার প্রয়োজন এই কাজ কিভাবে তাড়াতাড়ি সম্ভব সকলের মতামত জানতে চাই।

(ধন্যবাদ সবাইকে তাড়াতাড়ি রিপ্লাই দেবেন।)

Monday, June 1, 2020

কে এই তাক্বী ওসমানী ।


উপমহাদেশ-সহ পুরো পৃথিবী যার ফতোয়ার উপর বিশ্বাস রাখতে পারে।যাকে বলা হয় একবিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ। 
নতুন পৃথিবীর নতুন নতুন সৃষ্ট সমস্যায় উনার ফতোয়ার বিকল্প নেই।যখন তিনি ছাত্র তখনই তিনি তাফসীর লিখতে সক্ষম হয়েছিলেন। فتح الملهم এই শরাহটি মূলত মুফতী শাব্বীর আহমদ উসমানী (রহঃ)এর অসম্পূর্ণ একটি শরাহ। শাব্বীর আহমেদ উসমানী রহঃ ইন্তেকালের পর উপমহাদেশে এমন কোন আলিমের সাহস হয়নাই,শাব্বীর আহমদ উসমানী রহঃ এর অবশিষ্ট ব্যাখা পূরণ করতে। কেননা শাব্বীর আহমদ উসমানী এমন ব্যক্তি ছিলেন।
বাদশা আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রহমান বিন সউদ। তিনি খুব খোদাভীরু শাসক ছিলেন। ১৯০২ সালে রিয়াদ ফতেহ করেন এবং রিয়াদকে মডেল শাসনে রূপান্তরিত করেন। ১৯২৪ সালে তিনি মক্কা বিজয় করেন। ১৯২৫ সালে মদীনা বিজয় করেন। ১৯৩৬ সালে সমগ্র আরব বিজয় করে নাম
 রাখেন "আল মামলাকাতুল আরাবিয়্যাতুস সাউদিয়্যা" আহলে নজদের উলামায়ে কেরামগন ছিলেন   কঠোর। ছিলেন হিংসাত্মক মনোভাবের। তারা বাদশাহর কাছে পেশ করেন 'যত ধরনের নিদর্শন রয়েছে সব নি:শেষ করে ফেলেন '। মদীনার মধ্যে নিদর্শন ছিল উম্মাহাতুল মূমিনীনদের কবরসমূহ। একদিকে হুজুর সা: এর কবর অপরদিকে প্রায় সাহাবাদের কবর জান্নাতুল বাক্বী। কিন্তু উলামায়ে নজদ নির্দেশ করেন সব গুড়িয়ে নি:শেষ করে ফেলা হোক। এমনকি সবুজ গম্বুজ ভেংগে ফেলার আদেশ দেন। কারণ, কবর পাকা করা তার উপর গম্বুজ করা সম্পূর্ণ হারাম! বাদশা আব্দুল আযীয ছিলেন এক খোদাভীরু শাসক তিনি বিশ্বের উলামায়ে কেরামকে মদীনায় আহ্বান করেন। সাথে উলামায়ে হিন্দের ও। মাশওয়ারা চলে উলামাদের মাঝে। আহলে নজদের বিপক্ষে মুনাযারায় কে হবেন সমগ্র বিশ্বের উলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি? সর্বসম্মতি আসল যে,শাব্বীর আহমদ উসমানীই। তিনি লড়বেন উলামায়ে নজদের বিপক্ষে। সুখের কথা, তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের ছাত্র ছিলেন। বাহাসের সভাপতি হলেন বাদশা আব্দুল আযীয। বাহাস চলল, উলামায়ে নজদ জাহির সকল হাদীস পেশ করেন আর ভাবেন শাব্বীর আহমদ উসমানী আর কি বা দলীল পেশ করবেন।
হযরত উসমানী রহ: বুখারী শরীফের বিনায়ে কাবার একটি হাদীসকে পুঁজি করে দীর্ঘ দু'ঘন্টা আলোচনা করেন যা হযরত আয়েশাকে খেতাব করে বলেছিলেন। যখন উসমানী রহ: আলোচনা করেন তখন উলামায়ে নজদের মাথা নিচের দিকে। জন্য দোয়া  আলোচনার পর যখন বাদশা আব্দুল আযীয উলামায়ে নজদের সম্বোধন করে বলেন -এই হিন্দীর বিপক্ষে কি তোমাদের কোন জবাব আছে? প্রত্যুত্তরে উলামায়ে নজদ ছিলেন নীরব নিশ্চুপ। উসমানী রহ: এর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করেই সেদিন সবুজ গম্বুজ রাখা হয়। আজকে যে সবুজ গম্বুজ পৃথিবী দেখছে তা উলামায়ে দেওবন্দের ই অবদান।
(সুত্রঃ"মাহনামায়ে আনওয়ারে মদীনা)
কিন্তু অবশেষে তাকী উসমানীই সাহস করেন فتح الملهم এর শরাহ পূর্ণাঙ্গ করার।পূর্ণ করে নাম দেন تكملة فتح الملهم বর্তমানে এটি ছয় খন্ডে।পৃথিবীর ইতিহাসে মুসলিম শরীফের এর চেয়ে উন্নত ব্যাখাগ্রন্থ নেই।
#জীবনের তরে তিনি সফলতা অর্জন করছেন পুরো গ্লোবাল পৃথিবীতে।
১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরিয়া বেঞ্চের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিষ্টা করেছেন“মিজান ব্যাংক” তিনিই মুসলিম বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিশ্ব ব্যাংকের কাছে লিখিত গবেষণা দাখিল করেন।বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।বিশ্বে যদি ইসলামী অর্থনীতি এপ্লাই হয়,তাহলে পুরো পৃথিবীর সুদ ছাড়া চলা সম্ভব।এবং সেই নীতি আবেদন করেছেন।অনেক বিশ্লেষক বলছেন অমুসলিম কোন ব্যক্তি এই গবেষণা বিশ্ব ব্যাংকে দাখিল করলে তাকে এই সফলতায় নোবেল প্রদান করা হতো।কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক গবেষণা পত্র এপ্লাই করেনি।
তাকী উসমানী আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমি ( ওআইসির  একটি শাখা সংস্থা) এর একজন স্থায়ী সদস্য। 
৯ বছর ছিলেন আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যন।
দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামী অর্থনীতি সংস্থার বার্ষিক অনূষ্ঠানে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রি ইসলামী অর্থনীতিতে তাকে সম্মাননা প্রদান করেন ২০০৪ সালে।
★আরবী যেসব গ্রন্থ রচনা করেছেন★
১।تكملة فتح الملهم بشرح صحيح مسلم (ستّ مجلّدات)
২। بحوث في قضايا فقهية معاصرة (مجلّدان)
৩। أصول الإفتاء وآدابه
৪। أحكام الذبائح
৫। ما هي النصرانية
৬।نظرة عابرة حول التعليم الدينيّ فى باكستان
৭। فقه البيوع على المذاهب الأربعة (مجلدان)
৮।مقالات العثماني (مجلدان)
★ইংরেজিতে যেসকল বই রচনা করেন★
1. The Meanings of the Noble Quran
2. An Introduction To Islamic Finance
3. Contemporary Fatawa
4. Discourses on The Islamic Way of Life
5. Do Not Despise The Sinners
6. Islam & Modernism
7. Islamic Months
8. Legal Rulings on Slaughtered Animals
9. Perform Salah Correctly
10. Qadianism on Trial
11. Quranic Sciences
12. Radiant Prayers
13. Sayings of Muhammad صلی اللہ عليه وسلّم
14. Spiritual Discourses
15. The Authority of Sunnah
16. The Historic Judgment on Interest
17. The Language of the Friday Khutbah
18. The Legal Status of Following a Madhab
19. The Rules of Etikaf
20. What Is Christianity?
21. Present Financial Crisis: Causes and Remedies from Islamic Perspective
★উর্দূ রচনাবলি★
১। آسان ترجمئہ قرآن
২। علوم القرآن
৩। درس ترمذی کامل ( ۳ مجلدات)
৪।تقریر ترمذی کامل (مجلدان)
৫। انعام الباری کامل ( ٧ مجلّدات)
৬। حجیت حدیث
৭। بائبل سے قرآن تک کامل (۳ مجلدات)
৮। بائبل کیا ھے ؟
৯। اپنے گھروں کو بچائیے
১০। احکام اعتکاف
১১। اسلام اور سیاست حاضرہ
১২।اسلام اور سیاسی نظریات
১৩।اسلام اورجدت پسندی
১৪। اسلام وجدید معیشت وتجارت
১৫। اصلاح معاشرہ
১৬।اصلاحی خطبات کامل(۱٨ مجلدات)
১৭। اصلاحی مجالس کامل (٧ مجلدات)
১৮। اصلاحی مواعظ کامل(۳ مجلدات)
১৯। اکابر دیوبند کیا تھے ؟
২০। البانیہ میں چند روز
২১। البلاغ عارفی نمبرؒ
২২। اندلس میں چند روز(سفر نامہ)
২৩। آسان نیکیاں
২৪। پرنور دعائیں
২৫। تبصرے
২৬। تذکرے
২৭। تراشے
২৮। تقلید کی شرعی حیثیت
২৯।جہان دیدہ(سفرنامہ)
৩০। حدود آرڈیننس ایک علمی جائزہ
৩১।حضرت معاویہؓ اور تاریخی حقائق
৩২। حضورﷺ نے فرمایا(انتخاب حدیث)
৩৩। حکیم الامت کے سیاسی افکار
৩৪। دنیا مرے آگے(سفر نامہ)
৩৫। دینی مدارس کا نصاب ونظام
৩৬। ذکرو فکر
৩৭। سود پرتاریخی فیصلہ
৩৮। ضبط ولادت
৩৯। عدالتی فیصلے کامل (مجلدان)
৪০। عیسائیت کیا ھے ؟
৪১।غیر سودی بینکاری فقھی مسائل کی تحقیق اور اشکالات کا جائزہ
৪২। فتاوی عثمانی (۳ مجلدات)
৪৩। فرد کی اصلاح
৪৪।فقھی مقالات کامل(٥ مجلدات)
৪৫। قادیانی فتنہ اورملت اسلامیہ کا موقف
৪৬। قتل اور خانہ جنگی کے بارے میں آنحضرت ﷺ کے ارشادات
৪৭। مآثر حضرت عارفی ؒ
৪৮। مقدمہ معارف القرآن
৪৯। ملکیت زمین اور اس کی تحدید
৫০। موجودہ پرآشوب دور میں علماء کی ذمہ داریاں
৫১।موجودہ حالات اور ھماری ذمہ داری
৫২। میرے والد -میرے شیخ
৫৩।نشری تقریریں
৫৪। نفاذ شریعت اور اس کے مسائل
৫৫।نقوشِ رفتگاں
৫৬। نمازیں سنت کے مطابق پڑھئے
৫৭।ہمارا معاشی نظام
৫৮।ہماراتعلیمی نظام
৫৯।ہمارے عائلی مسائل
★বাংলায় অনুবাদ হয়েছে যেসব বই★
১।তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন
১। অমুসলিম দেশে মুসলিম পর্যটক
২। আপন ঘর বাঁচান
৩। ইতিহাসে কাঠগড়ায় হযরত মুয়াবিয়া রা.
৪। ইসলাম ও আধুনিক অর্থনীতি ও ব্যবসানীতি
৫। ইসলাম ও আধুনিক রাজনীতি 
৬। ইসলাম ও আধুনিকতা
৭। ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি সমস্যা ও সমাধান
৮। ইসলাহি খুতুবাত
৯। উহুদ থেকে কাসিয়ুন
১০। গোনাহ ও তাওবা অভিশাপ ও রহমত
১১। জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ
১২। দুনিয়া জোড়া বিস্ময়কর সফর
১৩। দুনিয়ার ওপারে
১৪। পৃথিবীর দেশে দেশে
১৫। মাযহাব কি এবং কেন
১৬। মুমিন ও মুনাফিক
১৭। মিথ্যা ওয়াদা ভঙ্গ ও খেয়ানতের বিভিন্ন রূপ
১৮। রাতের সূর্য
১৯। স্পেনের কান্না
২০। সুদ নিষিদ্ধ পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়
২১। সুদবিহীন ব্যাংকিং
২২। সুন্নাহ্‌র আইনগত মর্যাদা
সুত্রঃ তাকী উসমানীর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে।
দায়িত্বশীল অবস্থানঃ 
★দারুল উলূম করাচির শায়খুল হাদিস ও নায়েবে মুহতামিম★
★চেয়্যারম্যন, আন্তর্জাতিক স্ট্যার্ন্ডাড শরীয়াহ কাউন্সিল, ইসলামিক অর্থনৈতিক একাউন্টিং ও পরিদর্শন সংস্থা, বাহরাইন★
★স্থায়ী সদস্য, আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমি , জেদ্দা ( ও আই সির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান)★
★চেয়্যারম্যন, সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনোমিকস, পাকিস্তান (১৯৯১থেকে)
সুত্রঃ উইকিপিডিয়া 
প্রথমে দেখে নেই এই স্কলারর্স পৃথিবীর কোথায় কোথায় ঘুরেছেন ইসলামের জন্য।নিশ্চয় তাদের ঘুরাঘুরি হানিমুনের জন্য না।কখনো ব্যবসায়ী চিন্তায় পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ঘুরেননি।ঘুরেছেন ইসলাম প্রতিষ্টার জন্য। উপমহাদেশের উলামায়ে কেরামের কাছে পুরো বিশ্বের প্রতিদান রয়েছে।ইসলাম উপমহাদেশ থেকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে।কীটনাশক বা প্রাণঘাতী হয়ে নয়।
১।স্পেন!
১৪১০ হিজরীর ১৯ শে রবিউস সানী স্পেন সফর করেন।স্পেনে ইসলামী ফিকাহ একাডেমীর আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।স্পেনের হায়াত রেজিন্সি হোটেলে।সেখানে তিনি ছিলেন প্রধান আলোচক।এই সফরে তাকী উসমানী সাহেবের সফর নিয়ন্ত্রণ ও সাহায্যকারী ছিলেন বাহরাইনের ইসলামী ব্যাংকের এ্যাসিষ্টন্ট ডাইরেক্টর সাঈদ আহমদ
২।মরক্কো সফর করেনঃ 
মরক্কোকে সাহাবী ওকবা বিন নাফে রাযিঃ বিজয় করেছিলেন।
৩।লোজা শহর। 
৪।ব্রুনাই করেন সাল ১৪১৪ হিজরীতে।
৫।তুরস্ক 
৬।রি-ইউনিয়ন
৭।দক্ষিণ আফ্রীকা ১৫ বার সফর করেন
৮।কাতার 
৯।হল্যান্ড 
১০।কানাডা
১১।আমেরিকা
১২।ওয়েষ্ট ইন্ডিজ
১৩।কেনিয়া 
১৪।জাপান 
১৫।টোকিও
১৬।ক্যালিফোর্নিয়া 
১৭।টরেন্টো 
১৮।ইস্তাম্বুল 
১৯।ফিজি
২০।লাম্বাসা শহর
২১। সুভায় 
২২।নাদি শহরে
২৩।ইরান 
২৪।ইস্পেহান
২৫।কুম শহরে
২৬।নিউজিল্যান্ডে 
২৭।সিরিয়া (অনেকবার) 
২৮।কিরগিজিস্তান
২৯।আলবেনীয়া
৩০।রাশিয়া
৩১।দাগিস্তান
৩২।দারাবান্দ
৩৩।মস্কো
৩৪।তুয়ামা
৩৫।হিরোশিমায়
৩৬।ইয়োকাহামা শহরে
৩৭।ল্যাটিন আমেরিকা
৩৮।ব্রাজিল
৩৯।শাওপালু শহরে
৪০।রিও ডি জানেরীও শহরে
৪১।পানামা
৪২।ত্রিনিদাদ শহরে
৪৩।তাজিকিস্তান 
৪৪।জর্ডান 
৪৫।ইরাক
৪৬।মিশর
৪৭।আলজিরিয়া
৪৮।তুরস্ক 
৪৯।সিঙ্গাপুর
৫০।ইন্দোনেশিয়া 
৫২।সৌদি-আরব 
৫৩।দুবাই 
৫৪।হিন্দুস্থান 
৫৫।চীন
৫৬।বাংলাদেশ 
৫৭।আমিরাত 
৫৮।তাসখন্দ
প্রায় ১০০ এর উপরে দেশ ভ্রমণ করেছেন।ইসলামের জন্য কখনো গিয়েছেন পানামা জঙ্গলে!আবার কখনো স্পেনের কর্ডোভার জামে মসজিদে।কখনো ফিজির সেই সব পাহাড়ে যেখানের মানুষ গুলো অদ্ভুত যারা আগুনের উপর হেটে যেতে পারে।সেখানেও গিয়েছেন ইসলামের জন্য।কখনো গিয়েছেন সুর্যাস্থের দেশ ফিজিতে যেখানে একদম হাতের কাছে থেকে সূর্য অনুভব করা যায়!কখনো গিয়েছেন সূর্য উদয়ের দেশে।কখনো ঘুরছেন আরবের আলিসান অট্রালিকায় বিলাসী জাতীকে ইসলামের দীক্ষা বুঝাতে। কখনো ঘুরেছেন আফ্রীকার অদ্ভুত জঙ্গল গুলোতে।
এখনো ঘুরছেন এই ফেরিওয়ালা।পৃথিবী ঘুরে ঘুরে কখনো গ্রন্থ রচনা করেছেন "হারানো ঐতিহ্যের দেশে"। কখনো লিখছেন উহুদ থেকে কাসিয়ুন।কখনো ব্যতীত হৃদয়ের অবিজ্ঞতায় লিখেছেন "ফোরাত নদীর তীরে" কখনো লিখেছেন জাপানী মুসলমানদের প্রয়োজনসমুহ।কখনো লিখেছেন আফ্রীকার কংকালসার মানুষের জন্য যাকাতের অর্থ প্রয়োজন। কখনো জাপানের নওমুসলিমদের জন্য ১ কোটি ডলার ব্যয়ে ইসলামিক সেন্টার করার জন্য পৃথিবীর ধনাঢ্য দেয়ালগুলোতে আঘাত করেছেন। কখনো  জর্ডানের স্থানীয় সংস্থা গুলোর একাউন্ট নিয়ে ঘুরছেন মসজিদ করার জন্য। কখনো যান্ত্রীক দেয়ালে উপবিষ্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উচ্চকণ্ঠে ইসলামের কথা বলেছেন।কখনো হার্ভাডে ইসলামের গবেষণা তুলে ধরেছেন।ব্যথাতুর হৃদয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পুরনো ইতিহাসের কথা বলেছেন।তাদের পুনরায় জাগ্রত হতে বলছেন।
একজন তাকী উসমানী!তিনিই সফল।
যিনি আজম আরব ইউরোপ সহ সাত মহাদেশ ঘুরছেন। যার গ্রহনযোগ্যতা পুরো পৃথিবীতে।যার অর্থনীতি শিক্ষায় পুরো ইউরোপীয় শিক্ষা থমকে গেছে।যার একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্বের দরবারে ইসলামি অর্থনীতি বিজয় লাভ করে দাপট সৃষ্টি করছে।উনাকে কেহ যদি অযাচিত মন্তব্য করে তাহলে বুঝতে হবে উনার দুটি সমস্যা সূর্যকে যেমন চামচীকার সহ্য করতে কষ্ট হয়।অথবা উনি এই ব্যক্তির জীবন ইতিহাস নিয়ে অজ্ঞ।এইজন্য ইতিহাসবীদরা একাডেমিক পড়াকে জ্ঞান বলেননি।
একজন তাকী উসমানীর দীর্ঘ হায়াত কামনা করে।এবং যেসকল ব্যক্তিরা ইতিহাস পড়তে অনিচ্ছুক তাদেরকে এই কথা বলে পৃথিবীতে জ্ঞানের শেষ নেই।সবসময় কিছু জানিনা এই মনস্কে অধ্যয়ন করুণ।জানুন।পড়ুন।চোখ খুলুন।
না হয় জ্ঞানীরা মূর্খ বলে এড়িয়ে যাবে।
এই প্রত্যাশায়..............
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দিক।  আমীন

Tuesday, May 19, 2020

☆ বিভেদ নয়, ঐক্য চাই ☆


       বিশ্ব মানবতা আজ বিপন্ন! বিপন্ন 'মানব সভ্যতা' ও। সভ্যতার অগ্রগতির নামে সর্বত্র বিরাজমান 'অ-সভ্যতা'। চারিদিকে সেক্যুলারিজমের জয় জয় কার ।সেকুলারদের দৃষ্টিতে মানব সভ্যতার উন্নতির পথে ধর্ম যেন মহা অন্তরায়। ধর্মের বাঁধন হতে মুক্ত  হতে পারলেই  যেন পাওয়া যাবে বাঁচার পূর্ণ স্বাদ,
   অথচ ধর্মের আগমন মানবতাকে পূর্ণতা দান করার লক্ষ্যে ,--
    ধর্মই শেখায় সঠিক ভাবে বাঁচতে ও বাঁচাতে। সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার পাঠ ও আমরা ধর্মের কাছ থেকে পাই। কোন ও ধর্ম কখনও সন্ত্রাসের কথা বলে না। সমাজে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার শিক্ষা দেয় না;--
     আজ আমাদের বৃহত্তর সমাজে সহিষ্ণুতার পাঠ নেই। নেই কোন সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা।
  নিজ সমাজ বা জাতি ভিন্ন দেশের মানুষ আমাদের চারপাশে বাস করছে, তাদেরকে জানা-বোঝার  আগ্রহ ও আমাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়না। গড়ে ওঠে না কোনো যোগসূত্র,ধীরে ধীরে এই শূন্যতাটা বাড়তেই থাকে। যে কোনো  ইস্যু নিয়ে তৈরি হয় ভুল বোঝাবুঝি তাতে আবার ঘৃতাহুতি দিয়ে যায় এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারা, মুহূর্তে সৃষ্টি হয়ে যায় দাঙ্গা কালীন পরিস্থিতি,, কোনও কোন ক্ষেত্রে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।আর বলি হয় নিরীহ মানুষ আর তাদের লাশের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকে, আরো উপরে উঠতে থাকে কথিত নেতারা,,"""এই হচ্ছে আমাদের আজকের ডিজিটাল ভারত"""
   দেশ ও দেশের এহেন পরিস্থিতিতে মুসলিম জাতি যেন ভাবলেশহীন। নববী আদর্শ 
ভুলে আজ তারা ইউরোপিয়ান আদর্শে আদর্শীত,,
  তাই আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দ্বারা একটি কথা বলা সমাজের কাছে জরুরী মনে করি, যে মুসলিম সমাজের সর্বপ্রথম করনি হলো,সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক মতানৈক্য,বিবাদ ইত্যাদি ভুলে এক ছাতার তলায় এসে দেশের অন্যান্য সম্প্রদায়ের শান্তিকামী মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে  যাবতীয় অশুভ  ও অপশক্তির মোকাবেলা করা।আর এক ছাতার তলায় আসতে হলেই যে নিজেদের সমস্ত আদর্শ ও বিশ্বাসের জলাঞ্জলি দিতে হবে বা অন্যের আদর্শে প্রবাহিত হতে হবে ,এমনটা মনে করার কোন হেতু নেই,,সবাই স্ব স্ব আদর্শের উপর অটল থেকেও এমনটা সম্ভব ।।

Thursday, May 7, 2020

আগামী ১১ই মে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবে শেরুলবাগ-লাফাশাইল আঞ্চলিক নদওয়া ।

#আগামী_১১ই_মে_মুতাবিক্ব_১৭ই_রমযান_রোজ- সোমবার দুপুর ১ঘটিকায় উত্তর পূর্ব ভারত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদ্ওয়াতুত্ তামীরের অন্তর্গত  শেরুলবাগ-লাফাশাইল আঞ্চলিকের স্থানীয় লক্ষ্মীবাজারে লকডাউন  উপলক্ষে ২০০জন গরিব দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে । এতে উপস্থিত থাকবেন উত্তর পূর্ব ভারত এমারতে শরয়ীয়াহ ও নদ্ওয়াতুত্ তামীরের মহাসচিব তথা প্রাক্তন বিধায়ক মাওলানা আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া সাহেব । সংশ্লিষ্ট এলাকার বিত্তবানরা ওই কর্মে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আঞ্চলিক সম্পাদক আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান সাহেব ।

Thursday, April 16, 2020

নাফিসার প্রার্থনা কি মঞ্জুর হয়ে গেল********************************নাফিসা উমর। কাশ্মিরের এক মেয়ে। যার একটি দোয়া (প্রার্থনা)-র কথা উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক অরবিন্দ মিশ্র। কাশ্মিরে লকডাউন ছিল দীর্ঘ সাতমাস। এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা কথা উঠতে থাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন সাংসদকে এনে কাশ্মীর পরিদর্শন করানো হয়। এর আয়োজন ও ব্যবস্থা করে ভারত সরকার। সেই পরিদর্শকদলের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় দেশের কয়েকজন 'বাছাই করা' সাংবাদিককে, যাতে কাশ্মির নিয়ে রিপোর্টিং করা হলেও তা যেন সরকারের প্রতিকূলে না যায়। সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন ইকোনমিক টাইমসের অরবিন্দ মিশ্র। কয়েকদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওই কাশ্মির ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেটি ভাইরাল হয়। এখানে পেশ করলাম সেই ভাইরাল হওয়া পোস্টটির সম্পাদিত বঙ্গায়ন :শ্রীনগরের এক গলির মুখে একটি বাড়ির জানালায় দেখতে পাই এক পর্দানশীন মেয়েকে। মেয়েটি আওয়াজ দিতে আমি থেমে যাই। আমাকে দেখে বলেন, 'ভাইয়া ! আপনি বিলালের বন্ধু, দিল্লিতে থাকেন, তাই না?'আমি বললাম, হ্যাঁ।তখন মেয়েটি বললেন, 'বিলাল আপনার খুব তারিফ করে। বলে, আপনি খুব বুঝদার মানুষ। মানুষের দুঃখ বোঝেন। আমি নাফিসা উমর। বিলালের ফুফাতো বোন...'সময়ের স্বল্পতা বুঝে মেয়েটি তাড়াহুড়ো করে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তাঁর সেই কথাগুলো শুনে আমি কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি। আর সেই কথাগুলো আজ আপনাদের কাছে বলাটা জরুরি মনে করছি। নাফিসা বলেছিলেন :'যদি কোনো জায়গায় লাগাতার সাত মাস ধরে কারফিউ চলে,বাড়ি থেকে বের হওয়া দূরের কথা, বাইরে উঁকি দেওয়াও কঠিন হয়,এলাকাজুড়ে ৮–৯ লক্ষ সেনা মোতায়েন থাকে,ইন্টারনেট বন্ধ থাকে,মোবাইল বন্ধ থাকে,ল্যান্ডলাইন ফোনও বন্ধ থাকে,বাড়ি বাড়ি থেকে শিশু-যুবক-বৃদ্ধসহ হাজারো বেকসুরদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে,ছোট-বড় সমস্ত নেতাদের জেলবন্দি করা হয়ে থাকে,স্কুল-কলেজ-দপ্তর সব বন্ধ থাকে,তাহলে কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে মানুষ?তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে? অসুস্থদের অবস্থা কী হবে?এসব কথা ভাবার মতো কেউ নেই।যদি এলাকার জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ অবসাদে ভুগতে ভুগতে মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে পড়ে,বাচ্চারা আতঙ্কিত হয়ে থাকে,ভবিষ্যত থাকে অন্ধকারে,নির্যাতন-নিপীড়ন চরমে পৌঁছয়, আলোর কোনো রেখা দেখা না যায়,অবস্থা ভালো করার মতো কেউ যদি না থাকেএবং গোটা দুনিয়া চুপচাপ তামাশা দেখতে থাকে...'নাফিসা এরপর কাঁদতে কাঁদতে বলেন :'আমরা সব সহ্য করছি। যথেষ্ট সহ্য করছি। কিন্তু ওই সময় অন্তর কেঁদে ওঠে, মনটা বড়ো ছটফট করে, যখন শুনতে হয়, ওদিকের কিছু লোক বলে, ''ভালোই হয়েছে, ওদের সঙ্গে এরকমই হওয়া দরকার ছিল''! তবুও আমরা ওদের জন্য, কিংবা অন্য কারোর জন্যেও, কখনো বদদোয়া করিনি, অভিশাপ দিইনি। কারোর খারাপ চাইনি। শুধু একটাই দোয়া/প্রার্থনা করেছি, যাতে সমস্ত মানুষ এবং গোটা দুনিয়া আমাদের অবস্থা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারে।অরবিন্দ ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার প্রার্থনা খুব শীঘ্রই মঞ্জুর হবে।'এবার আমি জানতে চাইলাম, 'আপনি কী প্রার্থনা করেছেন, বোন?'তখন নাফিসা ডুকরে ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে যা বলেছিলেন—আমার কানে অনেক দিন বেজেছে—এখন চোখের সামনে দেখতেও পাচ্ছি—তাঁর ব্যথা অনুভব করার চেষ্টা করবেন, হুবহু তাঁর কথাগুলোই তুলে ধরছি :'ইয়া আল্লাহ ! যাকিছু আমাদের ওপর হচ্ছে তা যেন অন্য কারোর উপর না হয়, শুধু তুমি এমন একটা কিছু করে দাও যাতে গোটা পৃথিবী কিছুদিনের জন্য নিজেদের ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে বাধ্য হয়, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায়। তাহলে হয়তো দুনিয়া এটা অনুভব করতে পারবে যে, আমরা বেঁচে আছি কেমন করে !'আজ আমরা সবাই যে যার ঘরে বন্দি। আমার কানে নাফিসার সেই কথাগুলো যেন বাজছে— 'ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার দোয়া খুব শীঘ্রই কবুল হবে...!' সৌজন্যে- মোহাম্মদ হাদীউজ্জামান সাহেব।

Sunday, April 12, 2020

উত্তর করিমগঞ্জের সমষ্টির অধীনে সুতারকান্দি জারাপাতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারে বন্দি থাকা ভারতীয় ও অসহায় লোকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে গতকাল সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক শ্রীকমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ । সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করেন কাঁটাতারের ভিতর অসহায় মানুষদের এবং তাদের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন ।News Published in Dainik Samayik Prosango on dated 12-04-2020

সত্যি তুমি মহান। 🙏🙏🙏🙏🙏❤❤❤❤❤

#বিপদগ্রস্থদের_দান_ও_ছবি_তুলা_প্রসঙ্গ:লকডাউনের ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকা পড়েছেন। কর্মসংস্থানে কেউ কোথাও যেতে পারছেন না। ফলে খাদ্য সংকট ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে।যার জন্য বিভিন্ন সংস্থা, এনজিও, সংগঠন অথবা ব্যক্তিগতভাবে তাদের যথাসাধ্য বিপদগ্রস্থদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।যা প্রশংসাযোগ্য। ইদানিং কিছু ত্রাণ বন্টন ও ছবি তোলা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক দেখা গেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে দান সদকা গোপনে বা প্রকাশ্যে করার বিধান আছে। কিন্তু গোপনে দান সদকা করা উত্তম। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (দঃ) বলেছেন উত্তম সদকা হল ডান হাত দিয়ে দান করলে বাম হাত যাতে টের না পায় (অর্থাৎ অত্যন্ত গোপনীয়)। পক্ষান্তরে প্রকাশ্যে দান-সদকার কথা পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ২৭১ নং আয়াতে উল্লেখ আছে। তবে প্রকাশ্যে সদকার ক্ষেত্রে নিয়ত পরিশুদ্ধ হতে হবে(অর্থাৎ নিজেকে দাতা হিসাবে জাহির না করা)। প্রকাশ্যে দান করার (ছবিসহ) উদ্দেশ্যে যদি অন্যদেরকে উৎসাহিত করা হয় তবে ইহা ইসলামের সম্পূর্ণ বৈধ।কেননা অন্যান্য ধনীরা উৎসাহিত হয়ে দান করলে আখেরে বিপদগ্রস্তদের সাহায্য হবে। তাই, আসুন সবাই মিলে বিপদগ্রস্তদের যতটুকু সম্ভব সাহায্য করি। যারা দিচ্ছেন তাদের আর‌ও উৎসাহিত করি।আর হ্যাঁ, ছবি দেওয়ার সময় যাতে ওদের মুখমন্ডল প্রকাশ্যে না আনি (মুখে কোন ষ্টিকার বসিয়ে দিলে হবে) । কারণ ওদের ও আত্মসম্মান আছে। জেনে রাখবেন, #ওরা_ভিখারী_নয়, #ওরা_অভাবী।ধন্যবাদ।।

আট হাজার ছাড়িয়ে গেল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত আরও ৩৪সবিস্তার: https://bit.ly/34ByuQs

Rare Ration Card of Renowned writer Syed Mujtaba Ali, East Bengal, 1969. Photo Collected

#মুফতি_মিজানুর_রহমান_সাঈদ_এর #জরুরী_আহ্বানসম্প্রতি ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বের বিজ্ঞ বিজ্ঞ মুফতিয়ানে কেরামের একটা যুগান্তকারী ফতোয়াকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা সমালোচনা চলছে।করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মসজিদসমূহে 'লকডাউন' বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায় যে সকল পুরুষ মসজিদে এসে জুমা আদায় করতে ভীষণভাবে অপারগ হয়ে পরেছেন, তারা নিজেদের বাসা-বাড়ীতে জুমা আদায় করবেন নাকি যোহর ? শাইখুল ইসলাম আল্লামা মুফতি তাকী উসমানিসহ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কিছু মুফতিয়ানে কেরামের ফতোয়া হচ্ছে, মুসলিমপ্রধান দেশসমূহে জুমা আদায় না করে যোহর আদায় করা। কাফের প্রধান দেশে জুমা আদায় করতে চাইলে আদায় করা। বাংলাদেশের মুফতিদের মধ্যে আল্লামা মুফতি আব্দুল মালেক হা., মুফতি দেলাওয়ার হুসাইন হা. অন্যতম। এবং আমি অধমও তাঁদের দেয়া ফতোয়ার সাথে একাত্বতা পোষণ করেছি। এ সম্পর্কে আমার বক্তব্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ ।অপরদিকে বাংলাদেশের আরো কিছু বিজ্ঞ মুফতিদের ফতোয়া হচ্ছে, বাসা-বাড়ীতে কিছু শর্তের আলোকে যোহর নয়, বরং জুমা আদায় করা। এদের মধ্যে, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ফকীহ ও আহলে ইলম আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী হাফি. ও মুফতি মানসুরুল হক হাফি. অন্যতম । তবে আমরা যারা যোহর আদায় করার পক্ষে ফতোয়া দিয়েছি, আমাদের দ্যার্থহীন বক্তব্য হলো, যে কেউ বিজ্ঞ কোন আহলে ইলমের ফতোয়া অনুসরণে জুমা আদায় করলে তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে পুনরায় তাকে যোহর আদায করতে হবে না। যদিও আমাদের নিকট সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ফতোয়া হচ্ছে, যোহর আদায় করা, জুমা নয়। ফতোয়া ভিন্ন হওয়ার কারণ হলো, বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন। নবাগত বিষয়ে আহলে ইলমদের নিজস্ব 'ইজতিহাদ' গবেষণা করার ন্যায্য অধিকার আছে। বিধায়, পরস্পরের মাঝে মতভিন্নতা হওয়াটা স্বাভাবিক। স্বয়ং শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানি দা:বা.ও তাঁর লিখিত ফতোয়ার মধ্যে মতপার্থক্যের বিষয়টি খুব শ্রদ্ধার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছেন।তাই এটাকে কেন্দ্র করে আলোচনা সমালোচনার দ্বার উন্মোচন করা, কোন আহলে ইলম বুযুর্গের মান - মর্যাদা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাঁর শানে অশালীন ভাষা ব্যবহার করা উলামায়ে দেওবন্দের আদর্শ পরিপন্থী । সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, মেহেরবানী করে এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করি। তাহকীক ছাড়া কারো ব্যাপারে অহেতুক গুজব রটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকি।যার কাছে যাকে গ্রহণযোগ্য মনে হয় তাঁকে অনুসরণ করে আমল করি। আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক দান করুন। والله تعالى أعلم بالصواب বিনীত মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। ঢাকা,বাংলাদেশ ১২|০৪|২০২০ইং

আজকের সাময়িক প্রসঙ্গে এই সংবাদ দেখে আমি নির্বাক। এই মুহূর্তে আমার বলার মতো কোন ভাষা নেই ।

📌موت العالِم موت العالَم📌یکے بعد دیگرے اکابر علماء کی رحلتاس دورِ قحط الرجال میں اکابرین امت تیزی کے ساتھ رخصت ہورہے ہیں۔ 1) کل بروز ہفتہ سویرے معروف عالم دین حضرت مولانا حفظ الرحمن صاحب پالنپوری کاکوسیؒ کی وفات ہوئی۔2) بعد مغرب جامعہ اشرف العلوم گنگوہ کے شیخ الحدیث حضرت مولانا وسیم احمد صاحب سنسارپوری کی رحلت ہوئی۔3) ابھی آج بعد فجر شیخ التفسیر جامعہ اشاعت العلوم اکل کوا حضرت مولانا عبد الرحیم فلاحی کا بھی انتقال ھوگیا۔انا للہ وانا الیہ راجعون۔اللہ پاک تمام مرحومین کی بال بال مغفرت فرمائے،جنت الفردوس میں جگہ عطا فرمائے، ملت کو نعم البدل عطا فرمائے، پسماندگان کو صبر جمیل عطا فرمائے. آمین۔۔

#আল্লাহর_রাসূলের_কথা_সত্য_হলোঃ🍯️🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯🕳️🍯#সম্মানিত_উপস্থিতিঃ ইসলাম ধর্ম এটা একটা পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা! এই জীবন ব্যবস্থার মধ্যে কেউ নতুন কিছু ঢোকাতে পারবে না এবং কেউ এর থেকে কিছু বার করতে পারবে না!আল্লাহ যা কুরআনে বলে দিয়েছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে! এবং আমাদের শেষ রাসুল শেষ নেতা যা বলে দিয়েছেন তাও কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে!আজ পুরো পৃথিবী ছোট্ট একটি আল্লাহর আযাব করোনাই পুরো পৃথিবী কম্পমান! ফ্রান্স আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড পশ্চিমা দেশগুলো এত উন্নত হওয়া সত্ত্বেও এই সংক্রমণ রোগ কে আটকাতে পারছে না!এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের ফতোয়া দিয়ে চলেছেনঃ আফ্রিকার খৃষ্টান পাদ্রী বলছেন! ডেটল খান এই করোনা থেকে মুক্তি পাবেন! অথচ এই খ্রিস্টান পাদ্রীর কথা শুনে 59 জনের মতো মৃত্যু হয়েছেঃ ভারতের একদল মূর্খ লোকেরা বলছে গোমূত্র পান করুন তাহলেই এই করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে যাবেন! অথচ এই গোমূত্র পান করে অনেকে সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন!এই উন্নত যুগে ও এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য কোনো বিজ্ঞানী এর চিকিৎসা সঠিক বার করতে পারছে না! বিধর্মীদের কাছে আমার প্রশ্নঃ এত উন্নত যুগ হওয়া স্বত্তেও সামান্য ছোট্ট একটা ভাইরাসের কোনো ট্রিটমেন্ট বার করতে পারছে না! তাহলে সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে এই ভাইরাসের ঔষুধের কথা কিভাবে জানা গেলোঃহাঁ মানব জাতির আদর্শ! আমাদের শেষ রাসুল বলে গেছেন এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা! আজ তা প্রমাণিত হলো!শুধু কালোজিরা ও মধু খেয়ে করোনা থেকে সুস্থ হলেন নাইজেরিয়ার গভর্নর!নাইজেরিয়ার ওয়ো রাজ্যের গভর্নর সেয়ি মাকিন্দে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন! গত সপ্তাহেই ধরা পড়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত! কিন্তু এখন তিনি করোনা মুক্ত! করোনার হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন! পরে সোমবার তিনি জানিয়েছেন. কী করে করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন!কী ধরনের খাবার তিনি খেয়েছেন! করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি আইসোলেশনে ছিলেন! তিনি জানিয়েছেন! শুধু কালোজিরা আর মধু খেয়েই তিনি করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন? করোনার হাত থেকে বাঁচতে শরীরের ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার কথা বলেন তিনি!#তিনি_বলেনঃ ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার উপাদান আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে! গভর্নর সেয়ি মাকিন্দে বলেন! ওয়ো রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা বোর্ডের নির্বাহী সচিব ডঃ মাইদেন ওলাতুনজি আমার হাতে কালোজিরা তুলে দেন! তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে দেন তিনি! আমি সেটা খেয়েছি! আর এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলোই ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে আর করোনা ভাইরাস নির্মূল করে!তিনি বলেনঃ মাইদেন ওলাতুনজি কালোজিরা আর মধুর মিশ্রণটি সকালে একবার ও সন্ধ্যায় একবার খেতে বলেন! আমি সেই উপদেশ মেনে চলেছি! আমি এখন ঠিক আছি! সুস্থ অনুভব করছি!সূত্র: বিডি প্রতিদিনঃকালোজিরা খাওয়ার ব্যাপারে হযরত আয়েশা রাঃ থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন! এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ! আয়েশা রাঃ বলেন! আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু! [সহীহ-বুখারী-৫৬৮৭]#মোট_কথাঃ এই কালো কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত প্রতিটি রোগেরই ঔষধ! অন্য কোনো চিকিৎসা গ্রহণ করতে না পারলেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে চিকিৎসা দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে সব ধরনের রোগের জন্য উপকারী!#অতএব_চলমান_পরিস্থিতিতেঃ কালোজিরা খাওয়ার এ চিকিৎসা আমরা গ্রহণ করতে পারি! কালোজিরা ছাড়াও আরেকটি মহা ঔষধের নাম হলো 🍯 মধু! #যার_কথা_কুরআন_বর্ণিত_হয়েছেঃআল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেনঃ মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের শরাব (মধু) বের হয়! তাতে রয়েছে মানুষের আরোগ্য! [সূরা নাহল-৬৯]#এ_আয়াত_থেকে_প্রমাণিত_হয় যে. মধু পান করা যে কোনো রোগের জন্য উপকারী! এছাড়া গরুর দুধ সেবন করা যায়! হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন!তোমাদের জন্য গরুর দুধ গ্রহণ করা উচিৎ কেননা তা বিভিন্ন গাছ [ঘাস] থেকে তৈরি আর তা সকল রোগের ঔষধ! [মুসতাদরাকে হাকেম-৮২২৪]হাঁ আমরা মুসলিম জাতি আমরা যোদ্ধা নবীর উম্মত! আমরা মূর্খ জাতিদের অন্তর্ভুক্ত নয়! আমরা গরুর দুধ খায় কিন্তু গরুর মুত খাই না!#এ_হাদীস_থেকে_প্রমাণিত_হয় যে. গরুর দুধের মধ্যে রোগ নিরাময়ের গুণ রয়েছে! কিন্তু গরুর মুতের মধ্যে নয়! সুতরাং রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য গরুর দুধ পান করা যেতে পারে! কিন্তু মূর্খদের মত গরুর মুত নয়!

تمام صوبوں کے وزرائے اعلیٰ نے مودی کے ساتھ ویڈیو کانفرنسنگ کے ذریعے میٹنگ میں اس پر اتفاق کیا کہ فی الحال کم از کم 30 اپریل تک لاک ڈاؤن بڑھایا جائے صرف اعلان آنا باقی ہےاللہ پوری انسانیت بالخصوص مسلمانوں کے ساتھ رحم و کرم کا معاملہ فرمائےسب کی جان و مال، ایمان اور عزت و آبرو کی حفاظت فرمائےتمام ضروریات کا غیب سے انتظام فرمائےالَّذِیْ خَلَقَنِیْ فَہُوَ یَہْدِیْنِ ﴿ۙ۷۸﴾وَ الَّذِیْ ہُوَ یُطْعِمُنِیْ وَ یَسْقِیْنِ ﴿ۙ۷۹﴾وَ اِذَا مَرِضْتُ فَہُوَ یَشْفِیْنِ ﴿۪ۙ۸۰﴾

*লকডাউন কে যাহারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় ঘটনা।**মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমির একটি ঘটনা যা বর্তমান সময়ের বাস্তবতা*একবার একলোক তীব্র ঝড়ের সময় একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিলো। অন্য একলোক এসে তাকে বলল, "ঝড়ের সময় সাধারনত গাছের উপরেই বজ্র পড়ে।সুতরাং এখান থেকে সড়ে যাও।"*সে আল্লাহর উপর ভরসা করে দাঁড়িয়ে থাকল।* অতপর আরেকজন এসে তাকে একই উপদেশ দিলেও সে তার অবস্থানে থাকল।অবশেষে তৃতীয় এক আল্লাহর বান্দা এসে যখন তাকে একই উপদেশ দিলো, সে আগের মত উত্তর দিলো যে, *" আল্লাহ ভরসা"**অবশেষে লোকটি বজ্রপাতে মারা যায়।*দূর থেকে এক আল্লাহওয়ালা পুরো ঘটনাটা দেখে বলতে লাগলেন যে, লোকটি আল্লাহর উপর এত ভরসা করল তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাকে রক্ষা করলেন না!*মাওলানা রূমি (রাহঃ) বললেন,* আল্লাহ এই ব্যক্তিকে বাচানোর জন্য ওই তিনজন লোককে পাঠিয়েছিলেন।কিন্ত সে নিজের ধ্বংসের কথা বিশ্বাস করে নি।**মাওলানার এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ,* পাশাপাশি সেই দেশগুলো থেকেও শিক্ষা নেয়া উচিৎ যারা এখনো বলছে, যদি সময়মত লকডাউন করা হত তাহলে হয়ত এত ক্ষয়ক্ষতি হত না। আবার কিছু মানুষ এখনো জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করছেন, আবার কিছু মানুষ মসজিদে আসতে এখন তাদের ভয় করছে না,, কিন্তু তাহারা অবস্থার প্রতিকূলে চলছে,, নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনার মত কিছু করছেন,,, সাবধান হয়ে যান।। *ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন প্রতিবেশীকে সুস্থ রাখুন নিজের প্রতি খেয়াল রাখুন*( Copy post)

Saturday, April 11, 2020

ভারত বিভাজনের সময়ে বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল । যাইহোক তদানীন্তন সময়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও জমিয়ত উলামার নেতাদের নেতৃত্বে ওই এলাকা আবারও ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত হয় । লাফাশাইল এলাকার উত্তর ও কিছু অংশের পশ্চিম সীমানা দিয়ে কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে । আর ওই কুশিয়ারা নদীই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সহিত ভারতের সীমারেখা । প্রাক্ স্বাধীনতার সময়ে লাফাশাইল এলাকার বেশিরভাগ আত্মীয়তা বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ছিল । সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরা কারবার করতে থাকেন । তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষেতকৃষি ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । আর বিকল্প রোজগারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । সেহেতু লাফাশাইল এলাকার আর্থিক ও সামাজিক মান অতি নিম্নমানের ছিল । বৃহত্তর লাফাশাইল করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি বৃহৎ ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম । ইদানীং ওই বৃহত্তর এলাকাকে তিনটি রাজস্ব গ্রামে ভাগ করা হয়েছে যথা- লাফাশাইল ১ম খণ্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড হিসেবে । বর্তমানে ওই তিনটি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি । এলাকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ৭৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী । উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব বেশি হৃদ্যতা রয়েছে, কোনও দিন সম্প্রীতির বন্ধনে চিড় ধরেনি । স্বাধীনতার আগে তিনটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব, ১৬৩ নম্বর লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮১ নম্বর দক্ষিণ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ।পরবর্তীতে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জিন্নাতুন্নেসা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিজ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় । জাগতিক প্রাথমিক শিক্ষার ৫ টি বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হলেও ইসলামিক শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রথমে লক্ষ্মীবাজার আশরাফুল উলুম জালালীয়া মাদ্রাসা ও পরবর্তীতে লাফাশাইল মোহাম্মদীয়া তৈয়ীবিয়া আলিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটিই স্থাপিত হয় । লাফাশাইল এমই স্কুল নামে খ্যাত ভেঞ্চার স্কুলটি আজও সরকারি অবহেলায় ধুঁকছে । সর্বশেষে ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল যেটি লক্ষ্মীবাজার রিলায়েন্স একাডেমী নামে পরিচিত । বৃহত্তর লাফাশাইলের তিনটি গ্রামই শৈক্ষিক, আর্থিক ও সামাজিক তথা উপযুক্ত পানীয়জলের সুবন্দোবস্থ নেই । রাস্তাঘাট মোটামুটি উন্নত হওয়ার পথে , তাও আবার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বদৌলতে । ২০১১ সালের আগমূহুর্তে ওই এলাকায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না । বিশেষ করে প্রথমে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত সড়ক ও পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় । তখন মানুষের রোজগার শূন্যতা দেখা দেয় । এতে কিশোর, যুবক ও প্রৌঢ়রা রোজগারের তাগিদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন । কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নয়ন হয় । একদা লাফাশাইল ৩য় খণ্ড শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে বাকি দুটি গ্রাম থেকে এগিয়ে ছিল , বর্তমানে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে । তার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চোরা কারবার ।আশা করি এসব বন্ধ হলে সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।

ভারত বিভাজনের সময়ে বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকায় পাকিস্তানের পতাকা উড্ডীন হয়েছিল । যাইহোক তদানীন্তন সময়ের ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও জমিয়ত উলামার নেতাদের নেতৃত্বে ওই এলাকা আবারও ভারতবর্ষের অন্তর্ভূক্ত হয় । লাফাশাইল এলাকার উত্তর ও কিছু অংশের পশ্চিম সীমানা দিয়ে কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে । আর ওই কুশিয়ারা নদীই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সহিত ভারতের সীমারেখা । প্রাক্ স্বাধীনতার সময়ে লাফাশাইল এলাকার বেশিরভাগ আত্মীয়তা বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ছিল । সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন সামগ্রীর চোরা কারবার করতে থাকেন । তাছাড়া মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক মানুষ ক্ষেতকৃষি ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন । আর বিকল্প রোজগারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না । সেহেতু লাফাশাইল এলাকার আর্থিক ও সামাজিক মান অতি  নিম্নমানের ছিল । 
             বৃহত্তর লাফাশাইল করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি বৃহৎ ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম । ইদানীং ওই বৃহত্তর এলাকাকে তিনটি রাজস্ব গ্রামে ভাগ করা হয়েছে যথা- লাফাশাইল ১ম খণ্ড, ২য় খণ্ড ও ৩য় খণ্ড হিসেবে । বর্তমানে ওই তিনটি গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি । এলাকার মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ৭৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী । উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে খুব বেশি হৃদ্যতা রয়েছে, কোনও দিন সম্প্রীতির বন্ধনে চিড় ধরেনি ।
       স্বাধীনতার আগে তিনটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, ১৬৮ নম্বর দশনলি মক্তব, ১৬৩ নম্বর লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮১ নম্বর দক্ষিণ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ।পরবর্তীতে আরও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- জিন্নাতুন্নেসা চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিজ লাফাশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়  স্থাপিত হয় ।  জাগতিক প্রাথমিক শিক্ষার ৫ টি বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হলেও ইসলামিক শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রথমে লক্ষ্মীবাজার আশরাফুল উলুম জালালীয়া মাদ্রাসা ও পরবর্তীতে লাফাশাইল মোহাম্মদীয়া তৈয়ীবিয়া আলিয়া ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় । কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটিই স্থাপিত হয় ।  লাফাশাইল এমই স্কুল নামে খ্যাত ভেঞ্চার স্কুলটি আজও সরকারি অবহেলায় ধুঁকছে । সর্বশেষে ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল যেটি লক্ষ্মীবাজার রিলায়েন্স একাডেমী নামে পরিচিত । বৃহত্তর লাফাশাইলের তিনটি গ্রামই শৈক্ষিক, আর্থিক ও সামাজিক তথা উপযুক্ত পানীয়জলের সুবন্দোবস্থ নেই । রাস্তাঘাট মোটামুটি উন্নত হওয়ার পথে , তাও আবার বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বদৌলতে । ২০১১ সালের আগমূহুর্তে ওই এলাকায় উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিল না । বিশেষ করে প্রথমে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত সড়ক ও পরবর্তীতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় । তখন মানুষের রোজগার শূন্যতা দেখা দেয় । এতে কিশোর, যুবক ও প্রৌঢ়রা রোজগারের তাগিদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন । কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নয়ন হয় । 
   একদা লাফাশাইল ৩য় খণ্ড শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে বাকি দুটি গ্রাম থেকে এগিয়ে ছিল , বর্তমানে দিন দিন  পিছিয়ে যাচ্ছে । তার মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে চোরা কারবার ।আশা করি এসব বন্ধ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ।

লাফাশাইলে ভরদুপুরে কচিকাঁচাদের ফুটবল প্রতিযোগিতা চলছে । এতে লকডাউন কী এবং কেন ? অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে তাদের বোধগম্য হচ্ছে না ।

Friday, April 10, 2020

#অভিনন্দন_রিজওয়ান_আলম_বড়ভূইয়া।#তাবলীগ_নিয়ে_অপপ্রচারের_ধূম্রজাল_ছিন্ন_করলেন_আপনি।সিংহভাগ মিডিয়া তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। জামাত নিয়ে অনেকের মনে উঁকি মারছে নানা প্রশ্ন । তাবলীগের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরতে অনেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমতাবস্থায় অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় তথ্য ও যুক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে মিডিয়ার অপপ্রচারের ধূম্রজাল ছিন্ন করেছেন তরুণ লেখক রিজওয়ান আলম বড়ভূইয়া। দৈনিক গতি পত্রিকায় তিনি নিরপেক্ষভাবে তাবলীগের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে অপপ্রচার কারীদের মুখে চুনকালি লেপে দিয়েছেন। হৃদয় নিংড়ানো উষ্ণ অভিনন্দন রইলো রিজওয়ান ভাইয়ের প্রতি।

জুমা পড়বো না যোহর? দারুল উলূম দেওবন্দের দিকনির্দেশনাভূমিকা: দারুল উলূম দেওবন্দের সম্মানিত মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী (হাফিজাহুল্লাহ) দারুল উলূম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে একটি প্রশ্ন পেশ করেন। দারুল উলূম দেওবন্দের সম্মানিত মুফতিগণ তার সমাধান প্রদান করেন। নিম্নে কেবল সমাধানপত্রের নির্বাচিতাংশের অনুবাদ প্রদান করা হলো।  শহর ও শহরতলী এবং বড় গ্রাম (যেখানে জুমার শর্ত পাওয়া যায় এবং জুমা ফরজ হয়) সেখানকার মসজিদগুলোতে যেমনি পূর্ব থেকে জুমার নামায অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে তেমনি বর্তমান অবস্থায়ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সংখ্যক লোকজন মিলে জুমার নামায আদায় করবে, অবশ্যই জামাতে ইমাম ব্যতীত তিনজন পুরুষ মুকতাদি হওয়া জরুরি।  যদি কোন শহর বা অঞ্চলের কিছু মসজিদে পূর্ব থেকে জুমার ব্যবস্থা আছে, আর কিছু মসজিদে জুমার ব্যবস্থা নেই, তাহলে বর্তমান সময়ে সেখানেও (প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে পরিস্থিতি পরির্বতন না হওয়া পর্যন্ত) চার-পাঁচ জন মিলে জুমার নামায আদায় করবে। যেন কিছু মানুষ সেখানে জুমা আদায় করার সুযোগ পায়। জ্ঞাতব্য বিষয় হলো, বর্তমান সময়ে মসজিদে চার-পাঁচজনের অধিক মানুষ একত্রিত হতে নিষেধ করা হয়েছে; এটি সরকারী নিয়ম পালনার্থে করা হয়েছে। সুতরাং এমন নিষেধ ‘সর্ব সাধারণের অনুমতি থাকা’ (যা জুমার নামায ছহীহ হওয়ার জন্য শর্ত) এর বিপরীত নয়। কেননা, এখানে মানুষকে জুমা থেকে বিরত রাখা উদ্দেশ্য নয় বরং নিয়ম ভঙ্গ করলে বড় বিপদে পতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এই বাধা-নিষেধ। اما اذا كان لمنع عدو يخشى دخوله وهو في الصلاة فالظاهروجوب الغلق اه. حلبي (حاشية الطحطاوي على الدر، 1: 344)قوله: "لم تنعقد" يحمل على ما إذامنع الناس لاماإذاكان لمنع عدو أولقديم عادة، وقدمر (المصدرالسابق)(আরো দলিল মূল ফতোয়া থেকে দেখে নিন....) পাড়া-মহল্লার যে সকল লোক মসজিদে জুমার নামায আদায় করতে পারবে না, তারা নিজেদের বাড়ির সামনে বৈঠকখানা কিংবা ঘরের বাহিরের বারান্দায় অন্য লোকদের অংশগ্রহণের অনুমতি সাপেক্ষে জুমার নামায আদায় করতে পারবে। (তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বাধা-নিষেধ না থাকতে হবে) অন্যান্য লোকদের অংশগ্রহণের অনুমতির অর্থ আশ-পাশের মানুষদেরকে অবগত করবে যে, এখানে জুমার জন্য কেউ আসতে চাইলে আসতে পারবে।  যদি জনস্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ জনের অধিক ব্যক্তির সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়, (যেমন বাংলাদেশে জুমার জন্য ১০ জনের অধিক মানুষ একত্রিত হওয়াকে নিষেধ করা হয়েছে) তাহলে তারাও কয়েকজন মিলে জুমার নামায আদায় করবে। তবে ইমাম ব্যতীত নুন্যতম তিনজন বালেগ পুরুষ মুকতাদি হতে হবে। তাদেরকে নিয়ে ইমাম সাহেব সংক্ষিপ্ত খুতবা ও সংক্ষিপ্ত কেরাতের মাধ্যমে জুমার নামায আদায় করবে।  যে সকলস্থানে কয়েকজন মিলেও জুমার নামাযের ব্যবস্থা করা না যায়, সেখানে তারা একাকি যোহরের নামায আদায় করবে। তাতে তাদেরকে অপারগ মনে করা হবে। জুমা ছেড়ে দেয়ার কারণে গুনাহগার হবে না।  যে সকল ছোট গ্রামে পূর্ব থেকেই জুমা ফরজ নয়, সেখানে মানুষ একাকি কিংবা কয়েকজন মিলে জামাত সহকারে যোহরের নামায আদায় করবে। দলিল সহ বিস্তারিত ফতোয়ার কপি থেকে পড়ুন…..অনুবাদ ও সম্পাদনা: সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী

মুসলিম সমাজের কিছুসংখ্যক মানুষের বোধোদয় এখনও পর্যন্ত হলো না !

#আল্লামা_তৈয়ীবুর_রহমান_কলেজ_অব_ফার্মাসির_যাত্রা_শুরু। উত্তর পূর্ব ভারতের ভূতপূর্ব আমীরে শরীয়ত হযরত আল্লামা তৈয়ীবুর রহমান বড়ড়ূইয়া রঃ এর স্মৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসলেন আচার্য মাহবুবুল হক। আন্তরিক অভিনন্দন মাহবুবুল হক সাহেবকে।

Tuesday, April 7, 2020

মানুষ চাইলে কি না করতে পারে ।

১৮৮৫ সাল...প্যারিস। বাড়ির সদর দরজার সামনে খেলা করছিল নয় বছরের ছেলে যোসেফ...যোসেফ মেইস্টার। যোসেফের মা মাদাম মেইস্টার ব্যস্ত ঘরের কাজে। হঠাৎ ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে চমকে উঠলেন তিনি। তাড়াতাড়ি দৌড়ে গেলেন সদর দরজায়...সামনের দৃশ্য দেখে ভয়ে অসাড় হয়ে গেল তাঁর শরীর। 

একটা কুকুর...অদ্ভুত তার চোখের চাউনি...মুখ দিয়ে লালা গড়াচ্ছে...চাপা গর্জনের সঙ্গে কুকুরটা সজোরে কামড়ে ধরেছে যোসেফের পা...যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে যোসেফ। সম্বিত ফিরে পেয়ে কুকুরটাকে একটা লাথি মারলেন মাদাম মেইস্টার...কুকুরটা একটু দূরে ছিটকে পড়লো। যোসেফের রক্তমিশ্রিত লালা ঝরছে তার মুখ থেকে। খানিকক্ষণ ক্রূর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে চলে গেল কুকুরটা। 

কুকুরটাকে চিনতে পেরেছেন মাদাম মেইস্টার। এটা পাশের পাড়ার সেই পাগলা কুকুরটা...যেটা ইতমধ্যেই দু'জনকে কামড়েছে...দু'জনেই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে...ডাক্তার বলেছেন, জলাতঙ্ক হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা...বাঁচার কোনো আশা নেই! সেই কুকুরটাই কামড়েছে তাঁর একমাত্র ছেলে যোসেফকে! 

মাথা খারাপ হয়ে গেল মাদাম মেইস্টারের। ছেলেকে নিয়ে ছুটলেন স্থানীয় ডাক্তারের কাছে...একটাই আর্জি…"ছেলেকে বাঁচিয়ে দিন"। যোসেফের পায়ের ক্ষতর ড্রেসিং করলেন ডাক্তার। বললেন, "এই রোগের কোনো ওষুধ নেই...মৃত্যু আসবে দু' সপ্তাহের বা খুব জোর হলে একমাসের মধ্যে...ভবিতব্যকে মেনে নিন...তা ছাড়া কোনো উপায় নেই"।

কাঁদতে কাঁদতে ডাক্তারের হাতে পায়ে ধরলেন মাদাম মেইস্টার…"কিছু একটা করুন...কিছু একটা করে যোসেফকে বাঁচান"। একটু চিন্তা করলেন ডাক্তারবাবু...বললেন, "এখান থেকে একটু দূরে লুই পাস্তুর নামে কেমিস্ট্রির এক প্রফেসর থাকেন। শুনেছি তিনি জলাতঙ্ক রোগের টীকা আবিষ্কার করবার চেষ্টা করছেন। আপনি তাঁর সঙ্গে কথা বলুন"।

যোসেফকে কোলে নিয়ে ডাক্তারখানা থেকেই লুই পাস্তুরের বাড়ির উদ্দেশ্যে ছুটলেন মাদাম মেইস্টার। দেখা করলেন পাস্তুরের সঙ্গে। বললেন, "আমার একমাত্র ছেলে...যেভাবে হোক বাঁচান"।

মাদাম মেইস্টারকে অনেক বোঝালেন পাস্তুর। বললেন, "একথা সত্যি যে আমি জলাতঙ্কর টীকা আবিষ্কার করবার চেষ্টা করছি এবং আংশিক সাফল্যও পেয়েছি। এই টীকা তৈরী করেছি জলাতঙ্কতে ভুগতে থাকা কুকুরের স্পাইনাল 
কর্ডের টিস্যুকে ফর্মালিন দিয়ে আংশিকভাবে অকেজো করে। এই টীকা কুকুরের দেহে প্রয়োগ করে সাফল্য পেয়েছি...এই টীকা কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করতে সক্ষম। কিন্তু মানুষের শরীরে এর প্রয়োগ এখনও করা হয়ে ওঠেনি...অর্থাৎ 'হিউম্যান ট্রায়াল' এখনও হয়নি। 'হিউম্যান ট্রায়াল' এ সফল হলে তবেই একমাত্র এই টীকা মানুষের শরীরে দেওয়ার উপযুক্ত বলে গণ্য হবে...তার আগে নয়"।

সব শুনে লুই পাস্তুরের সামনে যোসেফকে শুইয়ে দিলেন মাদাম মেইস্টার। বললেন, "ওর উপরেই 'হিউম্যান ট্রায়াল' করুন। ওকে পাগলা কুকুরে কামড়েছে...আজ না হোক কাল ও মরবেই...আপনার টীকার দৌলতে যদি বাঁচে!"

পাস্তুর পড়লেন আতান্তরে! একটা ন' বছরের বাচ্ছার উপর হিউম্যান ট্রায়াল! ওইটুকু শরীর কি এই মারাত্মক রোগের টীকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সহ্য করতে পারবে? যদি টীকা'র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যই যোসেফ মারা যায়...নিজের অন্তরাত্মাকে কি জবাব দেবেন তিনি? 

পাস্তুর পরামর্শ করলেন নিজের সহকারীদের সঙ্গে, কথা বললেন যোসেফের বাবার সঙ্গে। স্থির হলো...যোসেফের উপরেই প্রথম প্রয়োগ করা হবে পাস্তুরের তৈরী টীকা! 

প্রয়োগ করা হল। পাস্তুর এবং তাঁর সহকর্মীদের নেকনজরে রইলো নয় বছরের যোসেফ। একদিন...দুদিন...কেটে গেলো তিরিশটা দিন...যোসেফের শরীরে জলাতঙ্কর কোনো লক্ষণ দেখা গেল না...হিউম্যান ট্রায়াল সাকসেসফুল...আবিষ্কার হল জলাতঙ্কর টীকা! 

Person who saves one life saves the entire mankind। লুই পাস্তুরের আবিষ্কৃত ওই টীকা প্রয়োগ করে এর পরের প্রায় একশো বছর ধরে প্রাণ বাঁচানো হয়েছে কোটি কোটি মানুষের। কয়েক বছর আগে অবধি ওই টীকাই ভারত সরকার প্রত্যেক সরকারী হাসপাতালে সাপ্লাই করতো। বিজ্ঞান কখনও থেমে থাকে না। হিউম্যান ডিপ্লয়েড সেল কালচার ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসার পরে পাস্তুরের তৈরী ভ্যাকসিনের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু "ফাদার অফ মাইক্রোবায়োলজি" লুই পাস্তুরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং চিরদিন লেখা থাকবে...পথ প্রথমবার তিনিই দেখিয়েছিলেন। 

যে বাড়িতে যোসেফের উপর এই হিউম্যান ট্রায়াল করা হয়েছিল...সেই বাড়ি আজ মহীরুহর আকার ধারণ করেছে...নাম "পাস্তুর ইনস্টিটিউট"...দেশ বিদেশের বিজ্ঞানীরা এই ইনস্টিটিউটে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন। 

কিন্তু সেই ন' বছরের যোসেফ মেইস্টার...তাঁর কি হলো? আপনি শুনলে অবাক হবেন...তিনি বেঁচেছিলেন পঁয়ষট্টি বছর বয়স অবধি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি ফ্রান্সের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পরে লুই পাস্তুর যোসেফকে 'পাস্তুর ইনস্টিটিউট' এর কেয়ারটেকারের পদে বহাল করেন। আমৃত্যু তিনি 'পাস্তুর ইনস্টিটিউট' এর পাহারাদার ছিলেন। 

১৯৪০ সাল...দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ফ্রান্স দখল করেছে জার্মানির নাৎসী বাহিনী...প্যারিস শহরে হত্যালীলা চলছে। পাস্তুর ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পালিয়ে গেছেন...নিজের স্ত্রী সন্তানদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দিয়ে পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গেট আগলে বসে আছেন পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ যোসেফ মেইস্টার! তিনি পালিয়ে যাননি...যে ইনস্টিটিউট একদিন তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছিল...নরপিশাচদের হাতে সেই ইনস্টিটিউটকে ছেড়ে যেতে তাঁর মন সায় দেয়নি। 

বিশাল নাৎসী বাহিনী যখন পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গেটের সামনে, অশক্ত শরীরে নিজের সার্ভিস রিভলবার তাঁদের দিকে তাক করলেন যোসেফ মেইস্টার…"স্টপ"। নাৎসীরা বৃদ্ধ যোসেফের উপর ফায়ার করলো না...রাইফেলের কুঁদোর ঘায়ে তাঁকে ধরাশায়ী করে বেধড়ক মারধোর করলো। মার খেতে খেতে যোসেফ শুনলেন যে তাঁর স্ত্রী সন্তানেরা নাৎসীদের হাতে ধরা পড়েছেন। ওই অবস্থাতেও তিনি নাৎসীদের অনুরোধ করেছিলেন...লুই পাস্তুরের সমাধিটা যেন নষ্ট না করা হয়…"He saved millions of lives"। 

মার খেয়ে মৃতপ্রায় যোসেফ কোনোমতে বাড়ি ফিরলেন। বুঝলেন...তাঁর স্ত্রী সন্তানেরা বন্দী...পাস্তুর ইনস্টিটিউট নাৎসীদের কবলে। নিজের সার্ভিস রিভলবার নিজের কপালে 
ঠেকিয়ে ট্রিগার টেনে দিলেন তিনি। 

যোসেফের অনুরোধ মেনে নাৎসীরা পাস্তুরের সমাধি নষ্ট করেনি। যোসেফের স্ত্রী সন্তানরাও নাৎসীদের হাত এড়িয়ে শেষ অবধি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

আজ সমগ্র পৃথিবী করোনা মহামারীর কবলে। এই ভাইরাসের মারক ক্ষমতা প্রায় ৩%। জলাতঙ্কর জন্য দায়ী রেবিস ভাইরাসের মারক ক্ষমতা কতো জানেন? ১০০%! একবার এই রোগ শিকড় গেড়ে বসলে কেউ বাঁচে না। সেই মৃত্যু বড় যন্ত্রণাদায়ক...বড় ভয়ংকর। লুই পাস্তুর নিজের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন দ্বারা সময়মত 'পোস্ট এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস' এর মাধ্যমে এই ১০০% কে প্রায় ০% এ নামিয়ে এনেছিলেন! সেই পাস্তুর ইনস্টিটিউট আজও আছে। আমি নিশ্চিত...সেখানে দেশ বিদেশের বিজ্ঞানীরা আজ অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন করোনা'র ভ্যাকসিন তৈরী করবার জন্য। আমি নিশ্চিত...আজ না হোক কাল তাঁরা সফল হবেন। 
তাই আশা ছাড়বেন না...ভেঙে পড়বেন না। আমরা মানুষ...পৃথিবীর সবচাইতে বুদ্ধিমান জীব...আমরা পারবো না তো আর কে পারবে? সফল আমরা হবই।

স্বার্থ, স্বার্থ! তোমার মানবতা নেই কুসুম!



১৯ মার্চ - ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বপ্রথম পৃথিবীকে জানান যে কোভিড ১৯ এর প্রতিকারের জন্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও এজিথ্রোমাইসিন এর কম্বিনেশন কার্যকরী।

২২মার্চ - আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানি ভারতীয় ঔষধ কোম্পানিগুলিকে বিপুল পরিমাণ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন অর্ডার দিলেন।

২৪ মার্চ - আই সি এম আর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলেন যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন একটি কিমোপ্রোফাইল্যাকটিক (অর্থাৎ কোভিড ১৯ এর প্রোটেকশন) হিসাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ও তাঁদের পরিবারকে দেওয়া যেতে পারে।

২৬ মার্চ - ভারত সরকার এই সহজলভ্য ড্রাগটিকে এইচ ১ তকমা দিলেন। বাজারে যেটুকু হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ছিল সেটি আউট অফ স্টক। অর্থাৎ ওষুধের দোকানে গিয়ে চাইলেই আর এই ওষুধ পাওয়া যাবে না।

৪ এপ্রিল - ভারত সরকার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর রপ্তানি বহির্বিশ্বের কাছে বন্ধ করে দেয়।

৪ এপ্রিল - ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাক্তিগত ভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন পূর্ববর্তী অর্ডারদেওয়া ওষুধের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য।

Reporter - Do you think that THE POLICY OF BANNING THE EXPORT OF DRUGS TO THE WORLD can have a retaliation? And Prime Minister Modi is doing that?
Trump - No, I have previously talked to Prime Minister Modi and requested him to release the ban on Hydroxichloroquine. Our ban has no relation with India's policy. 

এপ্রিল ৭ - Donald Trump says, "I spoke to him Sunday morning, called him, and I said, 'We'd appreciate your allowing our supply to come out.' IF HE DOESN'T ALLOW IT TO COME OUT, THAT WOULD BE OKAY, BUT OF COURSE, THERE MAY BE RETALIATION. Why wouldn't there be? I would be surprised if he would, you know, because India does very well with the United States," 

এপ্রিল ৭ - ভারত সরকার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। বিদেশ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেন যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করে ভারত মহামারি আক্রান্ত দেশগুলির পাশে থাকবে।

যা দেখছি তার সবটাই যে ইতিহাস হয়ে থাকছে সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। আমরা পাকিস্তানের নিরিখে নিজেদের ফার্স্ট বয় ভেবে নিয়েছি বহুদিন হল। প্রাইমারি স্কুল পেরিয়ে হাই স্কুলের ক্লাসে এসে দেখলাম পরীক্ষায় পাশ করতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ আসন তো দূর অস্ত। এই মহামারি পেরিয়ে যদি একটি লোকও বেঁচে থাকে তারা মনে রাখবে মানবধর্মের নামে আমরা নিজের দেশের নাগরিককে মহামারির সামনে উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে তার লজ্জাবস্ত্রটুকু কেড়ে নিয়েছিলাম। সভ্যতা ও সংস্কৃতি মনে রাখার লোকের অভাব না পড়ে যায়। মানব ধর্মের বিত্তশালী পূজারীরা, স্কুলের পাঠ্যক্রমে পড়েছিলেন? 
"আমি কেটে - ছেঁটে যতদূর সম্ভব খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। বেঁচে থাকতে যতটুকু দরকার খাই এবং দেশের সমস্ত লোক মরে গেলেও যদি সেইটুকু সংগ্রহ করার ক্ষমতা আমার থাকে , কাউকে না দিয়ে নিজেই আমি তা খাবো। নীতিধর্মের দিক থেকে বলছি না, সমাজধর্মের দিক থেকে বিচার করলে দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ।"

পুনশ্চঃ আমেরিকা কিন্তু এই মহামারিতে সমস্ত ধরনের ওষুধ রপ্তানি বন্ধ করেছে এবং ট্রাম্প মহাশয় বেশ ঘাড় ঝাঁকিয়ে স্টক পাইলের কথা বলছেন। আর ভারত ম্যালেরিয়ার উপদ্রবের কারণে বহুদিন ধরেই এই ওষুধ তৈরি করে আসছে। নিজের দেশে শুধু নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই ওষুধ অত্যন্ত কম দামে রপ্তানি করছে বিগত বহু দশক ধরে। তাই অমানবিকতার প্রশ্ন না তুললেই হয়।

যারা মিনিটে মিনিটে বিদেশ সফর, আমেরিকার সাথে বিরাট সখ্যতা ও বহি:বিশ্বে ভারতের "ইমেজ" নিয়ে গর্ব করেন তাঁরা নিশ্চই এই সাধারণ জ্ঞানের লেখাটি থেকে পজিটিভ কিছুই পাবেন। বহি:বিশ্ব এই মুহূর্তে ভারতের জনগণের মহান ত্যাগ ও মহান দানের জন্য ভারতের প্রতি এক অনন্য সম্মান প্রদর্শন ও পাকিস্তানের বাপ বাপান্ত করছেন।

দারুল উলুম দেওবন্দে প্রবীণ ছাত্রের মৃত্যু

#দারুল_উলূম_দেওবন্দের_ছাত্রদের_মধ্যে_বয়সে_সবচেয়ে_প্রবীণ_ছাত্র_মুহাম্মাদ_মাজহার_আলী, ঔরাঙ্গবাদ, মহারাষ্ট্র। বয়স ৭৮ বছর। আজ জুমু'আর নামাজের পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। অ্যাম্বুলেন্স-যোগে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর #স্বাভাবিক_মৃত্যু_হয়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।

আজ থেকে তিন বছর পূর্বে ৭৫ বছর বয়সে সংসার-পরিবার ছেড়ে ইলমের তীব্র পিপাসা নিয়ে, পরিপূর্ণ আলিমে দ্বীন হওয়ার লক্ষ্যে তিনি এখানে ভর্তি হন। পেশাগত ভাবে তিনি স্কুল-শিক্ষক ছিলেন। আধুনিক শিক্ষার বেশ অনেক ডিগ্রিই তাঁর অর্জনে ছিল। তাঁর মুখেই শোনা, শিক্ষকতার সূত্রে তিনি ইরানেও কিছু সময় কাটিয়েছেন।  বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতাও তাঁকে তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। এই বয়সে উপনীত হয়েও একজন গড়পড়তা ছাত্রের থেকেও তিনি বেশি মেহনত করতেন। মসজিদে কদিমের ৮ নম্বর রুমের সামনে দিয়ে যখনই যেতাম, বেশিরভাগ সময়ই তাঁকে অধ্যয়নরত পেতাম। এই বয়সেও তাঁর ছাত্রসুলভ মেহনত, আচরণ, একাগ্রতা, দায়বদ্ধতা, অধ্যবসায় ইত্যাদি দেখে প্রাচীন যুগের আমৃত্যু ইলম-পিপাসু সাধকদের কথা মনে পড়তে বাধ্য।

তিনি বলতেন, আমি চাই ছাত্রাবস্থাতেই আমার মৃত্যু হোক। অদ্ভুতভাবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর পরিপূর্ণ আলিমে দ্বীন হওয়া ও ছাত্রাবস্থাতেই মৃত্যু হওয়ার দুটি ইচ্ছাকেই একইসাথে পূরণ করেছেন। এ বছর তিনি দাওরা হাদীস (শেষ বর্ষ) -এর ছাত্র ছিলেন। বাৎসরিক পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় তিনি এখনও খাতায় কলমে দারুল উলূম দেওবন্দের ছাত্র। আবার অন্যদিকে কিছুদিন আগেই তাঁর হাদীসের সমস্ত পাঠও সম্পন্ন হয়েছে।

আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন এবং তাঁর সন্তান সন্ততি ও পরিবার পরিজনকে 'সবরে জামীল' -এর তাউফিক দিন।

☆ সৌদি তুলনা ও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মিডিয়া ☆



_____মুহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিস মাহি 

আমাদের দেশের কিছু মানুষ ও কিছু মিডিয়া আছে, যারা নিজেদের সুবিধামতো যখন যার গীত গেয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়, তারই গীত গাওয়া শুরু করে। এবং তাকেই আইডল বানিয়ে, তার সাথে তুলনা করে নিজেরা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে! অথচ আজকে যাকে উপমা বানালো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য, ঠিক তাকেই নিজেদের এজেন্ডা  বিরোধী হলে বর্বর, পিছিয়ে পড়া, ও গোঁড়া বলতে ছাড়ে না। 

চলমান বিপর্যয়ের সময় একাত্তর টিভি নামক মিডিয়া শুরু থেকেই সোচ্চার ছিল কিভাবে আমাদের মসজিদগুলোতে সম্পূর্ণরূপে নামাজ বন্ধ করে তালা দেয়া যায়। অথচ মসজিদে জামাতের জন্য উপস্থিতি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গণহারে মানুষের ভিড় ও গণজমায়েত চালু ছিল। তারা এসব ব্যাপারে কোনো কার্যকর প্রতিবাদ করেনি। এ প্রসঙ্গে গার্মেন্টস গুলোতে বড় ধরনের শ্রমিকদের উপস্থিতি উল্লেখ্য। এছাড়াও বাস-লঞ্চ রেলস্টেশন গুলোতে মানুষের আবাধে কোন শৃঙ্খলা ছাড়া জমায়েত অব্যাহত ছিল। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল, যখনই সরকার জনগণকে কোন ধরনের সচেতন করা ছাড়াই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করল, পুরো ঢাকা, বাস লঞ্চ রেল ষ্টেশন গুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। একাত্তর টিভিকে সরকারের এই আত্মঘাতী মূলক সিদ্ধান্তের জোরালো কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।

মসজিদে জামাতের ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আলেমগণ শুরু থেকেই তাদের সতর্কতামূলক নির্দেশনা জাতিকে জানিয়ে এসেছেন। এবং তারা সীমিত আকারে জামাত চালু রাখার ব্যাপারে অভিমত দিয়েছেন। ষাট বছরের বেশি ও শিশু মুসল্লিদের মসজিদে উপস্থিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সাধারণ সর্দি কাশি রোগীদেরও মসজিদে উপস্থিত হওয়া থেকে বারণ করেছে ন। আর যদি কেউ করোনা রোগী হয়ে থাকে তার তো মসজিদে আসার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আবেগি মানুষ ও মৌসুমী মুসল্লিগণ আলেমদের কথায় খুব একটা কর্ণপাত করেননি। সেজন্য এখন সরকারি নির্দেশেই পাঁচ দশ জনের জামাত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং এটা সবার জন্য মঙ্গল জনক।

 একাত্তর টিভি শুরু থেকেই যতটা না উঠে পড়ে লেগেছিল মসজিদ বন্ধের পেছনে, এর সিকিভাগও অন্যান্য জমায়েত গুলোর ব্যাপারে কথা বলেনি। তারা যেমনটা মসজিদ বন্ধের জন্য সরব ছিল, মন্দির গির্জা গুলোর ব্যাপারে কিংবা ভিন্নধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি তাদের। অথচ ভিন্নধর্মীরা ঠিকই তাদের উপাসনা ইত্যাদি চালিয়ে গিয়েছে। যেগুলোতে ব্যাপক মানুষের জমায়েত ছিল। 

এথেকে তাদের ইসলাম বিরোধী ও বিদ্বেষী মনোভাব ভালোভাবে প্রকাশ পায়। এবং এদের একপেশে নীতি সবসময় ইসলাম এবং মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি নীতির বিরুদ্ধে বেশি দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে পশ্চিমাদের অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণই কাজ করে বলে মনে হয়। এ প্রসঙ্গে আমি আরো একটি উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। সেটা হলো করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ কে পুড়িয়ে ফেলার মত ধৃষ্টতামূলক প্রস্তাবও তারা তাদের মিডিয়ায় করেছে। অথচ ঠিক একই অনুষ্ঠানে দেশের একজন প্রখ্যাত ডাক্তার বলেছেন, করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ কে সতর্কতার সাথে দাফন করে ফেললে তিন কি চার ঘন্টা পরে ঐ লাশ থেকে আর ভাইরাস ছড়ানোর কোন আশঙ্কা থাকে না। আর এখনতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এবং বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর থেকেও বলা হয়েছে যে, করোনা রোগীর লাশ দাফনে কোন ধরনের ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি নেই।

যাক যে প্রসঙ্গ নিয়ে লেখাটা শুরু করেছি সে বিষয়ে আসি। একাত্তর টিভি তাদের মসজিদ বন্ধের এজেন্ডার পেছনে সৌদি আরবকে টেনে এনেছে বারবার। কাউকে আইডল বানাতে হলে তার সবকিছুই অনুসরণীয় হওয়া উচিত। এই কোরোনার কথাই ধরি, সৌদি আরব করোনা বিষয়ে শুরু থেকেই সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করেছে সর্বক্ষেত্রে। 

জনগণকে সচেতন করার জন্য এমন কোন মাধ্যম নেই যা তারা ব্যবহার করেনি। রোজ আট দশবার করে প্রত্যেক নাগরিক ও বিদেশীদের মোবাইলে দিকনির্দেশনা মূলক এসএমএস পাঠানো, বিভিন্ন জায়গায় ফ্রী মাস্ক বিতরণ, স্যানিটাইজার বিতরণ, ব্যাংক অফিস-আদালতে স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখা, নিজেদের লোকরা বাইরের কোন কান্ট্রি থেকে আসার সাথে সাথে ফাইভ স্টার হোটেলে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা সহ অসংখ্য সাধুবাদ জানানোর মতো পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। করণা রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে সৌদি সরকার শতভাগ বদ্ধপরিকর। এবং কি যে সকল বিদেশি সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের চিকিৎসা ও সম্পূর্ণ ফ্রি দেয়ার জন্য বাদশা সালমান আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু করুন। এটা মানবতা এবং মানবিকতার অতি উত্তম একটি উদাহরণ বলতে হবে।  

অথচ বাংলাদেশের সরকার যখন তার প্রবাসী নাগরিকরা দেশে আসলো, তাদেরকে অযত্নে-অবহেলায় হজ ক্যাম্পে পাঠিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আহার পানীয় ছাড়া, কোন ধরনের ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতি ছাড়া বন্দী অবস্থার মধ্যে রাখল। প্রবাসী ভাইদের শিশুরাও এই চরম অবহেলা থেকে বাদ যায়নি। এতে করে কিছু ক্ষুব্দ প্রবাসী যখন দেশের সিস্টেমকে দোষারোপ করে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটালো, তখনই একাত্তর টিভির মতো মিডিয়াগুলো এবং সারাদেশের স্বার্থপর মানুষগুলোও এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে এবং ঘৃণা ছড়াতে শুরু করলো। একটুও দ্বিধাবোধ করেনি, সতেরো আঠারো ঘণ্টা জার্নি করে আসা মানুষগুলো এমন অবহেলা পেলে তাদের মানসিক অবস্থাটা কেমন হতে পারে বুঝতেও চেষ্টা করেনি। 

বর্তমান বিপর্যয়ে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা আর নাই বা বললাম। সবাই দেখছেন কিভাবে ডাক্তাররা নিজেদের দায়িত্ব কে এড়িয়ে চেম্বার বন্ধ করে সাধারণ রোগীদের পর্যন্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছেন। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের কোন কার্যকর ভূমিকা নজরে পড়ছে না। শুধুমাত্র চিকিৎসায় অবহেলার কারণে বিনা চিকিৎসায় অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে সারাদেশে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাস্তাঘাটে লাশ পড়ে থাকতেও দেখা যাচ্ছে।

কথা হল এই মিডিয়াগুলো যখন মসজিদের ব্যাপারে সৌদি আরবের সাথে তুলনা করছিল, তাদের উচিত ছিল পাশাপাশি সৌদি আরবের এমন কার্যক্রম গুলোকেও সামনে এনে সরকারকে পরামর্শ দেয়া। কিন্তু তারা তা না করে বরং করেছে উল্টোটা। প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছে বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত সৌদি আরব এ পর্যন্ত দুই আড়াই হাজার করোনা রোগী শনাক্ত করতে এক লক্ষেরও অধিক করোনা পরীক্ষা করেছে। 

নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তুলনা করা এসব মিডিয়া সৌদি আরবকেও বর্বর পিছিয়ে পড়া বলতে ছাড়ে না। যেমন ধরুন সৌদি আরবে চুরির শাস্তি হাত কেটে দেয়া, হত্যার শাস্তি হত্যার বদলে শিরচ্ছেদ করা। ব্যভিচার, পর্দাহীন নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা, নামাজ ছেড়ে দেয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও রয়েছে সৌদি আরবের কঠোর শাস্তি। কিন্তু এগুলোর ব্যাপারে সৌদি আরব কে তারা কখনো সামনে আনে না। বরং ওই যে বলেছি বর্বর ও পিছিয়ে পড়া বলতেও একটুও পিছপা হয় না। এতেই তাদের আসল রূপ প্রকাশ পায়, মুখোশ উম্মোচন হয়। এবং এটাকেই বলা হয় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিমুখীতা এবং সুবিধাবাদী তুলনা।

০৭.০৪.২০২০

Monday, April 6, 2020

اسراءیل اور چند حقاءق



_دنیا بھر میں یہودیوں کی موجودہ تعداد 14 ملین کے لگ بھگ ہے, جن کی اکثریت اسرائیل میں رہائش پذیر ہے._

اسرائیلی قوانین کے مطابق دنیا کا ہر یہودی اسرائیل کا شہری ہے

اسرائیل میں کسی کو بھی زمین نہیں فروخت کی جاتی بلکہ اسے صرف کرائے پر دی جاتی ہے.

اسرائیل دنیا کا واحد ملک ہے جہاں ہر عورت کے لئے فوجی خدمات ضروری ہیں.6

دنیا بھر میں آبادی کے تناسب سے سب سے زیادہ بیچیلرز اسرائیل میں ہیں, ہمارے یہاں ڈگری کا مقصد, کام نہ کرنے کی تنخواہ اور کام کرنے کی رشوت لینا ہے,  اسرائیل میں جب تک نوکری نہیں ملتی جب تک سٹوڈنٹ اپنا کوئی بزنس یا اپنا کوئی آئیڈیا سیل کر کے 10000 ڈالر پرافٹ نہیں کما لیتا.

اسرائیل میں فی کس کے اعتبار سے سب سے زیادہ کتابیں چھپتی ہیں.

اسرائیل میں جب کوئی عورت حمل سے ہوتی ہے تو میاں بیوی گھر سے ٹی وی, موبائل گیمز دور کر دیتے ہیں, اور رات دن میتھ کے سوالات بول کر حل کرتے ہیں. زیادہ سے زیادہ شطرنج کھیلتے ہیں تاکہ بچے میں شاطرانہ چالیں چلنے کی صلاحیت پیدا ہو, اس طرح بچوں کی نشو و نما ہوتی ہے, اس گھر میں شور شرابہ تو دور کی بات سگریٹ تک کی اجازت نہیں ہوتی, ڈرائی فروٹس اور جوس کا استعمال زیادہ کیا جاتا ہے بچے کی پیدائش کے بعد اسے تیر اندازی سیکھائی جاتی ہے, جس کے سیکھنے کا حکم ہمیں ہے.

دنیا کی ہر بڑی کمپنی کا ریسرچ سینٹر اسرائیل میں ہے, آنے والے زمانہ میں سب سے بڑی جنگ انٹرنیٹ کے ذریعے لڑی جائے گی, صرف ایک کلک کے ذریعے انٹرنیٹ, سیٹلائٹ سسٹم اور لوکیشن سب بند کر دی جائیں گی, 

اسرائیل میں 13 سال کے بچے کو ہیکنگ سکھائی جاتی ہے اور وہ اس کے تجربات کرتے رہتے ہیں,

اسرائیل ان ممالک کی لسٹ میں شامل ہے جہاں میٹھے پانی کی سب سے زیادہ کمی ہے, لیکن آج دنیا میں سب سے زیادہ سمندری پانی کو صاف کرنے والا پلانٹ اسرائیل میں ہی ہے,

اسرائیل دنیا بھر میں سب سے زیادہ بجلی نظام شمسی سے حاصل کرنے والا ملک ہے.


☆ ইসলামের আলোকে সচেতনতা ☆



কথায় বলে "সাবধানের মার নেই" সাবধান মানেই সচেতনতা। প্রতিটি মু'মীনকে তাঁর ঈমান, আমল,ও পার্থিব বিষয়ে সাবধান তথা সচেতন হয়ে চলতে হয়।। সর্বকালের,সর্ব যুগের জন্য সুন্দর জীবন বিধান ইসলাম মানুষকে তাঁর প্রতিটি বিষয় হাতে কলমে শিখিয়েছে। বাদ যায়নি সচেতনতার বিষয়টিও।

দ্বীনী ও পরকালীন বিষয়ে তো বটেই, নিরেট পার্থিব বিষয়েও ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় এই সচেতনতার। সচেতনতার শিক্ষা পাওয়া যায় এমন কয়েকটি দৃষ্টান্ত অধম এখানে উল্লেখ করছি:

প্রিয় নবীজী *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* এর দীর্ঘদিনের খাদেম হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাযি:) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* কে জিজ্ঞেস করল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কীভাবে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করব? আমার উটনীটি ছেড়ে দিয়ে, না বেঁধে রেখে?’ রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বললেন, প্রথমে তোমার উটনীটি বাঁধ, এরপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল কর। *[জামে তিরমিযী, হাদীস ২৫১৭]*

আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা একজন মুমিনের ঈমানের অপরিহার্য অংশ। তাই বলে স্বেচ্ছায় ‘আল্লাহ্ ভরসা’ বলে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়া তো আর ইসলামের শিক্ষা হতে পারে না।আমাদের স্থির বিশ্বাস, আল্লাহর হুকুমেই আগুন পোড়ায়, আগুনের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই।তবে সঙ্গে এও বিশ্বাস করতে হবে যে,আল্লাহ্ তা'আলাই আগুনকে পোড়ানোর শক্তি দিয়েছেন। সেই শক্তি দিয়েই আগুন পুড়িয়ে ছাই করে দেয় সবকিছু। এটি আগুনের শক্তি নয়, আল্লাহর দেয়া শক্তি। মহান আল্লাহ তা'আলা কখনো সেই শক্তি হরণ করে কুদরতের কারিশমা দেখান। মানুষ অবাক হয়ে দেখে―নমরুদের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েও ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ৪০ দিন ছিলেন নিরাপদে।

তবে এটা তাঁর সাধারণ ধারা নয়। স্বাভাবিকতা এটিই―আল্লাহ্ তা'আলা আগুনকে পোড়ানোর ক্ষমতা দিয়েছেন আর আগুন সেই ক্ষমতাবলে পোড়ায়। উপরোক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন, উটনী ছেড়ে দিলে তা চলে যাবে, কোথাও হারিয়ে যাবে, তখন তুমি অর্থহীন পেরেশানিতে আক্রান্ত হবে―এটাই স্বাভাবিক। তাই উটনীটি ছেড়ে না দিয়ে বেঁধে রাখ, এরপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল কর এভাবে―একমাত্র আল্লাহই পারেন উটনীটি রক্ষা করতে। বাঁধার পরও তো উটনীটি আক্রান্ত হতে পারে কোনো বিপদে। তাই তোমার সাধ্যের সচেতনতাটুকু অবলম্বনের পর তুমি আল্লাহর ওপর ভরসা কর, যেন তিনি তোমার সাধ্যের বাইরের অনাকাঙ্খিত বিষয়াদি থেকে তোমাকে ও তাকে নিরাপদ রাখেন।

এবার আসছি বর্তমান বিশ্বে ছড়িয়ে পরা "করোনা ভাইরাস"প্রসঙ্গে--

ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু রোগ আছে। এক রোগীর ছোঁয়ায় আরেকজনের দেহে সংক্রমিত হয় এ রোগ। কিন্তু এ ধারণা যেন মূল বিষয়টি ভুলিয়ে না দেয়;(আল্লাই করনে ওয়ালা সত্বা) তাই রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বললেন, ছোঁয়াচে কোনো রোগ নেই। তখন এক গ্রাম্য সাহাবী দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তো দেখি, একটা পাঁচড়াযুক্ত উট যখন কোনো পালে থাকে, তখন পুরো উটের পালকেই পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়? রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বললেন, এই হলো ভাগ্য, বলো দেখি, প্রথমটির পাঁচড়া হলো কীভাবে? *[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস  ৮৬]*

রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম)* বুঝিয়েছেন, প্রথম উটটিকে যিনি পাঁচড়ায় আক্রান্ত করেছেন, তিনিই অন্যগুলোকেও এ রোগ দিয়েছেন। যে কোনো প্রকার রোগই হোক, তা কেবল আল্লাহর হুকুমেই কাউকে আক্রান্ত করতে পারে কিন্তু এখানেও একই কথা, আল্লাহ তাআলাই কিছু কিছু রোগকে সংক্রামক করে দিয়েছেন। আল্লাহ্ প্রদত্ত এই সংক্রমণ শক্তির কারণেই এক রোগী থেকে আরেক রোগীতে তা সংক্রমিত হয়। আরেকটি হাদীসে এই বাস্তবতাটিকেই তিনি স্পষ্ট করেছেন এভাবে―কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি সিংহ থেকে দূরে থাক। *[সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৭০৭]*

 প্রথমোক্ত হাদীসটি যেমন আমাদের ঈমানী ভিত মজবুত করে, দ্বিতীয় হাদীসটি আমাদেরকে সচেতনতার শিক্ষা দেয় এবং ঈমান-আকীদা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বা অলীক সন্দেহে আক্রান্ত করতে পারে এমন ক্ষেত্র থেকেও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা শেখায়।

তাই আসুন, বর্তমান পরিস্তিতিতে আমাদের সাধ্য মত সচেতনতা অবলম্বন করি।

আল্লাহ্ তা'আলা সকলকে তাওফীক দান করুন।আমীন..!

#Lockdown_যদিও_আমাদের_জন্য_কষ্টকর_কিন্তু_তার_ফল_আমাদের_জন্য_অত্যন্ত_ভালো ।

ইংরেজীতে একটা কথা আছে "Every cloud has a silver lining" এটা করোনার ক্ষেত্রেও খুব সত্যি।
ফেসবুকে আর হোয়াটসআপে লোকে রাস্তায় হরিণ বা নীলগাই চড়ে বেড়াচ্ছে এরকম ছবি দিচ্ছে। 
এমন কি প্রাকৃতিক দূষনও কত কমে গেছে।

এবার অন্য দিকটাও ভেবে দেখুন। 
হাসপাতালে সব OPD বন্ধ আছে ; তা স্বত্বেও এমারজেন্সিতে কোনও ভীড় নেই। 
তা হলে অসুখ বিসুখ এত কমে গেল কি করে? 
মানছি রাস্তায় গাড়ি চলছে না বলে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হয়ে গেছে।
 
কিন্তু কোনও হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন হ্যামারেজ বা হাইপার টেনশনের মতো অসুখ দেখা যাচ্ছে না কেন? 
কারও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নেই কেন? 

দিল্লীর নিগমবোধ ঘাটে প্রতিদিন প্রায় 25-30 শতাংশ কম শবদেহ আসছে। 
দিল্লীর কথা না হয় বাদ দিলাম, হরিদ্বারের ঘাটে যেখানে গড়ে 100-80 টা শব আসে, সেখানে এই করোনার আবহে  মেরে কেটে মাত্র 20-25 টা শব আসছে।
একইভাবে মণিকর্ণিকা ঘাটেও সেই একই অবস্থা। 
ওখানে ডোম রাজ পরিবারও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে, ওরা জানালো প্রতি বছর এই সন্ধি মৌসমের (শীত শেষ করে গ্রীষ্মে যাওয়ার) সময় প্রতি বছর শবদেহের হিড়িক পড়ে যায়। 
কিন্তু কেন জানি না এ বছর খুব কম শবদেহ আসছে। 

হাসপাতালে যারা আছে তারা আগেই ভর্তি হয়েছে। নতুন করে কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। 
এটা সত্যিই খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা যেন সব অসুখ অদৃশ্য হয়ে গেছে।
না কি করোনা ভাইরাস সব অসুখকে মেরে ফেলেছে?
 
না প্রশ্নটা হলো স্বাস্থ্যব্যবস্থার বানিজ্যকরনের।
 
যেখানে কোনও অসুখই নেই সেখানেও ডাক্তাররা তাকে অসুস্থ বলে দেন। 
কর্পোরেট হাসপাতালের অবস্থা এই সময় আরও খারাপ। 
গভীর সংকটে পড়েছে তারা।
মামুলি সর্দিকাশিতেও যারা কয়েক হাজার এমনকি লাখ টাকার বিল বানানো কোনও ব্যাপার ছিলো না।
এখন সেখানে বেশির ভাগ বেড খালি পড়ে আছে।
আমি ডাক্তারদের সেবাকে ছোট করার চেষ্টা করছি না। 

কোবিড 19 এ যারা সেবা করছেন তাদের আমি প্রনাম জানাই।

কিন্তু ভয়টা যেন একটু বেশিই দেখানো হয়ে গেছে। 
অনেক বড় বড় সমস্যার কারন কিন্তু এই ডাক্তাররাই হয়। 
এছাড়া লোকে এখন বাড়ির খাবার খাচ্ছে, হোটেলের খাবার নয়। 

সেটার খুব ভালো ফল হচ্ছে। 
যদি System নিজের মতো ঠিকঠাক কাজ করে আর লোকে পরিশ্রুত জল ও সুদ্ধ সাদা খাবার খায় তো তাতেই অর্ধেক অসুখ আপনাআপনি সেরে যাবে। 

কানাডায় দু এক দশক আগে একটা সমীক্ষা হয়েছিল, ওখানে এক দীর্ঘ দিন ব্যাপী ডাক্তারদের ধর্মঘট চলেছিল। 
সমীক্ষায় দেখা গেল ওই সময় মৃত্যুর হার অনেক কম হয়ে গেছিল। 

সুস্থ থাকাটা আমাদের জীবনশৈলীর অন্যতম অঙ্গ যেটা কেবল ডাক্তারের উপর নির্ভর করে না।

মহাত্মা গান্ধী 'হিন্দু স্বরাজ' এ লিখেছিলেন, ডাক্তাররা কখনোই চায়না লোকে সুস্থ থাকুক।

যাই হোক, lockdown এর যা সাজা, তা তো অপরিহার্য বটেই, কিন্তু সেটা যে কতটা হুঁশিয়ার করলো এবং মনোরঞ্জক অনুভূতি দিলো সেটা একবার ভাবুন।।!

ঘরে থাকবেন। 
ভালো থাকবেন সকলে !!!

یہ جنگ ہار گءے تو ہماری آنے والی نسلیں گونگی بہری اور غلام ہونگی

*یہ جنگ ہار گئے تو ہماری آنے والی نسلیں گونگی بہری اور غلام ہوں گی*

     اس وقت دنیا کا ایک بڑا حصّہ کورونا سے جنگ جیتنے کی تیاری میں ہے۔ ہندوستان واحد ملک ہے جو کورونا بھول کر مسلمانوں کے خلاف اب آخری جنگ کی تیاری میں ہے . ممکن ہے ، لاک ڈاؤن کے درمیان ہی یہ فیصلہ لیا جائے کہ اب مسلمانوں کو اس سر زمین پر برداشت کرنا مشکل ہے . کوئی اشارہ ہو جائے، اور تبلیغی جماعت کے خلاف کھڑے لوگ سیدھے مسلمانوں پر منصوبہ بند طریقے سے حملہ کرنا شروع کر دیں، فیس بک ، ٹویٹر سے لے کر سوشل ویب سائٹس تک مسلمانوں کے خلاف اور اسلام کے مخالف تمام مورچے کھول دئے گئے ہیں. کیا ہم یہ پوچھنے کی طاقت رکھتے ہیں کہ اس ملک میں کتنے مندر ہیں ، کتنے دھام ، کتنے آشرم ؟ اور چاروں دھام سے آشرم تک کیا ہر جگہ سناٹا ہے ؟ ویرانی ہے ؟ کہ تمہاری تمام زہر افشانی کا سبب تبلیغی جماعت اور مسلمان بن گئے ہیں ؟ آہستہ آہستہ فاشسٹ تنظیمیں ان لوگوں کا ساتھ بھی حاصل کر رہی ہیں جو کبھی مسلمانوں کی حمایت کیا کرتے تھے .
اب کتنے لوگ حمایت کرنے والے ہیں ؟ کیا ایک فی صد کی حمایت بھی مسلمانوں کو حاصل ہے ؟ مسلمان ؛ اب اس نام سے نام نہاد سیکولر پارٹیاں بھی خوف کھانے لگی ہیں . کیا کانگریس ، کیجریوال ، اکھلیش ، تیجسوی یادو ، ممتا بنرجی اور مغربی بنگال کے لال سلام والے اس حقیقت سے واقف نہیں تھے کہ اچانک لاک ڈائون کے بعد تبلیغی جماعت سے وابستہ افراد کہاں جاتے ؟ اب یہ معصوم چہرے دنگائی ہیں ، قاتل ہیں ، فرقہ پرست ہیں ، ہندوستان سے لے کر باہر کے ممالک تک وائرس پھیلانے والے مجرم ہیں . اور اس وقت صورت حال یہ ہے کہ ہندوستان کی بڑی اکثریت ان سے نفرت کے لئے مجبور کر دی گئی ہے . یہ نفرت صرف تبلیغیوں کے لئے نہیں ہے . ہندوستان کے 25 کروڑ سے زاید مسلمانوں کے لئے بھی ہے . اور یہ سوال تو ہے کہ ہم کہاں جاہیں گے ؟ کیا کریں گے ؟ ہمارے پاس نہ میڈیا نہ چینل نہ کوئی سیاسی پارٹی ، نہ ہی سیکولرزم کا ڈھینڈھورا پیٹنے والی اور مسلمانوں کا سیاسی استعمال کرنے والی پارٹیاں . ہم کہہ سکتے ہیں ، اس وقت مسلمان لاچار ہیں ، بے بس ہیں ، تیسرے درجے کے شہری ہیں اور تماش بین ہیں . مگر تماش بین بن کر مسلمان کب تک رہینگے؟

وقت بدل گیا . 2002 میں میڈیا گجرات حکومت کے خلاف تھی . ٢٠١٤ تک یہ بات میڈیا کی سمجھ میں بھی آ چکی تھی کہ مودی آئیں گے .ہندوستان بدلے گا اور انہیں بھی بدلنا ہوگا . مودی بھی سمجھ رہے تھے کہ پہلے تخت پر بیٹھنا ہوگا پھر میڈیا کو ہاتھ میں لینا ہوگا . تخت کیسے حاصل ہو ، یہ حساب صاف تھا . پچیس کروڑ مسلمانوں کو الگ کرو اور سو کروڑ کا ووٹ حاصل کرو . مودی نے ٹوپی نہیں پہنی . یہ علامت کام کر گئی . ہندو راشٹر کی تعمیر کے لئے مودی کا سکّہ چل گیا . پانچ برسوں میں گجرات جیسا تجربہ آسان نہیں تھا . اسکے لئے سیاست کی دوسری اننگ کی ضرورت تھی . دوسری اننگ کی شروعات ہوتے ہی گجرات ماڈل پوری طرح سامنے آ گیا . میڈیا کو خرید لیا گیا . زہر کی کھیتی ہونے لگی . ہندوستان سلگنے لگا . فسادات بڑھنے لگے . جمہوریت اور آئین کو خطرہ پیدا ہونے لگا .پھر سیاہ قانون آیا تو لوگوں کی آنکھیں کھلیں . نوجوان سڑکوں پر آ گئے . جے این یو ، جامعہ اور شاہین باغ کی تحریک نے مودی کو ہلا دیا . حکومت نے پولیس کو لگایا . فائرنگ کرائی مگر اس کے باوجود تحریک میں شامل افراد تشدد سے دور رہے . اس وقت اپنی تقریر میں مودی نے صاف طور پر اشارہ کیا کہ اگر انکا تجربہ ناکام رہا تو ہندو راشٹر نہیں بنے گا . شاہین باغ پریوگ کامیاب رہا تو پرانا ہندوستان واپس آ جائے . کورونا نے حکومت کو تبلیغی جماعت کا تحفہ دیا اور حکومت ہارتے ہارتے فتح کے قریب پہنچ گئی .
رحمتوں اور برکتوں والے خدا ، یہ زمین تنگ کی جا رہی ہے .
*یہ غازی یہ تیرے پر اسرار بندے ، جنہیں تو نے بخشا تھا زیب خدائی ،* آج لہولہان ہو رہے ہیں . ذلیل کیے جا رہے ہیں .
کیا وہ دن دور ہے جب ہم زندگی سے کاٹ دئے جاییں گے . روزگار سے ہوٹل ، پرائیویٹ سیکٹر ہر جگہ ہمارے لئے دروازے بند ہوں گے .چھ برسوں میں ہونے والے کچھ اور حادثوں پر نظر ڈالیں . پیزا ڈیلیور کرنے والے لڑکے نے مسلمان گھر میں ڈلیوری دینے سے منع کیا . ایک کیب والے نے مسلمان پسنجر راستے میں اتار دیا کہ وہ مسلمان سواری نہیں لے گا . ایک ڈاکٹر نے مسلمان مریض کو دیکھنے سے انکار کر دیا ..غور کیجئے اگر اکثریتی فرقہ تجارت میں بھی تفریق کرنے لگے اور ایسے اعلانات لگاتار سوشل ویب سائٹ پر آ رہے ہیں کہ مسلمانوں سے فاصلہ رکھا جائے ، تو آنے والے دنوں میں صورت حال کیا ہوگی . اگر مسلم بچوں کے ساتھ اسکول اور کالج میں بھی یہی طریقہ رائج ہو تو آپ کیا کریں گے ؟ شہریت ترمیمی قانون کی آنچ مسلمانوں کے روزگار پر بھی آئے گی اور ملازمت پر بھی . پرائیوٹ سیکٹر میں اس کی شروعات ہو چکی ہے . اگر بینک دیوالیہ ہو جاتے ہیں ، اور جیسا پہلے بھی کہا جا چکا کہ اس صورت میں بینکوں کو کلائنٹ کا پیسہ استعمال کرنے کی چھوٹ ہوگی . اگر ایسا ہوتا ہے تو سب سے زیادہ شکار مسلمان ہونگے . جب آپ دوسرے درجے کے شہری ہو جاتے ہیں ، تو آپ کے ساتھ کوئی بھی سلوک کیا جا سکتا ہے . ایک بات اور ، جس کا خدشہ ہے . حکومت ان معاملات میں بے شرم اور بے حس ہونا چاہتی ہے . جب مخالفت کی آواز کمزور ہو جائے گی تو یہ بے حسی مسلمانوں کے خلاف اور کیا قانون لائے گی یا استحصال کے لئے کون سا پیمانہ اپنائے گی ، یہ ابھی تو نہیں کہا جا سکتا لیکن یہ تمام راستے مسلمانوں کی قبر سے ہو کر جاتے ہیں.

*ہمارے پاس کیا ہے ؟ کچھ نہیں . جو اخبارات ہیں وہ زیادہ تر کارپوریٹ سیکٹر کا حصّہ ہیں . جو پرائیویٹ اخبارات ہیں ، وہ کسی طرح شایع ہو رہے ہیں . آزادی کے بعد ہم نے سوچا ہی نہیں کہ ہمارے پاس اپنا بھی چینل ہو . ہمارے پاس معیاری اخبارات ہوں . جو خبریں پوشیدہ رکھی جاتی ہیں ، ہم انہیں دکھا سکیں .* میں نے دس برس صرف اس امید میں گزارے کہ ہمارے پاس اپنا چینل ہو . کیا حیدراباد ، بنگلور ، عظیم پریم جی ، جیسے لوگ اور نواب ، رئیس ، دولتمند ہمارے پاس نہیں ہیں ؟ میں نے پروجیکٹ رپورٹ تیار کی . ہزاروں افراد سے ملا مگر ناکام رہا . میرے پاس الکٹرانک میڈیا کا پینتیس برسوں کا تجربہ ہے . پھر مجھے خیال آیا کہ منصف اور سیاست والوں کا بھی اپنا چینل ہے لیکن کون دیکھتا ہے ؟ کتنے لوگوں تک رسایی ہوتی ہے . *ہم ابھی بھی بے خبر ہیں کہ ہمارے ساتھ آئندہ دنوں میں کیا کچھ ہو سکتا ہے اور اس کے لئے ہمارے پاس بہترین میڈیا کا ہونا ضروری ہے . حکومت بہت خاموشی سے کورونا کے بہانے تھالی بجائیے ، اندھیرے میں دیے جلائیے جیسے پروگراموں کے تحت اپنے ریتی رواج ہم پر تھوپنے کی کوشش کر رہی ہے . کیا ہم اپنی شکست تسلیم کر لیں ؟* 

ہم اس مقام پر ہیں جہاں تاریکی کے سوا کچھ بھی نہیں . حالات اس حد تک بد تر ہو سکتے ہیں کہ ہماری آنے والی نسلیں گونگی ، بہری اور غلام پیدا ہونگیں . ایک راستہ ممبئی اردو سے بھی ہو کر جاتا ہے . یہ ایک سنجیدہ ، معیاری اور ایسا اخبار ہے جسے آرام سے انگریزی اخباروں کے ساتھ رکھا جا سکتا ہے . پھر یہ اخبار اسی نام سے 15 یا ریاستوں سے کیوں نہ شروع ہو . پہلا راستہ دلی سے ہو کر گزرتا ہے . صرف تین یا چار صفحے دلی میں تیار ہوں . باقی ممبئی سے لئے جاییں .پھر اسکی اشاعت لکھنؤ ، پٹنہ ، حیدرآباد اور کولکاتہ سے ہو . اور یہ بات ذہن میں رکھی جائے کہ آگے یہ سفر نیوز چینل تک پہنچے . اور اسی برس پہنچے . گروپ ایڈیٹر کی ذمہ داری جناب شکل رشید کے ہی زمہ ہو . یہ بھی غور کیا جائے کہ دلی اور دوسری ریاستوں سے نکالنے میں جو سرمایہ خرچ ہو اس کے لئے قوم کے بڑے لوگوں سے بات کی جائے . ہدف سمجھایا جائے . مجھے الکٹرانک میڈیا کا 35 برسوں کا تجربہ ہے . یہ کام بڑے پیمانے پر ہو سکتا ہے . صرف کوشش کرنے کی دیر ہے .ممکن ہے اس کوشش کے بعد کچھ اور اچھے اخبارات یا اچھے چینل بھی سامنے آ جائیں .
سوال یہی ہے کہ ہم کیسے جنگ کریں .ہمارے پاس ہتھیار نہیں .میڈیا سے بڑا ہتھیار دوسرا نہیں . عظیم پریم جی جب پچاس ہزار کروڑ کورونا کے لئے نکال سکتے ہیں تو کیا الامین یا شاہین ، یا اردو کے بڑے ادارے ، تنظیمیں ، مسلم انڈسٹریلسٹ ساتھ نہیں دیں گے ؟ اس کے لئے ہمارے پاس اغراض و مقاصد کے ساتھ پروجیکٹ رپورٹ کی بھی ضرورت پڑے گی . اب ہمیں مضبوط ہونے کی ضرورت ہے . جو دو چار اردو چینل ہمارے سامنے ہیں ، انہیں کوئی نہیں دیکھتا . اسکی وجہ زبان بھی ہے . اسکی وجہ اچھے اسکرپٹ اور پریزنٹیشن کی کمی ہے . اس لئے عمدہ میری اخبارات کے ساتھ ہمیں میڈیا چینلس کی طرف بھی قدم  بڑھانا ہوگا . میں ہر قدم ساتھ چلنے کو تیار ہوں .
 *ہم بیحد برے موسموں کا شکار ہیں . اور ہمیں اس صورت حال میں مضبوط میڈیا کی ضرورت ہے . اگر ہم کرنا چاہیں تو یہ کوئی مشکل کام نہیں .*