Monday, November 6, 2023
◆◆◆ ইসলামে জাতিভেদ নেই, তথাকথিত জাতিভেদ দূরীকরণে চাই আলোচনা সভা/ সেমিনার ও ওয়াজ মাহফিল ◆◆◆N.B: গঠণমূলক কমেন্ট ছাড়া বিরত থাকবেন। ইসলামে জাতিভেদের কোনও স্থান নেই। কিন্তু বরাক উপত্যকার মুসলিম সমাজে তথাকথিত জাতিভেদ আছে যা কেউ এক্কেবারে অস্বীকার করতে পারবেন না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মামার শ্রুতলিপি অনুকরণে তথাকথিত জাতিভেদ বিতর্ক তথা Divide and rule policy অত্যন্ত নিন্দনীয়। কারণ যে সময়ে ভারতবর্ষের সংবিধান বিপদ সংকুল পরিস্থিতির সম্মুখীন। এ সময়ে সবাইকে বন্যার সময় পিঁপড়েরা যে ভুমিকা পালন করে তা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। যখন গোটা ভারতবর্ষের জাতি-ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে লোকজন সংবিধান বাঁচানোর লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে চলেছেন, তখন এমন জাতের নামে বজ্জাতির বিতর্ক মোটেও শোভনীয় নয়। মোদ্দাকথা- ইসলামে জাতিভেদের কোনও স্থান নেই। তথাপিও যারা উচ্চ জাত বলে নিজে নিজেকে গর্ববোধ করে ও অপরজন নীচ জাত বলে নিজে নিজেকে অপমানিতবোধ করে ও তথাকথিত উচ্চ জাতের দ্বারা নীচ জাত বলে কোথাও কটাক্ষের বলি হন , তা সভ্যসমাজে মোটেও কাম্য নয়। বরাক উপত্যকার মুসলিম সমাজে প্রচলিত টাইটেল বা উপাধি সমূহ কোনও বংশানুক্রমিক বা জন্মগত নয়। সবগুলো উপাধিই হচ্ছে তৎকালীন প্রদত্ত পেশার ভিত্তিতে অর্জিত উপাধি। আমি প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কাউকে কটাক্ষ করার কোনো অভিপ্রায় নেই, তথাপি উদাহরণস্বরূপ বলছি - ধরে নিন, একজন তালুকদার বা তালুকের মালিক, উনার চারজন ছেলে। উনি মারা যাওয়ার পর ওই চারজন ছেলে বাবার নামের তালুকটি নিজেদের মধ্যে চারভাগ করে নিল। এখন ওই ছেলেদেরকে " পূর্ণ তালুকদার " না বলে "পোয়া তালুকদার" বলতে হবে। আর যদি দুই ছেলে রেখে যান- তবে "আধা তালুকদার "। তাই অর্জিত উপাধি নিয়মানুযায়ী উত্তরাধিকারীরা ব্যবহার করতে পারেন না। অপরদিকে আমি নিজে নিজেকে মাইমাল বা মৎস্যজীবী হিসেবে দাবী করি। তা কিন্তু ১০০ শতাংশ শুদ্ধ ও সঠিক নয়। কারণ আমি মাছ ধরা / শিকার করি না। আমার আব্বা বা ভাই কেউ এসব করেন না। অথচ মাছের ব্যবসাও করি না। তাই পেশার ভিত্তিতে অর্জিত উপাধি হিসেবে আমাকে কেউ মাইমাল বা মৎস্যজীবী বললে সাংঘাতিক ভুল হবে বলে মনে করি। যাইহোক, ইতিপূর্বে অনেক বিতর্কতে আমি নিজেও শামিল হয়েছিলাম। এখন দেওয়ালে পিঠ লেগেছে। তাই অযথা আশরাফ - আতরাফ বিতর্ক না করে গঠণমূলক পদ্ধতিতে সেমিনার /ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি বিষয়ভিত্তিক আয়োজন করে ইসলামিক/সাধারণ শিক্ষিত স্কলারদের মাধ্যমে ক্বোরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামে জাতিভেদ আদৌ নেই বলে জনসমক্ষে তা তুলে ধরতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এর খেসারত দিতে হবে। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে বরাক উপত্যকার প্রতিটি মহল্লার সবকটি ওয়াজ মাহফিলে এনিয়ে আলোচনার বিষয়বস্তু দিয়ে তথাকথিত জাতিভেদ নির্মূলকরণে অগ্রণী হই। নহে আশরাফ শুধু যার আছে বংশের পরিচয়। সেই আশরাফ যার জীবন পূণ্য কর্মময়।।
শজ্জ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment