Thursday, July 4, 2024
☆☆☆ সরকারের অবহেলায় কৃত্রিম বন্যার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃহত্তর লাফাশাইলবাসীকে ☆☆☆ খরা, ভূমিকম্প, ভূমিস্খলন ও বন্যা ইত্যাদি হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকার জন্য প্রতিবছরের বন্যাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা যাবে না। কারণ ২০০৬-০৭ সালে ভারত সরকার যখন লক্ষ্মীবাজার BSF Camp থেকে বর্তমান ২৮ নম্বর গেইট পর্যন্ত সীমান্ত সড়ক ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে তখন বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দায়সারা মনোভাব নিয়ে ফ্লাড লেভেল থেকে অনেক নীঁচু করে কাজ সম্পাদন করে। তৎকালীন ডিসি অনুরাগ গোয়েল মহাশয়, তৎকালীন বিধায়ক মিশন রঞ্জন দাস মহাশয় ও কাজের বরাত প্রাপ্ত সংস্থা NBCC কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি উঁচু করার দাবি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। পরবর্তীতে ২০১১ সালে যখন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মহাশয় বিধায়ক নির্বাচিত হন তখন এলাকার লোকজন কিছুটা আশা পোষণ করেছিলেন হয়তো বা কিছু একটা হবে। কিন্তু উনারও দু-দুটি কার্যকাল সমাপ্ত হয়ে তৃতীয় কার্যকালের সিংহভাগ সময় অতিবাহিত হলেও সীমান্ত সড়ক উঁচু করার ব্যাপারে কোনো ফলপ্রসূ পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় নি। সীমান্ত সড়ক নির্মানাধীন সময়ের ডিসি অনুরাগ গোয়েল মহাশয় এক্ষেত্রে খলনায়ক হিসেবে অত্র এলাকার জনমানসে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিবছর কুশিয়ারা নদীর জল বিপদসীমা পার করলেই বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকার লোকালয়ে সীমান্ত সড়ক ও কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে জল প্রবেশ করে। এ যেন প্রতিবছরের আপদ অতিথি হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে। বরাক উপত্যকার আর কোথাও প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থাৎ বন্যা না হলেও লাফাশাইলের জনগণকে এ যেন খাল কেটে কুমির আনা কৃত্রিম বন্যার কবলে পড়তে হয়। ফলে প্রতিবছর এ এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমারেখার নীচে বসবাসকারী ও গরিব কৃষকদের হাজার-হাজার ও লক্ষ-লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর নিদেনপক্ষে দুই থেকে তিনবার কুশিয়ারা নদীর জল সীমান্ত সড়ক টপকিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। যার ফলে গরিব মেহনতি মানুষদের একমাত্র মাথা গোজার ঠাই বসত ঘরগুলোও একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশুদেরও খাদ্যাভাব দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সরকারি তরফে আংশিক ক্ষয়ক্ষতির কিছুটা ক্ষতিপূরণ প্রদান করলেও তা স্বজন-পোষণের মাধ্যমে বণ্টন হয়ে প্রকৃত হিতাধিকারীরা চিরাচরিতভাবে বঞ্চিত থেকেই চলেছেন। প্রসঙ্গত কুশিয়ারা নদীর জল টপকানোর পরপরই মাননীয় বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মহাশয় উপস্থিত হয়ে প্রতিবছরই জলসম্পদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ ও ডিসি মহোদয়কে এলাকা পরিদর্শন করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করিয়ে থাকেন। বিভাগীয় তরফে হাতে গোনা কয়েকটি বস্তা দিয়ে মাটি ভরাট করে পুঁতে রেখে দায় সারেন। এক্ষেত্রে উল্লিখিত এলাকার লাফাশাইল ২য় খণ্ড গ্রাম তথা লক্ষ্মীবাজার জিপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডেই সবগুলো শেষ হয়ে যায়। কিন্তু লাফাশাইল ৩য় খণ্ড গ্রাম তথা লক্ষ্মীবাজার জিপির ১ নম্বর ও ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এর ছিটেফোঁটা দেয়া হয় না। তবে অবশ্য সীমান্তে প্রহরারত BSF কর্তৃপক্ষ সব এলাকায় যথেষ্টভাবে সমান সহযোগিতা করে থাকে। যাইহোক, বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকার এ জ্বলন্ত সমস্যাটি যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন। এ হিসেবে করিমগঞ্জ লোকসভা আসনের মাননীয় সাংসদ কৃপানাথ মাল্লাহ মহাশয়কে আমরা এ বিষয়ে অবগত করালেও তিনি আজ পর্যন্ত এ এলাকায় উনার পা মাড়ান নি। আমি আশাকরি, আমার এ প্রতিবেদন যদি উনার নজরে আসে তবে উনি স্বশরীরে পদার্পণ করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সচেষ্ট হবেন। তৎসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা নয় কৃত্রিম বন্যার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে মাননীয় সাংসদ মহোদয়ের কাছে বৃহত্তর লাফাশাইলবাসীর পক্ষ থেকে জোরালো দাবি জানাচ্ছি।Kripanath Mallah
☆☆☆ সরকারি অবহেলায় প্রতিবছর কৃত্রিম বন্যার দুর্ভোগ পোহাতে হয় বৃহত্তর লাফাশাইলবাসীকে ☆☆☆
খরা, ভূমিকম্প, ভূমিস্খলন ও বন্যা ইত্যাদি হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকার জন্য প্রতিবছরের বন্যাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা যাবে না। কারণ ২০০৬-০৭ সালে ভারত সরকার যখন লক্ষ্মীবাজার BSF Camp থেকে বর্তমান ২৮ নম্বর গেইট পর্যন্ত সীমান্ত সড়ক ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে তখন বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দায়সারা মনোভাব নিয়ে ফ্লাড লেভেল থেকে অনেক নীঁচু করে কাজ সম্পাদন করে। তৎকালীন ডিসি অনুরাগ গোয়েল মহাশয়, তৎকালীন বিধায়ক মিশন রঞ্জন দাস মহাশয় ও কাজের বরাত প্রাপ্ত সংস্থা NBCC কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি উঁচু করার দাবি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। পরবর্তীতে ২০১১ সালে যখন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মহাশয় বিধায়ক নির্বাচিত হন তখন এলাকার লোকজন কিছুটা আশা পোষণ করেছিলেন হয়তো বা কিছু একটা হবে। কিন্তু উনারও দু-দুটি কার্যকাল সমাপ্ত হয়ে তৃতীয় কার্যকালের সিংহভাগ সময় অতিবাহিত হলেও সীমান্ত সড়ক উঁচু করার ব্যাপারে কোনো ফলপ্রসূ পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় নি। সীমান্ত সড়ক নির্মানাধীন সময়ের ডিসি অনুরাগ গোয়েল মহাশয় এক্ষেত্রে খলনায়ক হিসেবে অত্র এলাকার জনমানসে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিবছর কুশিয়ারা নদীর জল বিপদসীমা পার করলেই বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকার লোকালয়ে সীমান্ত সড়ক ও কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে জল প্রবেশ করে। এ যেন প্রতিবছরের আপদ অতিথি হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে।
বরাক উপত্যকার আর কোথাও প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থাৎ বন্যা না হলেও লাফাশাইলের জনগণকে এ যেন খাল কেটে কুমির আনা কৃত্রিম বন্যার কবলে পড়তে হয়। ফলে প্রতিবছর এ এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমারেখার নীচে বসবাসকারী ও গরিব কৃষকদের হাজার-হাজার ও লক্ষ-লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর নিদেনপক্ষে দুই থেকে তিনবার কুশিয়ারা নদীর জল সীমান্ত সড়ক টপকিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে। যার ফলে গরিব মেহনতি মানুষদের একমাত্র মাথা গোজার ঠাই বসত ঘরগুলোও একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশুদেরও খাদ্যাভাব দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সরকারি তরফে আংশিক ক্ষয়ক্ষতির কিছুটা ক্ষতিপূরণ প্রদান করলেও তা স্বজন-পোষণের মাধ্যমে বণ্টন হয়ে প্রকৃত হিতাধিকারীরা চিরাচরিতভাবে বঞ্চিত থেকেই চলেছেন। প্রসঙ্গত কুশিয়ারা নদীর জল টপকানোর পরপরই মাননীয় বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মহাশয় উপস্থিত হয়ে প্রতিবছরই জলসম্পদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ ও ডিসি মহোদয়কে এলাকা পরিদর্শন করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করিয়ে থাকেন। বিভাগীয় তরফে হাতে গোনা কয়েকটি বস্তা দিয়ে মাটি ভরাট করে পুঁতে রেখে দায় সারেন। এক্ষেত্রে উল্লিখিত এলাকার লাফাশাইল ২য় খণ্ড গ্রাম তথা লক্ষ্মীবাজার জিপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডেই সবগুলো শেষ হয়ে যায়। কিন্তু লাফাশাইল ৩য় খণ্ড গ্রাম তথা লক্ষ্মীবাজার জিপির ১ নম্বর ও ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এর ছিটেফোঁটা দেয়া হয় না। তবে অবশ্য সীমান্তে প্রহরারত BSF কর্তৃপক্ষ সব এলাকায় যথেষ্টভাবে সমান সহযোগিতা করে থাকে।
যাইহোক, বৃহত্তর লাফাশাইল এলাকার এ জ্বলন্ত সমস্যাটি যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন। এ হিসেবে করিমগঞ্জ লোকসভা আসনের মাননীয় সাংসদ কৃপানাথ মাল্লাহ মহাশয়কে আমরা এ বিষয়ে অবগত করালেও তিনি আজ পর্যন্ত এ এলাকায় উনার পা মাড়ান নি। আমি আশাকরি, আমার এ প্রতিবেদন যদি উনার নজরে আসে তবে উনি স্বশরীরে পদার্পণ করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সচেষ্ট হবেন। তৎসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা নয় কৃত্রিম বন্যার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে মাননীয় সাংসদ মহোদয়ের কাছে বৃহত্তর লাফাশাইলবাসীর পক্ষ থেকে জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
Kripanath Mallah
Subscribe to:
Comments (Atom)