Monday, June 29, 2020

یا رب العالمین ان بزرگوں کی قبرکو جنگ کی باغ بنا دیجیءے

*زمانہ لاک ڈاؤن میں  اس دار فانی کو الوداع کہہ کر امت کو یتیم کر کے اپنی حقیقی مولا کی آغوشِ رحمت میں جا ملنے والے علماء کرام* 
(١)شیخ الحدیث حضرت مولانا مفتی سعید احمد صاحب پالنپوری رحم اللہ
(٢)حضرت مولانا حفظ الرحمان صاحب کاکوسی رحمہ اللہ
(٣)حضرت مولانا وسیم صاحب گنگوہی رحمہ 
(٤)حضرت مولانا عبد الرحیم صاحب فلاحی رحمہ اللہ
(٥)حضرت شیخ سرفراز صفدر رحمہ اللہ                                (٦)حضرت مولانا عرفان صاحب فروزپوری رحمہ اللہ
(٧)حضرت مولانا احمد صاحب پٹنی رحمتہ
(٨) حضرت مولانا یوسف جمیل صاحب  آندھر پردیش رحمہ اللہ
(٩)حضرت مولانا عبد الوحید صاحب گونڑوی رحمہ اللہ
(١٠)مولانا الیاس صاحب مظاہری رحمہ
(١١)حضرت مولانا الحاج صاحب قاسمی رحمہ اللہ
(١٢)حضرت مولانا موسی قاضی صاحب رحمہ اللہ
(١٣)حضرت مولانا ابو الکلام صاحب قاسمی رحمہ اللہ
(١٤)حضرت ڈاکٹر خالد محمود صاحب رحمہ اللہ
(١٥)حضرت مولانا راشد صاحب پالنپوری رحمہ اللہ 
(١٦)حضرت مولانا یوسف صاحب رحمۃ اللّٰہ علیہ بودھانیہ سابق استاذ جامعہ اشرفیہ راندیر
(١٧)شیخ راشد الحقان صاحب رحمۃ اللّٰہ 
(١٨)دارالعلوم مدنیہ بہاول پور کے پہلے فاضل مولانا عبد العزیز رحمہ اللہ
(١٩)شیخ طریقت مولانا عبد الہادی خلیفہ مجاز مولانا عبد الکریم بیر شریف کوئٹہ رحمہ اللہ
(۲۰) مولانا عبد المہیمن قریشی رحمہ اللہ
(٢١)خواجہ محمد اسلام رحمہ اللہ 
(٢٢)معروف خطیب مولانا عبید الرحمن ضیاءرحمہ اللہ
(٢٣)جامعہ حنفیہ جہلم کے قدیم استاذ  حضرت قاری عتیق الرحمن جہلم رحمہ اللہ
(٢٤)تلمیذ بنوری مولانا ہارون عباس رحمہ اللہ جنوبی افریقہ
(٢٥) دارالعلوم کراچی کے قدیم استاذ حکیم عزیز الرحمن رحمہ اللہ 
(٢٦) مفسر قرآن صوفی عبد الحمید سواتی رحمہ اللہ کی اہلیہ محترم
(٢٧) مولانا غلام اللہ خان لاہور کے والد مولانا صبغت اللہ رحمہ اللہ
(٢٨)معروف حنفی محقق مولانا عبد القیوم رحمہ اللہ 
(٢٩)جامعہ بنوریہ ٹاؤن کے قدیم استاذ مولانا قاری نسیم الدین رحمہ اللہ 
(٣٠)حضرت ڈاکٹر عبد المقیم رحمہ اللہ 
(٣١)خلیفہ حضرت حکیم اختر مولانا نعیم اختر
(٣٢)شیخ الحدیث مولانا عبد الرؤوف پنڈی
(٣٣)قاطع رافضیت مجاہد اہل سنت مولانا عبد اللہ قاسمی لاہوری
(٣٤)قائد برطانیہ مرکزی رہنماجمعیۃ علماء برطانیہ حضرت قاری تصور الحق مدنی رحمہ اللہ 
(٣٥)پیر طریقت حضرت خواجہ عزیز احمد بہلوی رحمہ اللہ
(٣٦)جامعہ نظامیہ بہاول پور کے بانیو مہتمم مولانا شمس الدین انصاری رحمہ اللہ 
(٣٧)جامعہ بنوریہ کراچی کے بانی،رئیس وشیخ الحدیث مولانا مفتی محمد نعیم رحمہ اللہ 
(٣٨) مولانا عزیز الرحمن ہزاروی پاکستانی ،اسلامی اسکالر اور جامعہ دارالعلومزکری اسلام آباد کے صدر رحمہ اللہ 
(٣٩)محدث اعظم پاکستان یادگار اسلاف قبلہ پیر سید صادق حسین شاہ رحمہ اللہ
( ۴۰) حضرت مولانا عبدالقادر صاحب امیر تبلیغ جماعت تمل نا ڈو 
( ۴۱)شیخ الحدیث مولانا عبدالقادرصاحب امیر تبلیغ جماعت برما ( میانمار)
(42)حضرت مولانا عبدالشکور صاحب محدث الجامعہ العربیہ الاسلامیہ بدرپور آسام 
(😭کڑے سفر کے تھکے مسافر"  تھکے ہیں ایسا کہ سو گۓ ہیں😭خود اپنی آنکھیں تو بند کر لی" ہر آنکھ لیکن بھیگو گۓ ہیں😭                                       *إِنَ لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ*‎
*عظم الله أجركم و أحسن عزاءكم وغفر لميتكم وأسكنه الفردوس الأعلى من الجنة*
(یہ فہرست اپنے علم کے مطابق تحریر کی کچھ نام چھوٹ گئے ہوں)

Sunday, June 28, 2020

আমি একজন ইমাম


আমি একজন ইমাম
চ্যালেন্জ করছি আজ
দেখাও আমায় আমার মতো
কে করে আর কাজ?

আমার অফিস শুরু হয়
যখন ভোর রাত
রাত্র নয়টায় বন্ধ করলেও
শুনি কটু বাত 

নারী করে এক স্বামীর ঘর
আমার কি  আছে শেষ 
যে না পারে সে-ও এসে
নানা সময় করে আদেশ 

একটি অফিস আছে কি এমন
ঘড়ি দেখে কাজ চলে?
একটি মিনিট এদিক হলেই,
আমায় কটুকথা বলে 

সব অফিসারের শত ভুলেও
নেই যে কারো কোন দৃষ্টি 
আমার একটু ভুল হলেই
ঝরে আল্লাহু আকবার বৃষ্টি 

অফিসারের বেতন কতো?
সেটা না-হয় বাদই দিলাম
পিয়ন যিনি তার বেতনটা
বুঝার জন্য তোলে নিলাম

মাস পার হলে বেতন হাজার
বিশ না হলেও কাছাকাছি 
সে খবর কি রাখে কেহ?
আমরা কিভাবে বেঁচে আছি?

বলবে হয়তো সম্মান বেশি
তাতে কি আর পেট ভরে? 
হাট-বাজারে,ঔষধের দোকানে
আমাদের কি কেউ দয়া করে?

ইংরেজি আর অংক স্যারের
মাইনেটা আসে হলুদ খামে
কুরআন শিক্ষার পঞ্চাশ টাকা
দিতে গেলেই শরীর ঘামে

জন্ম হলে আযানটা দেই
যৌবনে দেই বিয়ে
মরার পরে গোসলটা দেই
সাবান লোবান দিয়ে 

সাদা কাপড়ের কাফনটা দেই
জানাজা দেই মাঠে
কবরেতে সাওয়াবটা দেই
আমরাই কুরআন পাঠে

এমন একজন দেখাও তোমার
সকল কাজে লাগে?
রমজান মাসে নিশি রাতে
তোমার জন্য জাগে? 

এবার বলি আরও একটা
মোদের দুঃখের কথা
কেউ ভাবেনা কেউ দেখেনা
মোদের এ সব ব্যথা

সকল কাজে ছুটি আছে
আমার কাজে নাই
বাড়ি গেলেও নামাজ কি আর
মাফ আছে রে ভাই? 

চাকরিতে যা ছুটিতেও তা
এটার নাম কি ছুটি? 
ভাগ্য দোষে কাতল মাছ আজ
হলাম চুনোপুঁটি 

আল কুরআনের সুরা তওবার
আঠারো নম্বর আয়াত
থাকলে চালু হতাম কি আর
মসজিদ কমিটির বায়াত?

কুরআন ছাড়ায় পোড়াচ্ছে আজ
জ্বালাচ্ছে সবখানে 
পরকালেও জ্বালাবে এ আগুন
তাই চলি সাবধানে।।

Wednesday, June 17, 2020

ভাষা আন্দোলনে মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী (রহঃ) এর অবদান ।



ভাষা আন্দোলন আসাম তথা বরাকের সর্ববৃহৎ গণ আন্দোলন । এই আন্দোলন সর্বাত্মক সার্থক ও সফল আন্দোলন । আন্দোলনকে সফলতার চরম শিখরে পৌঁছাতে যে ক'জন বিপ্লবী নেতা জীবন বাজি রেখে  লড়েছিলেন,তন্মধ্যে অন্যতম মাতৃভাষাব্রতী, সিংহপুরুষ মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তাঁর অবদান কস্মিনকালেও ভুলা সম্ভব নয়।

 ১৯৬০ সালের ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন চলিহা সরকারের মন্ত্রীসভা আসাম সরকারী ভাষাবিল পেশ করেছিল ,যা একমাত্র সংখ্যার  জোরে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৬০ সালে আইন হিসাবে পাশ করে নেয় । এই আইন অসমীয়া ভাষাকে আসামের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে ‌। যেটা আসামের বাঙালীদের ভাবাবেগে চরম আঘাত দেয় । এই আইন‌ প্রতিরোধ করতে প্রতিবাদে বরাক উপত্যকার কংগ্রেস দল একজোট হয়ে উঠে । সঙ্গে অন্যান্য সামাজিক সংগঠনও। কালক্রমে ১৫ জানুয়ারী ১৯৬১ সালে অনুষ্ঠিত জনসম্মেলনের মাধ্যমে "কাছাড় সংগ্রাম পরিষদ '' গঠিত‌ হয় । এই পরিষদের সভাপতি ছিলেন তরুণ এডভোকেট আব্দুর রাহমান চৌধুরী । সংগ্রাম কমিটি বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলে । অপরদিকে সরকারের পরোক্ষ মদতপুষ্ট কতিপয় স্বার্থান্বেষী, মানুষদের আন্দোলন থেকে দূরে ঠেলতে থাকে । চালাতে থাকে বরাকের অলিতে-গলিতে অপপ্রচার । দেখাতে থাকে অহেতুক ভয়ভীতি । গ্রামাঞ্চলের সরলমনা মানুষ এই দুষ্টচক্রের অপপ্রচারে প্রভাবিত হয় এবং অসমীয়া ভাষার পক্ষে সওয়াল করে । আন্দোলন স্তব্ধ হওয়ার উপক্রম ।

 এহেন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন জননেতা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তিনি বরাকের মানুষদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে বরাকের নানা প্রান্তে সভা-সমিতি করেন । তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে দিশেহারা মানুষের ভ্রান্ত ধারণা বিদূরিত হয় । তিনি গণিরগ্রাম জে, আর হাইয়ার সেকেণ্ডারী স্কুলে এক প্রতিবাদী সভায় মাতৃভাষা প্রসঙ্গে বলেন, আমি মাত্র আপনাদের কাছে একটা কথা জানতে চাই "আপনারা কাহারা নিজের মাকে ভুলিতে পারিবেন ? " তখন সকলে এক বাক্যে বলিলেন তা কখনো হতে পারে না । তিনি লোকজনের আওয়াজ শুনে বলিলেন, ''তাহা  হইলে আমি আব্দুল জলীল সরকারের একজন হওয়া সত্বেও বলিতেছি যে আমরা বাংলাবাসী লোক ,আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা ,আমি এক মুহূর্তের জন্য আমার মায়ের মুখ বন্ধ করিতে চাই না।" তখন উপস্থিত সবাই বলে উঠলেন "চাই না, চাই না ''। সেদিন থেকে‌ পশ্চিম কাছাড় অঞ্চলে জোরদমে আন্দোলন শুরু হয় । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় , সভা-সমিতি করতে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হন । আক্রান্ত হন অনেকবার । গাড়িতে ইট পাটকেল বর্ষণ হয় একাধিকবার । প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় । শালচাপড়ার এক সভা থেকে আসার পথে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন  । তারপরও বিচলিত হননি ।এক ইঞ্চিও পিছু হটেননি এ বীর যোদ্ধা । বরং পুরোদমে চালাতে থাকেন সভা-সমিতি, আন্দোলন । 

তাঁরই শক্তিশালী নেতৃত্বে উজ্জীবিত হয়ে ১৯৬১ সালের ১৯ মে প্রাণ দিতে ও কুন্ঠাবোধ করেননি ১১ জন ভাষা সেনানী। কিন্তু এ বীর শহিদদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর প্রতিক্রিয়া ইতিহাসের পাতায় কালো‌ অক্ষরে লেখার মতো । শোক প্রকাশ তো দূরের কথা উল্টো বলে বসেন , " যারা রেল ষ্টেশনে অগ্নিসংযোগ করায় তাদের পুলিশ গুলি করবে না তো ফুল ছিটাবে কি !" তাঁর এ মন্তব্যে তোলপাড় হয় গোটা উপত্যকা ।  তখন এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী রাজনীতিবিদ,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার অপপ্রচেষ্টা চালায় ‌। মওলানা জলীল সাহেবের তৎপরতায় কিন্তু তা সম্ভবপর হয়নি । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা বরাকের ইতিহাসে জাজ্বল্যমান থাকবে । থাকবে চিরস্মরণীয় ।  তিনি বলেছিলেন , "ভাই সকল,আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে যারা চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের  আন্দোলন, আমাদের এই আন্দোলন অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন । " তিনি উদ্বাত্ত কন্ঠে বলেছিলেন , "ভাষিক সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা কোন শক্তির নাই । '' তাঁর অগ্নিগর্ভ ভাষণে বরাক উপত্যকায় সৃষ্টি হয়েছিল এক সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আন্দোলন । তাঁর এ মন্ত্রে দীক্ষিত হন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙালী ।  রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী  কায়দায় Divide & Rule নীতি অনুসরণ করে বরাক উপত্যকার মানুষকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজন করতে । 
   
 আন্দোলনের গতিবিধি অপ্রতিরোধ্য অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী নেহরু তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্ত্রীকে আসামে পাঠান । অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে শাস্ত্রীজি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মত বিনিময়ের উদ্দেশ্যে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে দিল্লির আমন্ত্রণ জানান । প্রতিনিধিদলে ছিলেন আসামের প্রাক্তন মন্ত্রী মরহুম আলতাফ হুসেন মজুমদার‌, মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী ও করিমগঞ্জের রথীন্দ্রনাথ সেন । প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাজির হন । তখন প্রধানমন্ত্রী চটে লাল হয়ে বলেন, আপনারাই বোধহয় কাছাড়ের ১১ জন বাঙালির খুনি ? একথা শোনা মাত্র সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রমী চরিত্র মওলানা আব্দুল জলীল চৌধুরী । তিনি  বলেন," ১১ জন কেন ? আমাদের সংগ্রামের নৈতিকতা বিচার করে আমাদের বাংলা ভাষার অধিকার না দিলে আসামের সমগ্র বাঙালি মানুষ প্রাণ দিতে বিচলিত হব না ।''

 বিরোচিত জবাব শুনে প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। শাস্ত্রীর সাথে আলোচনার পর দশ বছরের জন্য অসমীয়া ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পুলিশের গুলিচালনার তদন্তের জন্য মেহেরাত্রা কমিশন গঠিত হয় । মেহেরাত্রা কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষায় আজও জাতি অপেক্ষমান । 
  
 দশ বছর পূর্তিতে ১৯৭২ সালে সেবা আসামের সমগ্র মাধ্যমিক স্কুলসমূহে অসমীয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ জারি করে। আবার জ্বলে উঠে বরাক । গর্জে উঠেন আন্দোলনকারী । গঠন করেন সংগ্রাম পরিষদ । বরাক উপত্যকার সকল নেতৃবৃন্দ এই আন্দোলনে নেতৃত্বের জন্য মওলানা চৌধুরীকে অনুরোধ করেন । তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে শাসক দলের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন । সংগ্রাম পরিষদের কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক মেহরাব আলি লস্কর এবং সম্পাদক হন তারাপদ ভট্টাচার্য । 

    মওলানা সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পরিচালিত এ আন্দোলনে প্রায় দু-মাস সরকারি কাজকর্ম অচল হয়ে পড়ে । ইতিমধ্যে আসাম বাজেট অধিবেশন আরম্ভ হয় । সংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাক উপত্যকার মন্ত্রী সহ কোন বিধায়ক অধিবেশনে উপস্থিত না হয়ে অধিবেশন বয়কট করার অনুরোধ জানানো হয় । কিন্তু গদির লালসা মওলানা চৌধুরী ও সরবরাহ মন্ত্রী মহীতোষ পুরকায়স্ত ব্যতিত কাউকে আটকাতে পারেনি । এমনকি পুরকায়স্তবাবু মন্ত্রিপদ খুইয়ে বসেন । 


 অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে‌ সি পন্থের আহ্বানে, মওলানা সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সংগ্রামী নেতৃ্বৃন্দ শিলঙে একটি গোল টেবিল বৈঠক করেন । সেই গোল টেবিল বৈঠকেই ঐতিহাসিক ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা "সিংহ -পন্থ -জলীল" চুক্তি নামে পরিচত । মওলানা আব্দুল জলীল আন্দোলন পরিষদের সভাপতি হিসাবে, শরৎচন্দ্র সিংহ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সি পন্থ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন । এছাড়াও আরও দশজন সাংসদ ও বিধায়ক এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন  ।এই চুক্তির শর্তানুসারে মাধ্যমিক অবধি অসমীয়ার সঙ্গে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় । এই চুক্তির সুবাদে আজও বরাক উপত্যকায়‌ ছাত্র-ছাত্রীরা‌‌ মাতৃভাষা বাংলার মাধ্যমে লেখাপড়ার সুযোগ ভোগ করছে ।

  প্রতিবছর ১৯ মে ভাষা শহিদ দিবস হিসাবে পালন করা হয় ।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ,যাঁর নেতৃত্বে এত বড় একটি গণ-আন্দোলন হয়েছিল ,যার ফলস্বরূপ আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ,তাঁর যথোপযুক্ত মূল্যায়ন হয় না সেই শহিদ দিবসে ।

Monday, June 15, 2020

উনিই হচ্ছেন মাওলানা তারিক জামিল



পাকিস্তানের মুলতানের এক বাজারে একটি পতিতালয় ছিল, মাওলানা তারিক জামিল ভাবতে লাগলেন এখানকার মহিলা গুলো তো আমার আপনজন ।

তারা যদি কাল হাশরের ময়দানে আমার নামে আল্লাহ ও তার রাসূলের কাছে নালিশ করে, তখন আমি রাসূল (সাঃ) কে কি জবাব দিবো⁉

বলবে তারিক জামিল সারা দুনিয়ায় তাবলীগ করেছে, কিন্তু আমাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি‼

তারিক জামিল সাহেব মাগরিবের পর তিন সাথী নিয়ে ওইখানে গেলেন, গিয়ে (পর্দার আড়াল থেকে) প্রথম কথা বললেন" হে মেরি বেটি ও বেহেনো, মে আপকো ইজ্জত কা চাদর পেহনানে আয়া ।
অর্থাৎ হে আমার মেয়ে ও বোন, আমি এখানে এসেছি তোমাদের ইজ্জতের চাদর পরাতে ।

তারা তো অবাক, এখানে সবাই আসে আমাদের ইজ্জতের চাদর খুলতে, ইনি কে...⁉ যে আমাদের ইজ্জত দিতে এসেছে‼

তারিক জামিল সাহেব দেড় ঘণ্টা বয়ান করলেন, বয়ানের মধ্যেই তাদের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। বয়ান শেষে তারা এই কাজ ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করলো ।

তারিক জামিল সাহেব নিজেই তাদের কয়েকজনের খাবারের ব্যবস্থা করলেন, কয়েকজনের শাদীর ব্যবস্থা করলেন।

ঘৃণা নয় একমাত্র নবীওয়ালা দরদ দিয়েই উম্মত কে উদ্ধার করতে হয় ।

আল্লাহ সবাইকে কে সঠিক বুঝ দান করুন।   (আমীন)

Tuesday, June 9, 2020

বরাক টাইমস

*বরাক টাইমস* পরিবারের সকল সদস্যদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ।
প্রিয় সদস্যবৃন্দ আমাদের বরাক টাইমস পরিবারের রদবদল হওয়া নতুন নিয়ামাবলী :-
1. News Video editing (বদরুল হক আলিম উদ্দিন ও পিংকি চক্রবর্তী )
2. post design (আবু তৈয়ব ইকরামা, ইকবাল হুসাইন ও মুহাম্মদ আব্দুল ওয়ারিস )
3. Website Publishing (আবু ছুয়েল ও আবু তৈয়ব ইকরামা)
4. আমাদের সাপ্তাহিক ই ম্যাগাজিন *The Barak Times* publishing (আহমেদ সাদিক চৌধুরী, আবু তৈয়ব ইকরামা, আবু ছুয়েল)
5.  celebrity তথা politicians দের  facebook বা YouTube থেকে video upload (দিলুয়ার হুসেন ও আহমেদ জাকির চৌধুরী) তবে সবাই লিংক খুবই তাড়াতাড়ি আমাদের official Group শেয়ার করতে সাহায্য করবেন তাতে তাদের পাবলিশ করতে সুবিধা হবে। 
6 Documentary about barak Valley... (আবু ছুয়েল, আব্দুস ছালাম  বদরুল হক আলিম উদ্দিন ও রিয়াদ আহমদ)
7. আগামী কাল থেকে আমাদের চেনেল থেকে প্রতিদিন *super10* শুরু করা হবে। (তাই সবাই প্রতিদিন 2 টি করে news দিতেই হবে যদি বিশেষ কারো অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের Official Group এ জানাতেই হবে কারন সবার 2 টি নিউজ দিয়ে super 10 তৈরী করা হবে। অন্যতায় সেই সদস্যকে group থেকে রিমুভ করা হবে।)
8. প্রতি 15 দিন পর পর *বিশেষ সাক্ষাৎকার* অনুষ্ঠান করতে হবে বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট জনের সাথে (এই অনুষ্ঠানের জন্য সকলের মতামত জানাবেন)
9. আমাদের *স্থায়ী অফিস* বা একটি *স্টুডিও* করার প্রয়োজন এই কাজ কিভাবে তাড়াতাড়ি সম্ভব সকলের মতামত জানতে চাই।

(ধন্যবাদ সবাইকে তাড়াতাড়ি রিপ্লাই দেবেন।)

Monday, June 1, 2020

কে এই তাক্বী ওসমানী ।


উপমহাদেশ-সহ পুরো পৃথিবী যার ফতোয়ার উপর বিশ্বাস রাখতে পারে।যাকে বলা হয় একবিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ। 
নতুন পৃথিবীর নতুন নতুন সৃষ্ট সমস্যায় উনার ফতোয়ার বিকল্প নেই।যখন তিনি ছাত্র তখনই তিনি তাফসীর লিখতে সক্ষম হয়েছিলেন। فتح الملهم এই শরাহটি মূলত মুফতী শাব্বীর আহমদ উসমানী (রহঃ)এর অসম্পূর্ণ একটি শরাহ। শাব্বীর আহমেদ উসমানী রহঃ ইন্তেকালের পর উপমহাদেশে এমন কোন আলিমের সাহস হয়নাই,শাব্বীর আহমদ উসমানী রহঃ এর অবশিষ্ট ব্যাখা পূরণ করতে। কেননা শাব্বীর আহমদ উসমানী এমন ব্যক্তি ছিলেন।
বাদশা আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রহমান বিন সউদ। তিনি খুব খোদাভীরু শাসক ছিলেন। ১৯০২ সালে রিয়াদ ফতেহ করেন এবং রিয়াদকে মডেল শাসনে রূপান্তরিত করেন। ১৯২৪ সালে তিনি মক্কা বিজয় করেন। ১৯২৫ সালে মদীনা বিজয় করেন। ১৯৩৬ সালে সমগ্র আরব বিজয় করে নাম
 রাখেন "আল মামলাকাতুল আরাবিয়্যাতুস সাউদিয়্যা" আহলে নজদের উলামায়ে কেরামগন ছিলেন   কঠোর। ছিলেন হিংসাত্মক মনোভাবের। তারা বাদশাহর কাছে পেশ করেন 'যত ধরনের নিদর্শন রয়েছে সব নি:শেষ করে ফেলেন '। মদীনার মধ্যে নিদর্শন ছিল উম্মাহাতুল মূমিনীনদের কবরসমূহ। একদিকে হুজুর সা: এর কবর অপরদিকে প্রায় সাহাবাদের কবর জান্নাতুল বাক্বী। কিন্তু উলামায়ে নজদ নির্দেশ করেন সব গুড়িয়ে নি:শেষ করে ফেলা হোক। এমনকি সবুজ গম্বুজ ভেংগে ফেলার আদেশ দেন। কারণ, কবর পাকা করা তার উপর গম্বুজ করা সম্পূর্ণ হারাম! বাদশা আব্দুল আযীয ছিলেন এক খোদাভীরু শাসক তিনি বিশ্বের উলামায়ে কেরামকে মদীনায় আহ্বান করেন। সাথে উলামায়ে হিন্দের ও। মাশওয়ারা চলে উলামাদের মাঝে। আহলে নজদের বিপক্ষে মুনাযারায় কে হবেন সমগ্র বিশ্বের উলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি? সর্বসম্মতি আসল যে,শাব্বীর আহমদ উসমানীই। তিনি লড়বেন উলামায়ে নজদের বিপক্ষে। সুখের কথা, তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের ছাত্র ছিলেন। বাহাসের সভাপতি হলেন বাদশা আব্দুল আযীয। বাহাস চলল, উলামায়ে নজদ জাহির সকল হাদীস পেশ করেন আর ভাবেন শাব্বীর আহমদ উসমানী আর কি বা দলীল পেশ করবেন।
হযরত উসমানী রহ: বুখারী শরীফের বিনায়ে কাবার একটি হাদীসকে পুঁজি করে দীর্ঘ দু'ঘন্টা আলোচনা করেন যা হযরত আয়েশাকে খেতাব করে বলেছিলেন। যখন উসমানী রহ: আলোচনা করেন তখন উলামায়ে নজদের মাথা নিচের দিকে। জন্য দোয়া  আলোচনার পর যখন বাদশা আব্দুল আযীয উলামায়ে নজদের সম্বোধন করে বলেন -এই হিন্দীর বিপক্ষে কি তোমাদের কোন জবাব আছে? প্রত্যুত্তরে উলামায়ে নজদ ছিলেন নীরব নিশ্চুপ। উসমানী রহ: এর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করেই সেদিন সবুজ গম্বুজ রাখা হয়। আজকে যে সবুজ গম্বুজ পৃথিবী দেখছে তা উলামায়ে দেওবন্দের ই অবদান।
(সুত্রঃ"মাহনামায়ে আনওয়ারে মদীনা)
কিন্তু অবশেষে তাকী উসমানীই সাহস করেন فتح الملهم এর শরাহ পূর্ণাঙ্গ করার।পূর্ণ করে নাম দেন تكملة فتح الملهم বর্তমানে এটি ছয় খন্ডে।পৃথিবীর ইতিহাসে মুসলিম শরীফের এর চেয়ে উন্নত ব্যাখাগ্রন্থ নেই।
#জীবনের তরে তিনি সফলতা অর্জন করছেন পুরো গ্লোবাল পৃথিবীতে।
১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের মে মাস পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরিয়া বেঞ্চের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিষ্টা করেছেন“মিজান ব্যাংক” তিনিই মুসলিম বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিশ্ব ব্যাংকের কাছে লিখিত গবেষণা দাখিল করেন।বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।বিশ্বে যদি ইসলামী অর্থনীতি এপ্লাই হয়,তাহলে পুরো পৃথিবীর সুদ ছাড়া চলা সম্ভব।এবং সেই নীতি আবেদন করেছেন।অনেক বিশ্লেষক বলছেন অমুসলিম কোন ব্যক্তি এই গবেষণা বিশ্ব ব্যাংকে দাখিল করলে তাকে এই সফলতায় নোবেল প্রদান করা হতো।কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক গবেষণা পত্র এপ্লাই করেনি।
তাকী উসমানী আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমি ( ওআইসির  একটি শাখা সংস্থা) এর একজন স্থায়ী সদস্য। 
৯ বছর ছিলেন আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যন।
দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামী অর্থনীতি সংস্থার বার্ষিক অনূষ্ঠানে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রি ইসলামী অর্থনীতিতে তাকে সম্মাননা প্রদান করেন ২০০৪ সালে।
★আরবী যেসব গ্রন্থ রচনা করেছেন★
১।تكملة فتح الملهم بشرح صحيح مسلم (ستّ مجلّدات)
২। بحوث في قضايا فقهية معاصرة (مجلّدان)
৩। أصول الإفتاء وآدابه
৪। أحكام الذبائح
৫। ما هي النصرانية
৬।نظرة عابرة حول التعليم الدينيّ فى باكستان
৭। فقه البيوع على المذاهب الأربعة (مجلدان)
৮।مقالات العثماني (مجلدان)
★ইংরেজিতে যেসকল বই রচনা করেন★
1. The Meanings of the Noble Quran
2. An Introduction To Islamic Finance
3. Contemporary Fatawa
4. Discourses on The Islamic Way of Life
5. Do Not Despise The Sinners
6. Islam & Modernism
7. Islamic Months
8. Legal Rulings on Slaughtered Animals
9. Perform Salah Correctly
10. Qadianism on Trial
11. Quranic Sciences
12. Radiant Prayers
13. Sayings of Muhammad صلی اللہ عليه وسلّم
14. Spiritual Discourses
15. The Authority of Sunnah
16. The Historic Judgment on Interest
17. The Language of the Friday Khutbah
18. The Legal Status of Following a Madhab
19. The Rules of Etikaf
20. What Is Christianity?
21. Present Financial Crisis: Causes and Remedies from Islamic Perspective
★উর্দূ রচনাবলি★
১। آسان ترجمئہ قرآن
২। علوم القرآن
৩। درس ترمذی کامل ( ۳ مجلدات)
৪।تقریر ترمذی کامل (مجلدان)
৫। انعام الباری کامل ( ٧ مجلّدات)
৬। حجیت حدیث
৭। بائبل سے قرآن تک کامل (۳ مجلدات)
৮। بائبل کیا ھے ؟
৯। اپنے گھروں کو بچائیے
১০। احکام اعتکاف
১১। اسلام اور سیاست حاضرہ
১২।اسلام اور سیاسی نظریات
১৩।اسلام اورجدت پسندی
১৪। اسلام وجدید معیشت وتجارت
১৫। اصلاح معاشرہ
১৬।اصلاحی خطبات کامل(۱٨ مجلدات)
১৭। اصلاحی مجالس کامل (٧ مجلدات)
১৮। اصلاحی مواعظ کامل(۳ مجلدات)
১৯। اکابر دیوبند کیا تھے ؟
২০। البانیہ میں چند روز
২১। البلاغ عارفی نمبرؒ
২২। اندلس میں چند روز(سفر نامہ)
২৩। آسان نیکیاں
২৪। پرنور دعائیں
২৫। تبصرے
২৬। تذکرے
২৭। تراشے
২৮। تقلید کی شرعی حیثیت
২৯।جہان دیدہ(سفرنامہ)
৩০। حدود آرڈیننس ایک علمی جائزہ
৩১।حضرت معاویہؓ اور تاریخی حقائق
৩২। حضورﷺ نے فرمایا(انتخاب حدیث)
৩৩। حکیم الامت کے سیاسی افکار
৩৪। دنیا مرے آگے(سفر نامہ)
৩৫। دینی مدارس کا نصاب ونظام
৩৬। ذکرو فکر
৩৭। سود پرتاریخی فیصلہ
৩৮। ضبط ولادت
৩৯। عدالتی فیصلے کامل (مجلدان)
৪০। عیسائیت کیا ھے ؟
৪১।غیر سودی بینکاری فقھی مسائل کی تحقیق اور اشکالات کا جائزہ
৪২। فتاوی عثمانی (۳ مجلدات)
৪৩। فرد کی اصلاح
৪৪।فقھی مقالات کامل(٥ مجلدات)
৪৫। قادیانی فتنہ اورملت اسلامیہ کا موقف
৪৬। قتل اور خانہ جنگی کے بارے میں آنحضرت ﷺ کے ارشادات
৪৭। مآثر حضرت عارفی ؒ
৪৮। مقدمہ معارف القرآن
৪৯। ملکیت زمین اور اس کی تحدید
৫০। موجودہ پرآشوب دور میں علماء کی ذمہ داریاں
৫১।موجودہ حالات اور ھماری ذمہ داری
৫২। میرے والد -میرے شیخ
৫৩।نشری تقریریں
৫৪। نفاذ شریعت اور اس کے مسائل
৫৫।نقوشِ رفتگاں
৫৬। نمازیں سنت کے مطابق پڑھئے
৫৭।ہمارا معاشی نظام
৫৮।ہماراتعلیمی نظام
৫৯।ہمارے عائلی مسائل
★বাংলায় অনুবাদ হয়েছে যেসব বই★
১।তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন
১। অমুসলিম দেশে মুসলিম পর্যটক
২। আপন ঘর বাঁচান
৩। ইতিহাসে কাঠগড়ায় হযরত মুয়াবিয়া রা.
৪। ইসলাম ও আধুনিক অর্থনীতি ও ব্যবসানীতি
৫। ইসলাম ও আধুনিক রাজনীতি 
৬। ইসলাম ও আধুনিকতা
৭। ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি সমস্যা ও সমাধান
৮। ইসলাহি খুতুবাত
৯। উহুদ থেকে কাসিয়ুন
১০। গোনাহ ও তাওবা অভিশাপ ও রহমত
১১। জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ
১২। দুনিয়া জোড়া বিস্ময়কর সফর
১৩। দুনিয়ার ওপারে
১৪। পৃথিবীর দেশে দেশে
১৫। মাযহাব কি এবং কেন
১৬। মুমিন ও মুনাফিক
১৭। মিথ্যা ওয়াদা ভঙ্গ ও খেয়ানতের বিভিন্ন রূপ
১৮। রাতের সূর্য
১৯। স্পেনের কান্না
২০। সুদ নিষিদ্ধ পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়
২১। সুদবিহীন ব্যাংকিং
২২। সুন্নাহ্‌র আইনগত মর্যাদা
সুত্রঃ তাকী উসমানীর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে।
দায়িত্বশীল অবস্থানঃ 
★দারুল উলূম করাচির শায়খুল হাদিস ও নায়েবে মুহতামিম★
★চেয়্যারম্যন, আন্তর্জাতিক স্ট্যার্ন্ডাড শরীয়াহ কাউন্সিল, ইসলামিক অর্থনৈতিক একাউন্টিং ও পরিদর্শন সংস্থা, বাহরাইন★
★স্থায়ী সদস্য, আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমি , জেদ্দা ( ও আই সির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান)★
★চেয়্যারম্যন, সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনোমিকস, পাকিস্তান (১৯৯১থেকে)
সুত্রঃ উইকিপিডিয়া 
প্রথমে দেখে নেই এই স্কলারর্স পৃথিবীর কোথায় কোথায় ঘুরেছেন ইসলামের জন্য।নিশ্চয় তাদের ঘুরাঘুরি হানিমুনের জন্য না।কখনো ব্যবসায়ী চিন্তায় পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ঘুরেননি।ঘুরেছেন ইসলাম প্রতিষ্টার জন্য। উপমহাদেশের উলামায়ে কেরামের কাছে পুরো বিশ্বের প্রতিদান রয়েছে।ইসলাম উপমহাদেশ থেকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে।কীটনাশক বা প্রাণঘাতী হয়ে নয়।
১।স্পেন!
১৪১০ হিজরীর ১৯ শে রবিউস সানী স্পেন সফর করেন।স্পেনে ইসলামী ফিকাহ একাডেমীর আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।স্পেনের হায়াত রেজিন্সি হোটেলে।সেখানে তিনি ছিলেন প্রধান আলোচক।এই সফরে তাকী উসমানী সাহেবের সফর নিয়ন্ত্রণ ও সাহায্যকারী ছিলেন বাহরাইনের ইসলামী ব্যাংকের এ্যাসিষ্টন্ট ডাইরেক্টর সাঈদ আহমদ
২।মরক্কো সফর করেনঃ 
মরক্কোকে সাহাবী ওকবা বিন নাফে রাযিঃ বিজয় করেছিলেন।
৩।লোজা শহর। 
৪।ব্রুনাই করেন সাল ১৪১৪ হিজরীতে।
৫।তুরস্ক 
৬।রি-ইউনিয়ন
৭।দক্ষিণ আফ্রীকা ১৫ বার সফর করেন
৮।কাতার 
৯।হল্যান্ড 
১০।কানাডা
১১।আমেরিকা
১২।ওয়েষ্ট ইন্ডিজ
১৩।কেনিয়া 
১৪।জাপান 
১৫।টোকিও
১৬।ক্যালিফোর্নিয়া 
১৭।টরেন্টো 
১৮।ইস্তাম্বুল 
১৯।ফিজি
২০।লাম্বাসা শহর
২১। সুভায় 
২২।নাদি শহরে
২৩।ইরান 
২৪।ইস্পেহান
২৫।কুম শহরে
২৬।নিউজিল্যান্ডে 
২৭।সিরিয়া (অনেকবার) 
২৮।কিরগিজিস্তান
২৯।আলবেনীয়া
৩০।রাশিয়া
৩১।দাগিস্তান
৩২।দারাবান্দ
৩৩।মস্কো
৩৪।তুয়ামা
৩৫।হিরোশিমায়
৩৬।ইয়োকাহামা শহরে
৩৭।ল্যাটিন আমেরিকা
৩৮।ব্রাজিল
৩৯।শাওপালু শহরে
৪০।রিও ডি জানেরীও শহরে
৪১।পানামা
৪২।ত্রিনিদাদ শহরে
৪৩।তাজিকিস্তান 
৪৪।জর্ডান 
৪৫।ইরাক
৪৬।মিশর
৪৭।আলজিরিয়া
৪৮।তুরস্ক 
৪৯।সিঙ্গাপুর
৫০।ইন্দোনেশিয়া 
৫২।সৌদি-আরব 
৫৩।দুবাই 
৫৪।হিন্দুস্থান 
৫৫।চীন
৫৬।বাংলাদেশ 
৫৭।আমিরাত 
৫৮।তাসখন্দ
প্রায় ১০০ এর উপরে দেশ ভ্রমণ করেছেন।ইসলামের জন্য কখনো গিয়েছেন পানামা জঙ্গলে!আবার কখনো স্পেনের কর্ডোভার জামে মসজিদে।কখনো ফিজির সেই সব পাহাড়ে যেখানের মানুষ গুলো অদ্ভুত যারা আগুনের উপর হেটে যেতে পারে।সেখানেও গিয়েছেন ইসলামের জন্য।কখনো গিয়েছেন সুর্যাস্থের দেশ ফিজিতে যেখানে একদম হাতের কাছে থেকে সূর্য অনুভব করা যায়!কখনো গিয়েছেন সূর্য উদয়ের দেশে।কখনো ঘুরছেন আরবের আলিসান অট্রালিকায় বিলাসী জাতীকে ইসলামের দীক্ষা বুঝাতে। কখনো ঘুরেছেন আফ্রীকার অদ্ভুত জঙ্গল গুলোতে।
এখনো ঘুরছেন এই ফেরিওয়ালা।পৃথিবী ঘুরে ঘুরে কখনো গ্রন্থ রচনা করেছেন "হারানো ঐতিহ্যের দেশে"। কখনো লিখছেন উহুদ থেকে কাসিয়ুন।কখনো ব্যতীত হৃদয়ের অবিজ্ঞতায় লিখেছেন "ফোরাত নদীর তীরে" কখনো লিখেছেন জাপানী মুসলমানদের প্রয়োজনসমুহ।কখনো লিখেছেন আফ্রীকার কংকালসার মানুষের জন্য যাকাতের অর্থ প্রয়োজন। কখনো জাপানের নওমুসলিমদের জন্য ১ কোটি ডলার ব্যয়ে ইসলামিক সেন্টার করার জন্য পৃথিবীর ধনাঢ্য দেয়ালগুলোতে আঘাত করেছেন। কখনো  জর্ডানের স্থানীয় সংস্থা গুলোর একাউন্ট নিয়ে ঘুরছেন মসজিদ করার জন্য। কখনো যান্ত্রীক দেয়ালে উপবিষ্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উচ্চকণ্ঠে ইসলামের কথা বলেছেন।কখনো হার্ভাডে ইসলামের গবেষণা তুলে ধরেছেন।ব্যথাতুর হৃদয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পুরনো ইতিহাসের কথা বলেছেন।তাদের পুনরায় জাগ্রত হতে বলছেন।
একজন তাকী উসমানী!তিনিই সফল।
যিনি আজম আরব ইউরোপ সহ সাত মহাদেশ ঘুরছেন। যার গ্রহনযোগ্যতা পুরো পৃথিবীতে।যার অর্থনীতি শিক্ষায় পুরো ইউরোপীয় শিক্ষা থমকে গেছে।যার একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্বের দরবারে ইসলামি অর্থনীতি বিজয় লাভ করে দাপট সৃষ্টি করছে।উনাকে কেহ যদি অযাচিত মন্তব্য করে তাহলে বুঝতে হবে উনার দুটি সমস্যা সূর্যকে যেমন চামচীকার সহ্য করতে কষ্ট হয়।অথবা উনি এই ব্যক্তির জীবন ইতিহাস নিয়ে অজ্ঞ।এইজন্য ইতিহাসবীদরা একাডেমিক পড়াকে জ্ঞান বলেননি।
একজন তাকী উসমানীর দীর্ঘ হায়াত কামনা করে।এবং যেসকল ব্যক্তিরা ইতিহাস পড়তে অনিচ্ছুক তাদেরকে এই কথা বলে পৃথিবীতে জ্ঞানের শেষ নেই।সবসময় কিছু জানিনা এই মনস্কে অধ্যয়ন করুণ।জানুন।পড়ুন।চোখ খুলুন।
না হয় জ্ঞানীরা মূর্খ বলে এড়িয়ে যাবে।
এই প্রত্যাশায়..............
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দিক।  আমীন